Sunday 5 April 2020

পশ্চিমা দেশগুলিতে বর্ণবাদী চিন্তাকে উস্কে দিয়েছে করোনাভাইরাস!

৫ই এপ্রিল ২০২০

     
ফ্রান্সের নঁতে শহরে গ্রাফিতি বলছে, ‘করোনাভাইরাস যত মানুষকে অসুস্থ্য করেছে, তার চাইতে বেশি মানুষকে বর্ণবাদী করেছে’



গত পহেলা এপ্রিল দু’জন ডাক্তার ফরাসী টিভিতে এসে মতামত দেন যে, নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আফ্রিকার জনগণের উপর টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। এই মন্তব্যের পর থেকে এই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। টিভি চ্যানেল ‘এলসিআই’এর সাথে সাক্ষাতে প্যারিসের কোচিন হসপিটালের আইসিইউএর প্রধান জঁ-পল মিরা বলেন যে, এইডসএর ভ্যাকসিন টেস্ট করার জন্যে যেমন পতিতাদের বেছে নেয়া হয়েছিল, তেমনি করোনাভাইরাসের প্রতিরোধক হিসেবে যক্ষ্মার প্রতিরোধক ‘বিসিজি’ ভ্যাকসিন টেস্ট করার জন্যে আফ্রিকার মানুষগুলিকে বেছে নেয়া যেতে পারে; কারণ পতিতাদের যেমন এইডসএর বিরুদ্ধে আলাদা কোন প্রতিরোধ নেই, তেমনি আফ্রিকার মানুষগুলিরও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ নেই। তিনি যুক্তি দেন যে, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার মেডিক্যাল কর্মীরা যথেষ্ট সুরক্ষা নিয়ে কাজ করেন, যার ফলে এমনিতেই তাদের করোনভাইরাসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম থাকবে; তাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হোক আর না হোক। ফ্রান্সের ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউটের রিসার্চ ডিরেক্টর ক্যামিল লক্ট তার সাথে সহমত পোষণ করে বলেন যে, তারা ইতোমধ্যেই ইউরোপের সমান্তরালে আফ্রিকাতেও এই টেস্ট চালাবার চিন্তা করছেন। এই টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পর থেকে প্রায় সাথেসাথেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। আইভোরি কোস্টের বিখ্যাত ফুটবলার দিদিয়ের দ্রগবা এক টুইটার বার্তায় বলেন যে, এটা আশ্চর্য্য একটা ব্যাপার যে এধরণের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বারংবার সাবধান করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, আফ্রিকা কোন টেস্টিং ল্যাবরেটরি নয়। তিনি তাদের কথাগুলিকে বর্ণবাদী কথা বলে আখ্যা দেন। দ্রগবার মতো ফ্রান্সের সোশালিস্ট পার্টি এবং বর্ণবাদ বিরোধী গ্রুপগুলিও বিবৃতি দিয়েছে।

‘আল জাজিরা’ মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, আফ্রিকা এই মুহুর্তে সবচাইতে কম আক্রান্ত মহাদেশ, যেখানে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গিয়েছে মোট ৩’শ ২০ জন। জঁ-পল মিরা পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ‘হাফিংটন পোস্ট’এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা হিসেবে বলেন যে, ফ্রান্স এবং আস্ট্রেলিয়ার সাথে আফ্রিকার একটা দেশ এই গবেষণার অংশ হতে পারে, এধরনের কথা আগে কখনোই শোনা যায়নি। ‘বিবিসি’ এক সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল টেনে নিয়ে এসে বলে যে, যক্ষ্মার প্রতিরোধে ‘বিসিজি’ ভ্যাকসিন বা টিকা যেসব দেশে জনগণের মাঝে দেয়া হয়েছে, সেসব দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কম হয়ে থাকতে পারে। তারা বলছেন যে, যেসব দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি, সেসব দেশেই শিশুদের মাঝে ‘বিসিজি’ ভ্যাকসিন দেবার প্রচলন রয়েছে। এই চিন্তার উপর নির্ভর করেই কিছু গবেষক ‘বিসিজি’ ভ্যাকসিনকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তা করছেন। তবে এই টিভি সাক্ষাতের পর থেকে ভ্যাকসিনের চাইতে পশ্চিমা সমাজের বর্ণবাদ নিয়েই কথা হচ্ছে বেশি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হবার পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বে বর্ণবাদী এবং উগ্র জাতীয়তাবাদী আচরণের খবর আবারও সংবাদপত্রে আসা শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রীটে এক সিঙ্গাপুর বংশোদ্ভূত ব্যক্তির উপর চার ব্যক্তি হামলা করে ব্যাপক মারধর করে। হামলাকারীরা বলে যে, ‘আমরা তোমার করোনাভাইরাস আমাদের দেশে চাই না’। ফেব্রুয়ারির শুরুতে নিউ ইয়র্কের সাবওয়ে স্টেশনে মাস্ক পড়া এক চীনা বংশোদ্ভূত মহিলার উপর হামলা করা হয় এবং তাকে ‘রোগের বাহক’ বলে আখ্যা দেয়া হয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় এক এশিয় পরিবারের গাড়ির উপর করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গালাগালি লেখা হয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে এক স্কুলে চীনা বংশোদ্ভূত এক ছাত্রকে কাশি দেবার কারণে শিক্ষক নার্সের কাছে যেতে বলেন, যদিও অন্যদের জন্যে তিনি তা বলেননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৬ই মার্চ এক টুইটার বার্তায় করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে আখ্যা দেবার সাথেসাথেই চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের মাঝে নতুন করে শংকা দেখা দিয়েছে। নিউ ইয়র্কের জনপ্রতিনিধি গ্রেইস মেং একজন চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিনী। তিনি ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’এর সাথে সাক্ষাতে বলেন যে, বিভিন্ন দেশে চীনাদের বিরুদ্ধে হয়রানি এবং আক্রমণের ঘটনার খবর শুনে মনে হয় যে, চীনা বংশোদ্ভূত জনগণকে এখনও বিদেশী বলেই আখ্যা দেয়া হয়। পত্রিকাটা বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে যুগের পর যুগ বর্ণবাদ এবং বৈষম্য পেরিয়ে এশিয় বংশোদ্ভূতরা অনেক আশা নিয়ে একুশ শতক শুরু করেছিল। তিনজন এশিয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছেন, যা কিনা এশিয়দের মাঝে আশার সঞ্চার করেছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর থেকে মার্কিন শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীরা এশিয় বংশোদ্ভূতদেরকে ভাইরাসের সংক্রমণের জন্যে দায়ি করতে থাকে এবং একইসাথে এশিয়দের উপর বিপুল সংখ্যায় আক্রমণ আসতে থাকে। শতশত মানুষ হামলার কথা রিপোর্ট করলেও বহু মানুষ এব্যাপারে কোন রিপোর্টই করেনি।
   
