Monday 6 December 2021

সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে কেন অস্ট্রেলিয়ার সৈন্য মোতায়েন?

০৬ই ডিসেম্বর ২০২১

২০০৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে অস্ট্রেলিয়ার সেনা মোতায়েন ছিল দেশটার আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের দ্বন্দ্বকে পুঁজি করেই। এখন নতুন করে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব আবারও সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সেনা মোতায়েনের সুযোগ করে দিয়েছে। যদিও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে ‘গ্রেট পাওয়ার’ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তথাপি ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’ চিন্তার অংশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এই অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রভাবশালী অবস্থানে থাকতে চায়। সহিংসতায় সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরগুলি সেক্ষেত্রে ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’এর জন্যে প্রভাব ধরে রাখার ছুতো মাত্র।

 
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারেএর পদত্যাগ দাবি করে গত ২৪শে নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদী সমাবেশ খুব শীঘ্রই সহিংসতায় রূপ নেয়। ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ পত্রিকা বলছে যে, মালাইতা দ্বীপ থেকে আসা বেশকিছু লোক গুয়াদালকানাল দ্বীপে অবস্থিত রাজধানী হোনিয়ারাতে সহিংসতায় যোগ দেয়। প্রায় হাজার খানেক লোক পার্লামেন্ট ভবন কমপ্লেক্সের একাংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ যখন জনগণকে পার্লামেন্ট ভবন থেকে সরাবার চেষ্টা করছে, তখন হোনিয়ারা শহরে শুরু হয় লুটতরাজ। পরদিন হোনিয়ারার চায়না টাউনে চীনা মালিকানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শহর আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার পর সলোমোনের প্রধানমন্ত্রী সোগাভারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সহযোগিতা চান। ২৪ ঘন্টার মাঝেই অস্ট্রেলিয় সরকার হোনিয়ারাতে সেনা মোতায়েন করে। নিউজিল্যান্ডও পরবর্তীতে সেখানে সেনা পাঠায়।

বর্তমান সমস্যার শুরুটা ছিল ২০১৯ সালে; যখন ৮ লক্ষ জনসংখ্যার দ্বীপ দেশ সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের সরকার ৫’শ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে তাইওয়ানের সাথে ৩৬ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। বিরোধী দলগুলি এবং গুয়াদালকানাল দ্বীপের প্রতিবেশী মালাইতাএর প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল সুইদানি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। ২০২০ সালে মালাইতাএর প্রাদেশিক সরকার সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের সরকারের আদেশ অমান্য করে তাইওয়ানের কাছ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা নেয়। ২০১৯ সালে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জ এবং কিরিবাতি দ্বীপ তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক কর্তনের পর বর্তমানে মাত্র ১৫টা দেশের সাথে তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকলো। এর মাঝে ৪টা দেশ হলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট দ্বীপ দেশ।

চীন এবং তাইওয়ানের মাঝে দ্বন্দ্ব

‘দ্যা অস্ট্রেলিয়ান ফিনানশিয়াল রিভিউ’এর এক লেখায় অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডাউনার বলছেন যে, সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারটা সবসময়েই চীনের কারণে ছিল। বেইজিং এবং তাইপে এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তারে যে প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে, তাতে এখানে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘমেয়াদী অবস্থান গ্রহণ করা ছাড়া উপায় নেই। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলিতে স্থিতিশীলতা দেখতে অস্ট্রেলিয়াকে অনেক সময় এবং সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ডাউনার। তবে তিনি বলেন যে, অনেকেই ভুল করে মনে করছেন যে, চীন এই অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়া এবং তার বন্ধুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে চীনের লক্ষ্য হলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলিকে তাইওয়ান থেকে দূরে রাখা। এই লক্ষ্যে তারা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সাফল্যও পেয়েছে। শুধুমাত্র নাউরু, পালাউ, তুভালু এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এখনও তাইওয়ানের কূটনৈতিক বন্ধু হিসেবে রয়েছে। উভয় পক্ষই দ্বীপগুলিকে নিজেদের পক্ষে রাখতে ঘুস দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া এই অঞ্চলে তাদের সাহায্য দেয়ার কর্মসূচি অব্যাহত রাখলেও এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা অস্ট্রেলিয়ার চেষ্টাকে সমস্যায় ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা মূলতঃ গণতান্ত্রিক শাসনযন্ত্রকে আরও কর্মক্ষম করার উদ্দেশ্যে।

 
অক্টোবর ২০১৯। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএর সাথে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে। কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে এগিয়ে থাকার জন্যে চীনারা যখন তাইওয়ানের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন অপেক্ষাকৃত বড় পুঁজির এই এশিয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেশগুলির উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। চীন এবং তাইওয়ানের কাছ থেকে মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেতে রাজনীতিবিদদের মাঝে জন্ম নিয়েছে লালসা; যা একইসাথে উস্কে দিয়েছে গুয়াদালকানাল এবং মালাইতাএর মাঝে আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের দ্বন্দ্ব। দামি এই অবকাঠামোগত বিনিয়োগের সামনে অস্ট্রেলিয়ার গণতান্ত্রিক কাঠামো শক্ত করার সহায়তাগুলি ম্লান হয়ে গিয়েছে।

ডাউনার বলছেন যে, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৩ সালে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে আইনশৃংখলা বজায় রাখতে তার সরকার সামরিক বাহিনী প্রেরণ করে। সেবার গুয়াদালকানাল দ্বীপের সাথে মালাইতা দ্বীপের দ্বন্দ্ব থেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালে এই বাহিনীকে তুলে নেয়া হয়। ডাউনারের কথায় সেটা ছিল একটা বড় ভুল। কারণ যদি সেখানে খুব ছোট একটা অস্ট্রেলিয় বাহিনী থাকতো, তাহলে হয়তো সেখানকার অবস্থা আজকের মতো হতো না। ডাউনার বলছেন যে, বর্তমানে সমস্যার পিছনে গুয়ালাদালকানাল এবং মালাইতার মাঝে দ্বন্দ্বই দায়ী; আর পিছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে দুই পক্ষের চীনের ব্যাপারে নীতি। ডাউনার মনে করছেন যে, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সলোমোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে সেনা সরিয়ে ফেলার কারণে বেইজিং এবং তাইপে উভয়েই হয়তো ধারণা করেছিল যে, অস্ট্রেলিয়া অত্র অঞ্চলকে কম গুরুত্ব দিচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার থিংকট্যাংক ‘লোয়ি ইন্সটিটিউট’এর রিসার্চ ফেলো মিহাই সোরা ব্রিটেনের ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ পত্রিকার এক লেখায় মত দিচ্ছেন যে, সলোমোনে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুত সামরিক হস্তক্ষেপ দেশটার দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে। তিনি বলছেন যে, সমস্যার শুরুটা ছিল আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদী কোন্দলের মাঝে। তবে খুব দ্রতই তা প্রাত্যহিক জীবনের সমস্যাগুলিকে পুঁজি করে জ্বলে ওঠে। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং এর ফলফলস্বরূপ অর্থনৈতিক ধ্বস মানুষকে সহিংসতা এবং লুটতরাজের দিকে আগ্রহী করেছে। শিক্ষার অভাব এবং বেকারত্বে জর্জরিত যুবসমাজ যখন হতাশায় ডুবে আছে, তখন চরম দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তের প্রতি মানুষের আনুগত্যের ঘাটতি তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের সমস্যার কেন্দ্রে ছিল দেশটার অসমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন। দেশটার রাজধানী হোনিয়ারার অবস্থান হলো গুয়াদালকানাল দ্বীপে; যেকারণে বেশিরভাগ উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে এই দ্বীপে। পাশের দ্বীপ মালাইতাএর জনগণ এই উন্নয়নের হিস্যা না পাওয়ায় ছিল ক্ষুব্ধ। মালাইতা দ্বীপ থেকেই প্রতিবাদ শুরু হলেও পরবর্তীতে তা অন্যান্য অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যুর মাঝে হারিয়ে যায়।

 


সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের ভূকৌশলগত অবস্থান

ভূকৌশলগতভাবে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের প্রধান বন্দরগুলির সাথে সবচাইতে বেশি বাণিজ্য হয় এশিয়ার দেশগুলির। আর এই বাণিজ্য সাধনের জন্যে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে পপুয়া নিউগিনির পূর্ব উপকূল থেকে শুরু করে পূর্বদিকে প্রায় দুই হাজার কিঃমিঃ পর্যন্ত সমুদ্রে অবস্থিত দ্বীপগুলির ফাঁক দিয়ে প্রবাহিত প্রণালিগুলির মাঝ দিয়ে যেতে হয়। সবচাইতে বেশি জাহাজ চলাচল করে নিউগিনি এবং নিউ ব্রিটেন দ্বীপের মাঝ দিয়ে; এবং নিউ আয়ারল্যান্ড এবং বোগেনভিল দ্বীপের মাঝ দিয়ে। সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলি এই দুই বাণিজ্য রুট ঘেঁষে অবস্থিত। এই দ্বীপগুলিকে জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবার চেষ্টা করে। এই চেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এই দ্বন্দ্বে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের গুয়াদালকানাল দ্বীপ বিখ্যাত হয়ে যায়। উভয় পক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে রাজি হয়নি। এর কারণ হলো এই দ্বীপগুলির নিয়ন্ত্রণের উপর অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা নির্ভর করছিল। প্রায় ৮০ বছর পর এখনও সেই বাস্তবতা পাল্টায়নি। একারণে অস্ট্রেলিয়া এই দ্বীপ দেশগুলির নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদাই চিন্তিত।

অস্ট্রেলিয়ার জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অস্টাল’ গত অক্টোবরে বলে যে, তাদের তৈরি করা ১৩তম ‘গার্ডিয়ান ক্লাস’ প্যাট্রোল বোট অস্ট্রেলিয়ার সরকার পপুয়া নিউগিনিকে দান করেছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ২’শ ৩৬ মিলিয়ন ডলার খরচে ২১টা প্যাট্রোল বোট অর্ডার করে। এই বোটগুলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২টা দেশের জন্যে তৈরি করা হচ্ছে; যা কিনা এর আগে অস্ট্রেলিয়া সরকারের দান করা প্যাট্রোল বোটগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। পপুয়া নিউগিনি এবং সলোমোন দ্বীপপুঞ্জ ছাড়াও এই ১২টা দেশের মাঝে রয়েছে ফিজি, ফেডারেটেড স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া, টোঙ্গা, কুক দ্বীপপুঞ্জ, কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ, সামোয়া, তুভালু, ভানুয়াতু; এবং ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জের মাঝে অবস্থিত তিমর লেস্তে। অতি ছোট এই দেশগুলি প্রত্যেকেই জাতিসংঘে একটা ভোটের মালিক। অথচ এদের নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের হাতে নেই। এই দেশগুলির কূটনৈতিক কর্মকান্ড অস্ট্রেলিয়ার দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিল সর্বদা। এই দেশগুলির তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এর বড় উদাহরণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের অর্থনৈতিক আগ্রাসী ভূমিকা এই দ্বীপ দেশগুলির উপর অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণকে নড়বড়ে করে ফেলেছে।

অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক অবস্থানে থাকা পপুয়া নিউগিনি এবং সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে চীনা অর্থনৈতিক প্রভাব অস্ট্রেলিয়াকে বিচলিত করেছে। একইসাথে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে এগিয়ে থাকার জন্যে চীনারা যখন তাইওয়ানের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন অপেক্ষাকৃত বড় পুঁজির এই এশিয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেশগুলির উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। চীন এবং তাইওয়ানের কাছ থেকে মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেতে রাজনীতিবিদদের মাঝে জন্ম নিয়েছে লালসা; যা একইসাথে উস্কে দিয়েছে গুয়াদালকানাল এবং মালাইতাএর মাঝে আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের দ্বন্দ্ব। দামি এই অবকাঠামোগত বিনিয়োগের সামনে অস্ট্রেলিয়ার গণতান্ত্রিক কাঠামো শক্ত করার সহায়তাগুলি ম্লান হয়ে গিয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে অস্ট্রেলিয়ার সেনা মোতায়েন ছিল দেশটার আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের দ্বন্দ্বকে পুঁজি করেই। এখন নতুন করে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব আবারও সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সেনা মোতায়েনের সুযোগ করে দিয়েছে। যদিও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে ‘গ্রেট পাওয়ার’ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তথাপি ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’ চিন্তার অংশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এই অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রভাবশালী অবস্থানে থাকতে চায়। সহিংসতায় সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরগুলি সেক্ষেত্রে ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’এর জন্যে প্রভাব ধরে রাখার ছুতো মাত্র।

No comments:

Post a Comment