Thursday 9 April 2020

করোনা দুর্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তুহারাদের কি হবে?

৯ই এপ্রিল ২০২০
 
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লাস ভেগাস শহরের কর্মকর্তারা ক্যাশম্যান সেন্টার নামের কনভেনশন সেন্টারের পার্কিং লটে খোলা আকাশের নিচে বাস্তুহারা মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করে, যখন শহরের হোটেলগুলি সম্পূর্ণ খালি। এ নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্যাসিনো শহর’ বলে পরিচিত লাস ভেগাসে বাস্তুহারা মানুষদের একজনের মাঝে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরার পর থেকে ৫’শ মানুষের থাকার জায়গা হচ্ছে না। শহরের ক্যাথলিক চ্যারিটি এই লোকগুলিকে একটা আশ্রয়স্থলে থাকার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু মার্চের শেষের দিকে সেই আশ্রয়স্থলে থাকা এক বাস্তুহারার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পরার পর নতুন স্থান খোঁজা শুরু হয়। লাস ভেগাস শহর, ক্লার্ক কাউন্টি এবং নেভাডা রাজ্যের কর্মকর্তারা শহরের ক্যাশম্যান সেন্টার নামের কনভেনশন সেন্টার ও বেইসবল স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের পার্কিং লটে খোলা আকাশের নিচে এই মানুষগুলির থাকার ব্যবস্থা করে। এই ব্যবস্থায় পার্কিং লটের পাকা স্থানে ছয় ফিট দূরত্ব রেখে সাদা রঙের দাগ দিয়ে বক্স এঁকে দেয়া হয়। সাদা দাগ দেয়া একেকটা বক্সের মাঝে একেকজন বাস্তুহারার শোবার ব্যবস্থা করা হয়। এই থাকার ব্যবস্থার ছবি প্রকাশ পাবার পর থেকে সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন যে, এটা হলো একটা ব্যর্থ সমাজের চিত্র, যা কিনা এর নাগরিকদের একেবারে মৌলিক চাহিদাও পূরণ করতে অক্ষম। আরেকটা মন্তব্য আসে যে, নেভাডা হলো বিশ্বের সবচাইতে ধনী একটা দেশের একটা রাজ্য, যেখানে পার্কিং লটের কংক্রিটের উপর বক্স এঁকে বাস্তুহারাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরেকজন মন্তব্য করেন যে, লাস ভেগাস শহর তাদের বাস্তুহারাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে পার্কিং লটে, যখন শহরের হোটেলগুলি একেবারেই খালি! এই ছবি দেখেই এই দেশের সব ভুলগুলি বোঝা যায় এবং করোনাভাইরাস দুর্যোগের ব্যাপারে দেশটার সিদ্ধান্তের সমস্যাগুলি ধারণা করা যায়। মন্তব্যগুলির পিছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেনসাস ব্যুরো’র হিসেবে লাস ভেগাস শহরের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। মাথাপিছু আয় ২৯ হাজার ডলারের বেশি। তবে পুরো জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশ বা এক লাখের মতো মানুষ দরিদ্র্য।

নিউ ইয়র্ক শহরের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, শহরের পাঁচটা হোটেলে রুম লিজ নিয়ে ৭’শ বাস্তুহারা মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের ‘ডিপার্টমেন্ট অব সোশাল সার্ভিসেস’এর হিসেবে দু’শর বেশি বাস্তুহারা মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। অন্যদিকে ‘রয়টার্স’ বলছে যে, করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো শহরের ১০ হাজার বাস্তুহারা মানুষকে সেখানকার কর্মকর্তারা কোয়ার‍্যান্টাইন বা আলাদা করে রাখার জন্যে সাড়ে ৪ হাজার হোটেল রুম বুক করছে। তবে শহরের কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চাইছে ১৪ হাজার রুম বুকিংএর ব্যবস্থা করে শহরের সব বাস্তুহারাদের আলাদা করার ব্যবস্থা করা। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মাঝে সান ফ্রান্সিসকো শহরের বাস্তুহারাদের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। শহরের কর্মকর্তারা সুনাম ক্ষুন্ন হবে মনে করে হোটেলগুলির নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরগুলিও হোটেল রুমগুলি ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। তবে অনুসন্ধিৎসু সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারসেপ্ট’ এই চেষ্টাগুলিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা বলছেন যে, নিউ ইয়র্কের ৬৩ হাজার বাস্তুহারা হয় শহরের সাড়ে ৪’শ আশ্রয়স্থলে অথবা রাস্তায় থাকছে। ‘দ্যা আরবান জাস্টিস সেন্টার’এর সমাজসেবা কাজের সুপারভাইজর ক্রেইগ হিউজ বলছেন যে, নিউ ইয়র্ক শহরে ১ লক্ষ হোটেল রুম খালি পড়ে রয়েছে, যেখানে সব বাস্তুহারা মানুষেরই থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব। বাস্তুহারাদের একজন ভিক্টোরিয়া উলফ দুঃখ করে বলেন যে, দেশের দ্বিতীয় সারির নাগরিক হিসেবে তাদের দেখা হচ্ছে; কয়েদীদের মতোই।
   