 
বহু আগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে চীনাদেরকে অপেক্ষাকৃত নিচু স্তরের, নোংড়া এবং রুগ্ন মানুষ হিসেবে দেখা হতো। ১৮৭০ সাল থেকে চীন থেকে আসা শ্রমিকদেরকে শ্বেতাঙ্গরা তাদের চাকুরি হারাবার কারণ হিসেবে দেখতে থাকে। ১৮৮২ সালে এক আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শ্রমিকের আসা বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর ১৯৪০এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জাপানিদের ভাগ্যে জোটে ব্যাপক অত্যাচার। যুক্তরাষ্ট্রে বরাবরই এশিয় এবং অন্যান্য অশ্বেতাঙ্গ দেশ থেকে আগত জনগণকে অপেক্ষাকৃত নিম্ন স্তরের মানুষ এবং রোগের বাহক হিসেবে দেখা হয়েছে।




জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর রসালিন্ড চৌ বলছেন যে, তিনি এখন জনসন্মুখে কাশি দিতেও ভয় পান। কারণ তিনি মনে করছেন যে, এশিয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তাকে কাশি দিতে দেখে অন্যরা সেটাকে কিভাবে দেখবে। ‘দ্যা গার্ডিয়ান’এর সাথে কথা বলতে গিয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর ক্লেয়ার জীন কিম বলেন যে, বহু আগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে চীনাদেরকে অপেক্ষাকৃত নিচু স্তরের, নোংড়া এবং রুগ্ন মানুষ হিসেবে দেখা হতো। ১৮৭০ সাল থেকে চীন থেকে আসা শ্রমিকদেরকে শ্বেতাঙ্গরা তাদের চাকুরি হারাবার কারণ হিসেবে দেখতে থাকে। ১৮৮২ সালে এক আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শ্রমিকের আসা বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর ১৯৪০এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জাপানিদের ভাগ্যে জোটে ব্যাপক অত্যাচার। যুক্তরাষ্ট্রে বরাবরই এশিয় এবং অন্যান্য অশ্বেতাঙ্গ দেশ থেকে আগত জনগণকে অপেক্ষাকৃত নিম্ন স্তরের মানুষ এবং রোগের বাহক হিসেবে দেখা হয়েছে। ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে গাড়ির ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা কিছু লোক ভিনসেন্ট চিন নামে এক চীনা আমেরিকানকে পিটিয়ে হত্যা করে। সেসময় তারা তাদের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্যে এশিয়দেরকে দায়ি করেছিল। এরপর ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের পর থেকে বাদামি বর্ণের যেকোন মানুষ দেখলেই তাকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়া হতো। এখন করোনাভাইরাসের প্রভাব কবে কমবে, তা যেহেতু কেউই বলতে পারছে না, তাই এশিয়দের বিরুদ্ধে মার্কিন উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গদের আক্রমণাত্মক এই অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

