Saturday 11 April 2020

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের “জয়লাভ”?

১১ই এপ্রিল ২০২০




নতুন করে সংক্রমণের সম্ভাবনাগুলি উহানের ঝলমলে আলোকসজ্জার ঝলকানিতে হারিয়ে যাক, এমনটাই যেন চাইছে চীন


৭ই এপ্রিল চীন ঘোষণা দেয় যে, জানুয়ারি থেকে প্রথমবারের মতো এই দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারুর মৃত্যু হয়নি। মোট ৬৩ জনের মাঝে নতুন করে সংক্রমণের কথা বলা হয়; যার মাঝে ৬১ জনই দেশের বাইরে থেকে আসা। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমে আসায় চিনে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে শুরু করেছে। ৮ই এপ্রিল উহান শহরের মানুষকে ১১ সপ্তাহের মাঝে প্রথমবারের মতো শহর ছাড়তে অনুমতি দেয়া হয়। চীনা সরকার বলছে যে, ২’শ ২১টা ফ্লাইটে করে ৭ হাজার মানুষ শহর ছেড়ে যায়; আর সাড়ে ৪ হাজার মানুষ শহরে ঢোকে। এছাড়াও পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ সড়কপথ ব্যবহার করে। তবে উহানের মানুষ অন্য শহরে যেতে পারলেও সেখানে তাদের নতুন করে ভাইরাসের টেস্ট করা হবে এবং বাধ্যতামূলক কোয়ার‍্যানটিনে রাখা হবে। তথাপি, চীন সরকার তার সফলতাগুলিকে ফলাও করে প্রচার করতে ভুলেনি। পুরো উহান শহর জুড়ে আয়োজন করা হয় চোখ ধাঁধাঁনো আলোকসজ্জার। সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয়া হয় যে, চীন ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ ‘জয়লাভ’ করেছে! কিন্তু আসলেই কি তাই?

চীনের উহান শহরকে যখন করোনাভাইরাস মুক্ত ঘোষণা করে উৎসব করা হলো, তখনই খবর এলো যে, সীমান্ত শহর সুইফেনহেতে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সুইফেনহে হলো চীনের সর্বপূর্বের রাজ্য হাইলংজিয়াংএর সীমান্ত শহর। রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের প্রধান শহর ভ্লাডিভস্টকের সাথে চীনের স্থলযোগাযোগ এই পথেই। শহরটা ভ্লাডিভস্টক থেকে মাত্র দেড়’শ কিঃমিঃ দূরে। রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে ‘চায়না ডেইলি’ জানাচ্ছে যে, ৮ই এপ্রিল সেখানে নতুন করে ২৫ জনের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এদের মাঝে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এতে করে এই রাজ্যের মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৭তে। পুরো চীনে এইদিনে মোট ৫৯ জনের মাঝে সংক্রমণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ পুরো দেশের প্রায় অর্ধেক সংক্রমণই পাওয়া গিয়েছে সুইফেনহেতে। আক্রান্ত সকলেই চীনা নাগরিক। এরা রাশিয়ার মস্কো থেকে বিমানে এসেছিলেন ভ্লাডিভস্টক; সেখান থেকে সড়কপথে সুইফেনহে। নতুন আক্রান্ত সকলকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং মস্কো থেকে আসা বিমানের বাকি যাত্রীদেরকে কোয়ার‍্যানটাইনে রাখা হয়েছে। তবে এই হিসেবের বাইরেও আরেকটা হিসেব আছে। ঐ ২৫ জন ছাড়াও একইদিনে এই রাজ্যে আরও ৮৬ জনের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়, যাদের শরীরে কোন লক্ষণ প্রকাশিত হয়নি। অর্থাৎ একদিনে মোট ১’শ ১১ জনের মাঝে ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সকলেই এসেছে রাশিয়া থেকে। এর একদিন আগেই রাশিয়ার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া অবশ্য চীনের সাথে সীমান্ত বন্ধ করেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। এখন থেকে রাশিয়াফেরত চীনা নাগরিকদেরকে সুইফেনহে এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। হাইলংজিয়াং রাজ্যে এখন পর্যন্ত লক্ষণসহ আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে ৮৬ জন, আর লক্ষণছাড়া আক্রান্ত মিলেছে ১’শ ৪৬ জন। অর্থাৎ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২’শ ৩২ জন। সুইফেনহে শহরের বাসিন্দাদেরকে নিজ বাসগৃহে থাকতে বলা হয়েছে; যদিও এটা উহানের মতো কঠোর লকডাউন নয়। ‘বিবিসি’র সাথে কথা বলতে গিয়ে সেখানকার এক বেকারি শপের মালিক বলেন যে, অনেকেই ইতোমধ্যেই এই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছে। সুইফেনহের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখের মতো হলেও হাইলংজিয়াং রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। সুইফেনহে সড়কপথে রাজ্যের রাজধানী হারবিনের সঙ্গে সংযুক্ত, যার জনসংখ্যা ১ কোটির উপরে। অর্থাৎ জনসংখ্যার আকারে এই শহর উহানের মতোই। সুইফেনহে একইসাথে পার্শ্ববর্তী রাজ্য জিলিনের সাথেও যুক্ত।
   



৮ই এপ্রিল চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কমিউনিস্ট পার্টির এক সভায় দেশের বাইরে থেকে নতুন করে করোনাভাইরাসের আগমণ এবং দেশের ভেতর নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার কথা বলেন। মার্কিন মিডিয়া ‘সিএনএন’ চীনের আরোগ্যপ্রাপ্তি এবং নতুন সংক্রমণের মাঝামাঝি বিপজ্জনক অবস্থানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’এর এক লেখায় গবেষকেরা বলেন যে, যেহেতু এই রোগের ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, আর যেহেতু সামষ্টিকভাবে জনগণের দেহে এই রোগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ এখনও তৈরি করা সম্ভব হয়নি, তাই এই ভাইরাস খুব সহজেই নতুন করে মাথা চাড়া দিতে পারে; বিশেষ করে যখন ব্যবসা বাণিজ্য, কারখানা এবং স্কুল খুলে দেয়ায় সামাজিকভাবে মানুষ কাছাকাছি আসতে থাকবে, তেমনি দেশের বাইরে থেকে রোগের সংক্রমণ হবার আশংকাও বাড়বে।

নতুন করে সংক্রমণের সাথে সাথে চীনা সরকারের সংক্রমণের সংখ্যাগুলি নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। ৭ই এপ্রিল পর্যন্ত চীনের সরকারি হিসেবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৭’শ ৪০ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩’শ ৩১ জন। এর দু’দিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস করোনাভাইরাসের মহামারি দ্রুততার সাথে খুঁজে পাওয়া এবং স্বচ্ছতার সাথে সংক্রমণের উপরে রিপোর্ট করার জন্যে চীনের প্রশংসা করেন। তবে অনেকেই এখনই ঘেব্রেইসাসের মতো প্রশংসার বাণী দিতে নারাজ। ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মন্ত্রী মাইকেল গোভ ‘বিবিসি’র সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন যে, চীনের রিপোর্টগুলির মাঝে রোগের ব্যাপ্তি, ধরণ এবং সংক্রমণের ভয়াবহতার পুরোপুরি ধারণা পাওয়া যায়নি। এর এক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন যে, চীনের সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যাগুলি কিছুটা কমের দিকেই মনে হয়। তবে অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদই চীনের রিপোর্ট করা সংখ্যাগুলিকে বিশ্বাস করতে রাজি নন। পশ্চিমা বিশ্বে এই ভাইরাসের সংক্রমণে ব্যাপক প্রাণহানি হবার পর কেউ কেউ চীনের কাছে উপদেশ চেয়েছে। তবে পশ্চিমারা অনেকেই চীনের সংখ্যাগুলিকে বিশ্বাস করছেন না। কারণ হিসেবে তারা চীনের লুকাছাপার ইতিহাসের কথাই তুলে ধরছেন। চীনের অর্থনীতি, বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সংখ্যাগুলি অনেক ক্ষেত্রেই অর্থনীতিবিদদের বিশ্বাসযোগ্যতা পায়নি। তাই কেউ কেউ মনে করছেন যে, যারা জিডিপি নিয়ে বানোয়াট সংখ্যা দিতে পারে, তাদের পক্ষে করোনাভাইরাসের সংখ্যা পরিবর্তন করে বলাটা আলাদা কিছু নয়।

ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক আলরিক মন্টগোমারি চীনের রিপোর্ট করা সংখ্যাগুলিকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি এ-ও বলেন যে, বেইজিং ইচ্ছে করেই বানোয়াট সংখ্যা দিচ্ছিল। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, অন্যান্য দেশও আক্রান্তদের সংখ্যার ব্যাপারে সম্পূর্ণ জ্ঞান রাখে না; কারণ সম্পূর্ণ তথ্য অনেক সময়েই পাওয়া যায় না, অথবা টেস্টিংএর ফলাফল ঠিকমতো আসেনা। একইসাথে ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টা ডেবোরা বার্ক্স বলছেন যে, ইতালি এবং স্পেনের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, চীনের অনেক তথ্যই সম্ভবতঃ সঠিকভাবে রিপোর্ট হয়নি।

উহানের মেয়র স্বীকার করেছেন যে, জানুয়ারির শুরু থেকে ২৩ তারিখে শহরজুড়ে লকডাউন শুরু করার আগ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হয়নি। ভাইরাসের ব্যাপারে প্রথম রিপোর্ট করা ডাক্তার লী ওয়েনলিয়াংকে চীনা সরকার জোরপূর্বক চুপ করায়। কিছুদিন আগেও জাপানের ‘কিয়োদো নিউজ’ বলে যে, চীনা ডাক্তারদেরকে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যাগুলিকে রিপোর্টে উল্লেখ না করতে বলা হয়। হংকং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথএর প্রফেসর বেন কাউলিং বলছেন যে, চীনারা উহানে সংক্রমণের শুরুর দিকে শুধুমাত্র মারাত্মকভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মানুষগুলির সংখ্যা রিপোর্ট করেছিল। পরবর্তীতে যেভাবে স্বল্প বা কোন লক্ষণ ছাড়াই রুগীর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছিল, সেই মাপকাঠি ধরলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩২ হাজারের মতো হবার কথা। অর্থাৎ এটা হতো চীনা সরকারের রিপোর্ট করা সংখ্যার তিনগুণ! শুধু তা-ই নয়, কিছুদিন আগ পর্যন্তও চীন লক্ষণবিহীন করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা সংক্রমণের সংখ্যার মাঝে দেখাতো নয়। এটা হাইলংজিয়াং রাজ্যের সংক্রমণের সংখ্যাগুলি দেখলেই পরিষ্কার হবে।