  
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেবে মোট ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭’শ ১৫ জন মার্কিনী ছিল বাস্তুহারা। বাস্তুহারাদের মাঝে ৬৩ শতাংশ বিভিন্ন সংস্থার আশ্রমে থাকলেও বাকিরা এখনও রাস্তায় ঘুমায়। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ঘুমানো মানুষের ৫৩ শতাংশ বা ১ লক্ষ ৮ হাজারের বেশি ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে।



বিশ্বব্যাংকের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৩ হাজার ডলার। তথাপি দেশটাতে সকল মানুষের থাকার জায়গা নেই। মার্কিন ‘ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং এন্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট’এর হিসেব বলছে যে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে মোট ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭’শ ১৫ জন মার্কিনী ছিল বাস্তুহারা। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ছিল ৩ শতাংশ বেশি। ক্যালিফোর্নিয়াতে এই বৃদ্ধি ছিল সবচাইতে বেশি। এক বছরের মাঝে সেখানে বাস্তুহারার সংখ্যা সাড়ে ১৬ শতাংশ বা ২১ হাজার বেড়ে যায়। এর মাঝে নিউ ইয়র্ক শহরে ছিল সবচাইতে বেশি ৭৮ হাজার ৬’শ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল লস এঞ্জেলেস শহর এবং কাউন্টি; সেখানে বাস্তুহারা ৫৬ হাজারেরও বেশি। এছাড়া সিয়াটলে ১১ হাজার, সান জোসে প্রায় ১০ হাজার, সান ডিয়েগোতে ৮ হাজার, সান ফ্রানসিসকোতে ৮ হাজার, ওকল্যান্ডে ৮ হাজার, সান্টা আনাতে ৮ হাজার, ফিনিক্সএ ৬ হাজার ৬’শ, ওয়াশিংটন ডিসিতে সাড়ে ৬ হাজার বাস্তুহারা। এই বাস্তুহারাদের মাঝে ৬৩ শতাংশ বিভিন্ন সংস্থার আশ্রমে থাকলেও বাকিরা এখনও রাস্তায় ঘুমায়। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ঘুমানো মানুষের ৫৩ শতাংশ বা ১ লক্ষ ৮ হাজারের বেশি ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে, যেখানে মাথাপিছু আয় ৩৫ হাজার ডলারেরও বেশি। রাস্তায় ঘুমানো মানুষের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার, যা হলো ফ্লোরিডা রাজ্যে।

সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার পত্রিকা ‘দ্যা মার্কারি নিউজ’এর সাথে কথা বলতে গিয়ে সান্টা ফে কাউন্টির অফিস অব সাপোর্টিভ হাউজিংএর ডিরেক্টর কাই লী বলেন যে, বাস্তুহারা মানুষগুলির স্বাস্থ্যের অবস্থা অন্যদের চাইতে আরও বেশি খারাপ থাকে। কাউন্টির সরকার প্রতিটা হোটেলকে একেকটা রুমের দিনপ্রতি ভাড়া হিসেবে ১’শ ডলার করে দিচ্ছে। তবে হোটেল রুমে থাকার ব্যবস্থা হলেও মানুষগুলির জন্যে খাদ্য এবং অন্যান্য সার্ভিসের ব্যবস্থা করাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোটেল রুমগুলির অর্থায়নের পরিকল্পনার কিছুটা জানা যায় যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের ‘সিনসিনাট ডক কম’ অনলাইন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে। রাজ্যের হ্যামিল্টন কাউন্টির কমিশনাররা হিসেব করছেন যে, ৩’শ ৩০টা হোটেল রুম তারা কমপক্ষে ৪৫ দিনের জন্যে বুকিং দিচ্ছেন, যেখানে তাদের খরচ হবে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার। এই অর্থ তারা মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইবেন। হ্যামিল্টন কাউন্টি এপ্রিল মাসের মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১’শ মিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ পেতে যাচ্ছে। তবে তারা এখনও নিশ্চিত নন যে, মার্কিন সরকার বাস্তুহারাদের থাকার জন্যে খরচকে এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় গণ্য করবে কিনা। ‘স্ট্র্যাটেজিস টু এন্ড হোমলেসনেস’ নামের এক এনজিওএর প্রেসিডেন্ট কেভিন ফিন বলছেন যে, বেশিরভাগ বাস্তুহারা মানুষই আগের মতোই আশ্রয়স্থলে থাকবে। তবে কিছু লোককে আলাদা করে হোটেলে রাখা গেলে আশ্রমে থাকা মানুষগুলি কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে থাকতে পারবে। তিনি আরও বলেন যে, হোটেলে রাখা মানুষগুলি মূলতঃ বৃদ্ধ অথবা যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা রয়েছে। করোনাভাইরাসে এদেরই ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি।
 