‘দ্যা আটলান্টিক’এর এক লেখায় বলা হচ্ছে যে, পশ্চিমা সমাজে মহামারী সবসময়েই ভীতির সঞ্চার করেছে। আর এই ভীতি শেষ পর্যন্ত বৈষম্যের মাঝ দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণের সময় পূর্ব এশিয়দের টার্গেট করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে ইবোলা ভাইরাসের কারণে টার্গেট করা হয়েছিল আফ্রিকানদের। ইবোলা ভাইরাসের নাম দেয়া হয়েছে আফ্রিকার একটা নদীর নামে; যেকারণে এই ভাইরাসটা স্বাভাবিকভাবেই আফ্রিকান ভাইরাস হিসেবে পরিচিতি পায়। ২০১২ সালে সংক্রমিত হওয়া ‘মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম’ বা ‘মার্স’ ভাইরাসের নামের সাথেই মধ্যপ্রাচ্যকে জুড়ে দেয়া হয়। এবারে করোনাভাইরাসকে একইভাবে অনেক মার্কিন নেতারা ‘উহান ভাইরাস’ বলে আখ্যা দিতে কার্পণ্য করেননি। ইউরোপের উগ্রবাদী ডানপন্থী নেতারা ভাইরাসের সংক্রমণকে যুক্ত করতে চাইছেন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের সাথে। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেনে ডানপন্থী নেতারা ভাইরাস সংক্রমণের কারণ হিসেবে এশিয় এবং আফ্রিকান অভিবাসীদের দুষতে ভুল করেননি। ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মিরি সং ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের সাথে এক সাক্ষাতে বলেন যে, মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছুতোয় বাহ্যিকভাবে আলাদা করা যায় এমন গ্রুপগুলিকে টার্গেট করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের মতো দেশে এটা বাকিদের চাইতে অনেক বেশি হয়েছে। ‘নাইন ইলেভেন’এর পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা, বা আরব, মুসলিম এবং শিখদের উপর হামলা বেড়ে যায়। ব্রিটেনেও ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট গণভোটের পর থেকে জাতিগত এবং ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হামলার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
  
  
চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপে প্লেগের আবির্ভাব হয়, যা ‘ব্ল্যাক ডেথ’ বলে পরিচিত। সেসময় ইউরোপিয়রা মনে করেছিল যে, ইহুদী বণিকরা সিল্ক রুটের মাধ্যমে ইউরোপে প্লেগ এনেছিল। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে সারা ইউরোপে ইহুদীদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার চলেছিল। ১৩৪৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ গণহত্যা ছিল সবচাইতে ভয়াবহ; যখন ২ হাজার ইহুদীকে স্ট্রাসবুর্গ শহরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। মানুষকে রোগের বাহক বা তেলাপোকার সাথে তুলনা দিলে হত্যা করাটা সহজতর হয়েছে। এই কথাগুলি পশ্চিমা সমাজের গোঁড়ার সমস্যাকেই তুলে ধরে। করোনাভাইরাস এই সমস্যাকে শুধু আরেকবার সামনে নিয়ে এলো মাত্র।



ইউনিভার্সিটি অব বাথএর প্রফেসর ব্র্যাড ইভান্স ব্রিটেনের ‘দ্যা ইন্ডেপেন্ডেন্ট’এর এক লেখায় পশ্চিমা সমাজের বর্ণবাদের ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপে প্লেগের আবির্ভাব হয়, যা ‘ব্ল্যাক ডেথ’ বলে পরিচিত। সেসময় ইউরোপিয়রা মনে করেছিল যে, ইহুদী বণিকরা সিল্ক রুটের মাধ্যমে ইউরোপে প্লেগ এনেছিল। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে সারা ইউরোপে ইহুদীদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার চলেছিল। ১৩৪৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ গণহত্যা ছিল সবচাইতে ভয়াবহ; যখন ২ হাজার ইহুদীকে স্ট্রাসবুর্গ শহরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। ইভান্স বলছেন যে, বর্ণবাদ ও জাতিগত বিদ্বেষ পশ্চিমাদের জীবনব্যবস্থার মাঝে গেঁথেই ছিল। ব্যক্তিস্বাধীনতার মতো পশ্চিমা চিন্তাগুলি এই বিদ্বেষকে নিয়ন্ত্রণ তো করেইনি, বরং লালনপালন করেছে। প্রতিটা গণহত্যার সময়ই সমাজের কিছু মানুষকে ইঁদুরের সাথে তুলনা দেয়া হয়েছে; বলা হয়েছে যে, এরা হলো রোগের বাহক। মানুষকে রোগের বাহক বা তেলাপোকার সাথে তুলনা দিলে হত্যা করাটা সহজতর হয়েছে। ইভান্সএর কথাগুলি পশ্চিমা সমাজের গোঁড়ার সমস্যাকেই তুলে ধরে। করোনাভাইরাস এই সমস্যাকে শুধু আরেকবার সামনে নিয়ে এলো মাত্র।


No comments:

Post a Comment