এদিকে ‘ব্লুমবার্গ নিউজ’ বলছে যে, মার্কিন ইন্টেলিজেন্সের একটা গোপন প্রতিবেদনের খবর তারা পেয়েছে, যা কিনা হোয়াইট হাউজের জন্যে তৈরি করা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ‘ব্লুমবার্গ’ বলছে যে, চীনারা শুরু থেকেই রোগের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যার ব্যাপারে ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট দিচ্ছিল। দু’জন কর্মকর্তা অবশ্য চীনাদের রিপোর্টকে পুরোপুরিই বানোয়াট আখ্যা দেন। এর জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন যে, চীন রিপোর্টিংএর ব্যাপারে পুরোপুরি স্বচ্ছ ছিল। তিনি আরও বলেন যে, ওয়াশিংটন চাইছে চীনের ঘাড়ে দোষ ফেলে দিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য এই রিপোর্টের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন। তবে বাকিরা চীনের ব্যাপারে অতটা নরম সুরে কথা বলেননি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলছেন যে, দুনিয়া জানতে পারার একমাস আগ থেকেই চীন এই ভাইরাস নিয়ে কাজ করছিল। রিপাবলিকান সিনেটর বেন সাসে চীন সরকারের দেয়া সংখ্যাগুলিকে ‘নষ্ট অপপ্রচার’ বলে মন্তব্য করেন। মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য মাইকেল ম্যাককল চীনকে করোনাভাইরাসের সাথে লড়াইয়ে বিশ্বাসযোগ্য পার্টনার হিসেবে দেখছেন না। তিনি বলেন যে, তারা এই রোগের মানুষ থেকে মানুষে ছড়াবার ব্যাপারে প্রথমে মিথ্যা বলেছিল। এরপর ডাক্তার এবং সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করেছিল।
  
উহানের ‘ফিউনেরাল হোম’এর বাইরে মানুষের বিশাল লাইন দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, মহামারির প্রকৃত চিত্র খুব সম্ভবতঃ মানুষের দৃষ্টির অগোচরেই রাখা হয়েছে



মার্চের শেষ সপ্তাহে খবর বের হয় যে, চীনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হুবেই রাজ্যের ‘ফিউনেরাল হোম’ বা শেষকৃত্যানুষ্ঠানের সংস্থাগুলি করোনাভাইরাসে মৃত বলে রিপোর্ট করা সংখ্যার বহুগুণে বেশি সংখ্যক ‘আর্ন’ বা মৃতের ভস্ম রাখার পাত্রের ডেলিভারি পেতে থাকে। চীনের মিডিয়া ‘কাইশিন’ বলে যে, শুধু উহানেই সাড়ে ৮ হাজার ‘আর্ন’ বা পাত্র এসে পৌঁছেছে। ‘রয়টার্স’ বলছে যে, একেকটা ‘ফিউনেরাল হোম’এর বাইরে মৃতদের বিশাল লাইন দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, মহামারির প্রকৃত চিত্র খুব সম্ভবতঃ মানুষের দৃষ্টির অগোচরেই রাখা হয়েছে।

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতির উহানের সবচাইতে খারাপ সময়ের সাথে তুলনা করলে যথেষ্টই উন্নতি হয়েছে। তবে বাকি দুনিয়ার কাছে চীন এখন বলতে চাইছে যে, তারা এই রোগ থেকে মুক্ত হতে সকলকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই তারা ইতালি, সার্বিয়া ছাড়াও আরও অনেক দেশকেই করোনা প্রতিরোধে সহায়তা দিয়েছে; যা কিনা বিশ্বব্যাপী চীনের প্রভাবকে বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে সুপারপাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে সংক্রমণ ঠেকাতেই হিমসিম খাচ্ছে। এমন একটা সময়ে চীন চাইছে না এই ভাইরাসের উৎপত্তি যে চীনে, তা নিয়ে কথা হোক; অথবা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে চীনা সরকারের তথ্যগোপণ এবং সিদ্ধান্তহীনতা এই রোগকে উহান তথা চীন থেকে বাকি দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করেছে, এব্যাপারে আলোচনা শুরু হোক। চীন চাইছে দুনিয়ার সামনে তার সাহায্যকারীর ছবিটাই প্রচার পাক; সমস্যা সৃষ্টিকারীর ছবি নয়। আর নতুন করে সংক্রমণের সম্ভাবনাগুলি উহানের ঝলমলে আলোকসজ্জার ঝলকানিতে হারিয়ে যাক, এমনটাই যেন চাইছে চীন।


No comments:

Post a Comment