সান ডিয়েগোর বাস্তুহারাদের একটা আশ্রয়স্থল। খুব অল্প স্থানে বসবাসের কারণে এখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। তাই কিছু বাস্তুহারাকে বিভিন্ন শহরের খালি পড়ে থাকা হোটেলগুলিকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

 

সান ফ্রানসিসকো শহরের বোর্ড অব সুপারভাইজরএর সদস্য ম্যাট হ্যানি ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন যে, শেষ পর্যন্ত চিন্তা করতে হবে যে, প্রতিটা মানুষের জীবনকে প্রকৃতপক্ষে মূল্য দিয়ে দেখা হচ্ছে কিনা। যাদের বাড়ি রয়েছে, তারা বাড়ির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। কিন্তু শহরের বাস্তুহারা লোকগুলিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বিপদের দিকে; যার কারণে বাকিরা সকলেই বিপদে পড়বে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম বলছেন যে, শহরের হোটেল রুমগুলি বাস্তুহারাদের জন্যে বরাদ্দ দিতে যা খরচ হবে, তার ৭৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ বহন করবে। তবে শুধুমাত্র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা শারীরিকভাবে দুর্বলদেরকেই কেন হোটেল রুমে রাখা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন অনেকে। ‘কোয়ালিশন অন হোমলেসনেস’এর এক মানবাধিকার কর্মী কেলি কাটলার এই নীতির সমালোচনা করে বলেন যে, এটা একটা জীবন মরণ সমস্যা; অথচ হোটেল রুমগুলি এখন খালি পড়ে রয়েছে। তবে সান ফ্রানসিসকোর মেয়ন লন্ডন ব্রীড পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, শহরের সকল বাস্তুহারা মানুষকে হোটেলে রাখা সম্ভব নয়। ‘দ্যা গার্ডিয়ান’এর এক চিঠির জবাবে শহরের হিউম্যান সার্ভিসেস এজেন্সির ডিরেক্টর ট্রেন্ট রোরার সরাসরিই বলেন যে, আগামী দুই বছরে শহরের বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে ১ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায় শহরের সকল বাস্তুহারার জন্যে হাজার হাজার হোটেল রুম বুকিং করাটা যুক্তিযুক্ত হবে না। সান ফ্রানসিসকো শহরের একজন সুপারভাইজর ডীন প্রেসটন এই নীতির সমালোচনা করে বলছেন যে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে শহরের জনগণকে বাড়িতে থাকতে এবং দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে বাস্তুহারাদের দূরত্ব বজায় রেখে থাকার জন্যে কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকাটা একটা বিরাট সমন্বয়হীনতা; যা কিনা বাস্তুহারাদের প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিচায়ক। ‘ওয়েস্টার্ন রিজিওনাল এডভোক্যাসি প্রজেক্ট’এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পল বোডেন সারসংক্ষেপে বলেন যে, আসলে মানুষ মনে করছে না যে বাস্তুহারারা হোটেল রুমে থাকার যোগ্য! এদেরকে শুধুমাত্র দৃষ্টির অগোচরে রাখতে পারলেই হলো।

যুক্তরাষ্ট্রে বাস্তুহারা মানুষের দুর্দশা পশ্চিমা পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার একটা স্বাভাবিক চিত্রই বটে। পৃথিবীর সবচাইতে ধনী দেশগুলির একটা হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। মাথাপিছু ৬৩ হাজার ডলারের আয় যে কতটা অন্তসারশূণ্য, তা বাস্তুহারাদের চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। তদুপরি, করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মাঝেও এই মানুষগুলির থাকার স্থান নিয়ে চলছে দরকষাকষি। মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজের মাঝ থেকে কিছু অর্থ আলাদা করে বিভিন্ন শহর, কাউন্টি এবং রাজ্যের সরকারগুলি বিভিন্ন হোটেলে বাস্তুহারাদের থাকার ব্যবস্থা করছে। এই ব্যবস্থায় হোটেল মালিকদের ক্ষতি পোষাবার ব্যবস্থা হচ্ছে শুধু; বাস্তুহারাদের মাথা গোঁজার সমস্যার স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছে না। অর্থাৎ মার্কিন ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থ যাচ্ছে হোটেল মালিকদের পকেটে। শুধু তা-ই নয়, সমাজে বাস্তুহারাদের প্রতি যে বৈষম্যের দৃষ্টিভঙ্গি লালনপালন করা হয়েছে, তা বাস্তুহারাদের দুর্দশাকে স্থায়ী রূপ দিয়েছে। এহেন বৈষম্যপূর্ণ ব্যবস্থা মার্কিনীদের বিবেককেও নাড়া দিয়েছে, যা কিনা লাস ভেগাসের পার্কিং লটে বাস্তুহারাদের থাকার ব্যবস্থা করার পর সোশাল মিডিয়াতে জনগণের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়। একইসাথে এই চিত্রগুলি জনগণের সামনে উন্নত দেশের মাথাপিছু গড় আয়ের দম্ভটাকেও এখন অন্তসারশূণ্য করে দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment