Thursday 7 April 2022

ইউক্রেন যুদ্ধ… যুক্তরাষ্ট্র কি মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছে?

০৭ই এপ্রিল ২০২২

যুক্তরাষ্ট্র বারংবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মার্চ মাসে সকলকে অবাক করে দিয়ে আরব আমিরাত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিজেদের দেশে ডেকে নিয়ে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশগুলি এখন নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়নে এগুচ্ছে। তারা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল থাকতে চাইছে না। ইউক্রেন যুদ্ধ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আদর্শিক সুপারপাওয়ার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নগামীতাকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

 
৫ই এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্যে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন উপ সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব ডানা স্ট্রাউল মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘উইলসন সেন্টার’এ এক ভাষণে বলেন যে, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন হলো সাদা-কালোর ব্যাপার। এখানে কারুরই চুপ থেকে ধূসর কোন অবস্থানে থাকা উচিৎ নয়। তিনি বলেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির উচিৎ রাশিয়ার কর্মকান্ডের নিন্দা জানানো এবং ক্রেমলিনের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ কার্যকর করতে সহায়তা করা। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির ব্যাপারে স্ট্রাউল বলেন যে, এখানে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট সামরিক শক্তি রয়েছে; এবং এটা যুক্তরাষ্ট্র ধরে রাখবে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে, এই অঞ্চলে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা ছাড়াও আইসিসকে নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র এই শক্তি রাখবে। স্ট্রাউল যত দৃঢ়তার সাথেই কথাগুলি বলে থাকেন না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ২০২১এর অগাস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর পলায়নের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি নিরাপত্তাহীনতার মাঝে পড়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে, তাদের এখন মূল ভূরাজনৈতিক ফোকাস হলো চীন। তাই তারা বিশ্বের অন্যান্য স্থানে তাদের উপস্থিতিকে পূর্বের তুলনায় কমিয়ে ফেলছে।

‘মিডলইস্ট আই’এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার উপস্থিতি কমিয়ে ফেলার সাথেসাথে অত্র অঞ্চলের অনেক দেশই সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়ন করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে। তুরস্কের মতো আমিরাতও রাশিয়াকে একঘরে করে ফেলা থেকে বিরত রয়েছে। শুধু তাই নয়, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির সময়ে মার্কিন জনগণের জন্যে সুলভে তেল যোগাড় করতে মার্কিনীরা যখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকে তেলের বাজারে সরবরাহ বাড়াতে বলেছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন বন্ধু দেশ সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চাইছে না। এতে বহুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অত্র অঞ্চলের দেশগুলির তেলের বিনিময়ে নিরাপত্তার যে সমঝোতা ছিল, তা প্রশ্নের মাঝে পড়েছে। তেল রপ্তানিকারক রাষ্ট্রের সংগঠন ‘ওপেক’এর সদস্য দেশগুলি রাশিয়াকে সাথে করে গঠিত ‘ওপেক প্লাস’এর ২০২১ সালের সমঝোতা মোতাবেক তেলের উৎপাদন দৈনিক ৪ লক্ষ ব্যারেলের মাঝে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। এছাড়াও কিছুদিন আগেই ‘ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল’এর এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, সৌদিরা চীনাদের সাথে তেলের বাণিজ্য চালিয়ে নিতে ডলারের স্থলে ইউয়ানকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত পার্থক্য এখন অনেকগুলি ক্ষেত্রে। ‘ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল’ বলছে যে, গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতের উপর ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর হুথিদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট শক্ত অবস্থান না নেয়াকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি ভালোভাবে দেখেনি। এর আগে ২০১৯ সালে সৌদি আরবের তেলখনির উপর মারাত্মক হামলার পরেও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কোন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে যেতে চায়নি। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই সৌদি আরবের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে আসছেন; যা কিনা রিয়াদের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে চাপের মাঝে ফেলেছে। এছাড়াও বাইডেন প্রশাসন ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তির ব্যাপারেও অগ্রসর হয়েছে; যা কিনা সৌদি আরব এবং আমিরাতসহ অন্যান্য আরব দেশগুলিকে নিরাপত্তাহীনতার মাঝে ফেলেছে।

সিরিয়ার ব্যাপারেও আরব দেশগুলির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মতানৈক্য চলছে। ‘আল জাজিরা’ বলছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বারংবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মার্চ মাসে সকলকে অবাক করে দিয়ে আরব আমিরাত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিজেদের দেশে ডেকে নিয়ে আসে। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে কোন আরব দেশে প্রেসিডেন্ট আসাদের এটা প্রথম সফর। যুক্তরাষ্ট্র এই মুহুর্তে ইউক্রেনে রুশ মানবাধিকার লংঘনকে তুলে ধরতে সিরিয়াতে আসাদ সরকারের স্বপক্ষে একইরকম ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে রাশিয়ার কর্মকান্ডকে হাইলাইট করছে। বাশার আল আসাদের সরকার রাশিয়াকে ইউক্রেনের যুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। মার্কিন উপ সহাকারী সচিব ডানা স্ট্রাউল বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে যেমন আসাদ সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় না; তেমনি অন্য কোন দেশ আসাদ সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ফেলুক, সেটাও চায় না।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশগুলি এখন নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়নে এগুচ্ছে। তারা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল থাকতে চাইছে না। ‘রাইস ইউনিভার্সিটি’র ‘বেকার ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক পলিসি’র ফেলো ক্রিশ্চিয়ান কোটস আলরিকসেন বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং আফগানিস্তান থেকে পলায়নের ঘটনায় সৌদি এবং আমিরাতিরা সম্ভবতঃ যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা বুঝতে পারছে। তারা এমতাবস্থায় মনে করছে যে, বিভিন্ন ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ছাড় পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কনসাল্ট্যান্সি কোম্পানি ‘গালফ স্টেট এনালিটিক্স’এর প্রধান নির্বাহী জিওর্জিও কাফিয়েরো বলছেন যে, আমিরাতের কর্মকান্ডগুলি দেখিয়ে দেয় যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে নিজেদের নীতিনির্ধারণ করার চেষ্টা করছে। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে চলে যাচ্ছে না; বিশেষ করে ইস্রাইলের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের পর। তারা বরং মনে করছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অপছন্দনীয় পদক্ষেপ নিলেও তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম। আর বাইডেন প্রশাসনও এমন পরিস্থিতিতে সৌদি এবং আমিরাতিদের সাথে সংঘাত এড়িয়ে চলতে চাইছে। কারণ বেশি চাপ প্রয়োগ করলে এই দেশগুলি চীন এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্ককে আরও গভীর করে ফেলতে পারে।

ইউক্রেন যুদ্ধ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আদর্শিক সুপারপাওয়ার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নগামীতাকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিশ্বব্যাপী মার্কিনীদের অবস্থানকে দুর্বল করেছে। আর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পলায়নের ব্যাপারটা মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য অঞ্চলের মার্কিন বন্ধুদের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে, সেটা এখন ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বন্ধুরাও এখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত। আর এই মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এই দেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করার মতো অবস্থাও নেই। এটা পরিষ্কার যে, মধ্যপ্রাচ্য আগের মতো শক্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই। ধ্বসে পড়া একটা বিশ্বব্যবস্থাকে পুনর্জাগরিত করার মত কোন সমাধান এখন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ মার্কিন ডলারের অবস্থানও যখন প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে, তখন একদিকে ব্যবস্থাগত ত্রুটি যেমন চোখে পড়ছে, তেমনি বিকল্প বিশ্বব্যবস্থার চিন্তাগুলিও ক্রমেই গুরুত্ব পাচ্ছে।

6 comments:

  1. ধন্যবাদ।
    ইরানের সাথে নিউক্লিয়ার চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে যে মধ্যপ্রাচ্যে ব্লক সৃষ্টি হয়েছে, কয়েকদিন আগে যে মিট হল। সেটির প্রভাব কেমন পড়বে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. নেগেভ বৈঠকের উদ্দেশ্য আসলে কি ছিল, সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র যা চেয়েছিল (রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্য) তা পায়নি; মিশর যা বলেছে (ফিলিস্তিনের ব্যাপারে আলোচনা), তা ইস্রাইলের পছন্দ হয়নি; বাহরাইন, আমিরাত এবং ইস্রাইল ইরানের ব্যাপারে কথা বললেও মরক্কো কথা বলেছে আলজেরিয়া নিয়ে। আবার মিশর তাদের নিজস্ব সমস্যাগুলি তুলে ধরেছে যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেতে না বলে। মোট কথা, একেকজন নিজের স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছে। যে বৈঠকে একেকজন একেক কথা বলে, সেটার গুরুত্ব কতটুকু থাকে? আর এমন একটা বৈঠকের চেয়ারম্যান যদি যুক্তরাষ্ট্র হয়, তা অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাবকে একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে।

      আপনি 'কার্নেগি এনডাউমেন্ট'এর এই বিশ্লেষণটা পড়তে পারেন। এখানে প্রথমেই বলা হয়েছে - "The only major takeaway is the United States’ diminishing role in the region."

      https://carnegieendowment.org/2022/04/06/negev-summit-s-participants-had-wildly-different-goals-pub-86826

      Delete
  2. একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে প্রশ্ন ঃ

    ইউক্রেনে দ্য ওয়েস্ট (ইউ+) vs রাশিয়া যুদ্ধের পরিনাম কি ডিসাইড করবে, ইউ এর পতন দ্রুত হবে নাকি লেট হবে?
    ইউএস দ্বারা অর্জিত "রুল বেসড অর্ডার" এর পতন ত্বরান্বিত হওয়ার তথ্য কি এই যুদ্ধের পরিনামে জানা যাবে?

    ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেখুন, ইইউএর অবস্থা আরও আগে থেকেই শোচনীয়। ন্যাটোর অবস্থাও তাই। কেউ কেউ মনে করছেন যে, ন্যাটো আবার একত্রে জোড়া লেগে গেছে। যারা এটা বলছেন, তারা হয় সত্যটা জেনে গোপন করছেন, অথবা ভূরাজনীতির কিছুই বোঝেন না।

      ক্যাপিটালিজমের সাথেসাথে ইউরোপ হলো দুনিয়ার জাতিরাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদের উৎস। ইউরোপ কখনোই একত্রিত ছিল না; সারাজীবন তারা মারামারি করেছে; একে অপরকে হত্যা করেছে। তাদের চিন্তার গভীরে রয়েছে এই জাতীয়তাবাদ। একারণেই ইউরোপ কখনোই একত্রিত হতে পারেনি; পারবেও না।

      আর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থা যে এখন নামমাত্র টিকে আছে, সেটা সহজেই অনুমেয়। এটা বুঝতে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবার জন্যে কেন অপেক্ষা করতে হবে?

      Delete
    2. * ইউ জায়গায় ইউএস হত।
      যদি আপনি ইইউ এর কথা ভেবে রেস্পন্স করেছেন৷ যাই হোক ইউএস হলে কি অন্য কিছু আন্সার পেতাম?

      ধন্যবাদ ।

      Delete
    3. কোনকিছুই শূন্যস্থানে ঘটেনা। যুক্তরাষ্ট্রও এমনি এমনিই বিশ্বব্যাপী তার প্রভাব হারায়নি। দুই দশক তথাকথিত 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' যুক্তরাষ্ট্রকে নিচে নামিয়ে এনেছে। এটা একদিনে যেমন হয়নি, তেমনি এটার পরিণতি যে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে পলায়ন এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যবস্থা ধ্বসে পড়ার অবস্থা তৈরি করবে, সেটা ২০০১ সালে কি কেউ বুঝেছিল? গত দুই দশকে প্রতিটা ঘটনাই যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল হবার পিছনে দায়ী ছিল অথবা দুর্বলতার লক্ষণ হিসেবে সামনে এসেছে। আপনি 'মার্কিন দুনিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া' বইটা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমান্বয়ে দুর্বল হবার ব্যাপারে একটা ধারণা পাবেন।

      https://koushol.blogspot.com/2019/02/markin-duniyay-poribortoner-haoa.html

      Delete