Tuesday 1 September 2020

করোনা মন্দায় পুঁজিবাদের নিম্নগামীতাকে থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই!

২রা সেপ্টেম্বর ২০২০

দুনিয়ার সবচাইতে ধনী ব্যক্তি ‘আমাজন’এর প্রতিষ্ঠাতা বেফ বেজস করোনাভাইরাসের মন্দার মাঝে রেকর্ড পরিমাণ আয় করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার বেশিরভাগ অর্থ ব্যাংক এবং কর্পোরেটদের হাত ঘুরে গুটি কয়েক ধনীদের পকেটেই গিয়েছে। প্রণোদনার অর্থে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়েছে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির জন্যেই। অপরদিকে প্রণোদনার অর্থে উঠে দাঁড়ানো ধনীদের অফশোর ব্যাংক একাউন্টও ফুলে ফেঁপে উঠছে। পুঁজিবাদের করুণ অবস্থা করোনাভাইরাসের আগে থেকেই দৃশ্যমান ছিল; বিশেষ করে ব্যাপক আয় বৈষম্যের প্রতিবেদনে পত্রিকার পাতা ভরেছে সাম্প্রতিক সময়ে। করোনাভাইরাসের মাঝে এই করুণ দৃশ্য ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থায় আয় বৈষম্যের চিত্রটা এখন আর সমাধানের পর্যায়ে নেই। পুঁজিবাদের নিম্নগামীতাকে থামাতে পারছেন না কেউই।

‘বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ’এর এক গবেষণা বলছে যে, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় যেখানে মানুষের পকেট থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে গিয়েছিল, এবছর করোনাভাইরাসের কারণে সেটা ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে যেতে পারে। তবে এই সম্পদহানি সকলের জন্যে সমানভাবে আসেনি। ‘বিজনেস ইনসাইডার’এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে যেখন প্রায় ৪ কোটি মানুষ তাদের চাকুরি হারাবার পর সরকারের কাছে বেকার ভাতা চেয়েছে, সেখানে সেদেশের বিলিয়নায়াররা আরও বেশি করে অর্থ কামিয়ে নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নায়াররা একত্রে প্রায় ৬’শ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সম্পদ আয় করে নিয়েছেন। মার্চ থেকে জুনের মাঝে ‘আমাজন’এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস তার সম্পদকে ৪৮ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে নিয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার ‘জুম’এর মালিকের সম্পদ বেড়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলার। ‘মাইক্রোসফট’এর প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমারএর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে, অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে এই মানুষগুলি ঠিক সময়ে ঠিক ব্যবসায়ে থাকার ফলেই লাভবান হয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও কিছু ঘটনা রয়েছে, যা এই যুক্তির বিরুদ্ধে যাবে। ক্যাসিনো মালিক শেলডন এডেলসন তার সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছেন ৫ বিলিয়ন ডলার। এলন মাস্কও তার সম্পদ বাড়িয়েছে ১৭ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবেদনে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, এর আগে ২০০৭ সালে হাউজিং কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও এমনটাই ঘটেছিল। বাড়িঘরের মূল্য পড়ে গিয়েছিল ২১ শতাংশ; শেয়ার বাজারের মূল্য হয়ে গিয়েছিল অর্ধেক; ৮৮ লক্ষ আমেরিকান হয়েছিল বেকার। সেই মন্দার পরপর ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মাঝে নিচের ৯৯ শতাংশ মানুষের সম্পদ বেড়েছিল শূণ্য দশমিক ৪ শতাংশ; অপরদিকে উপরের ১ শতাংশ মানুষের সম্পদ বেড়েছিল ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ।

‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের এক লেখায় করোনাভাইরাস পরবর্তী বিশ্বে আয় বৈষম্য আরও বাড়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। বিভিন্ন গবেষণা বলছে যে, ধনীরা গত মার্চের পর থেকে অর্থ জমাতে সক্ষম হয়েছে; আর অন্যদিকে গরীব লোকেরা আয় না থাকার কারণে বাধ্য হয়েছে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিতে এবং নতুন করে ধারকর্য করতে। ব্রিটেনের ‘রেজোলিউশন ফাউন্ডেশন’এর এক গবেষণা বলছে যে, ব্রিটেনের নিম্ন আয়ের মানুষের বেশিরভাগই জুন মাসে ক্রেডিট কার্ডের উপর বেঁচে ছিল। লাক্সারি জিনিসপত্রের দোকান বন্ধ থাকায় এবং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ধনী ব্যক্তিদের খরচ কমে গেছে। ‘নিউ পলিসি ইন্সটিটিউট’এর গবেষণা বলছে যে, ব্রিটেনের সমাজের উপরের ২০ শতাংশ মানুষের ব্যাংক একাউন্টে লকডাউনের মাঝে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলার জমে গেছে। হারভার্ডের একদল গবেষক বলছে যে, মার্কিন সমাজের উপরের ২৫ শতাংশ মানুষের খরচ ২০ শতাংশ কমেছে; অথচ নিচের ২৫ শতাংশের খরচ কমেছে মাত্র ৫ শতাংশ। ধনীদেরকে টার্গেট করা লাক্সারি গাড়ি তৈরির কারখানা, দামী জামাকাপড় বিক্রেতা, রেস্টুরেন্ট, হোটেলগুলি বিপদে পড়েছে; আর ব্যবসা মালিকরা খরচ কমাতে গিয়ে কম মজুরির কর্মচারীদেরকে ছাঁটাই করেছে। ধনীদের সম্পদ যারা দেখাশোনা করছেন, তারা আবার উপদেশ দিচ্ছে যে, আপাততঃ বিনিয়োগ এবং খরচ কম করাই ভালো হবে। প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হচ্ছে যে, একজন ধনী ব্যবসায়ী যদি বাড়ি থেকেই কাজ করেন, তাহলে নতুন স্যুট কিনে তিনি কি করবেন? আর তার স্ত্রী যেহেতু কোন পার্টিতে যাচ্ছেন না, তাই নতুন লাক্সারি জিনিসপত্র কিনে তিনি কাকে দেখাবেন? সাধারণ সময়ে বোঝা না গেলেও মহামারি এবং অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেই বোঝা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র কিছু ধনী ব্যক্তির ইচ্ছেমত খরচের উপর পুরো অর্থনীতিটা কিভাবে চলছে।

সমাজের উপরের স্তরের মানুষের সাথে নিচের স্তরের মানুষের এই ক্রমবর্ধমান বিভেদ, যা কিনা অর্থনৈতিক মন্দার মাঝে বেড়েছে, এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ‘বিজনেস ইনসাইডার’ বলছে যে, এখানে দু’টা সমস্যার দিকে তাকাতে হবে। প্রথমতঃ সরকার বেশিরভাগ প্রণোদনা দেয় ব্যাংক এবং কর্পোরেটদেরকে। ২০০৮ সালের ‘ইমার্জেন্সি ইকনমিক স্ট্যাবিলাইজেশন এক্ট’এর অধীনে ৭’শ বিলিয়ন ডলার খরচে ব্যাংকগুলির কাছ থেকে মূল্য পড়ে যাওয়া সম্পদ কিনে নেয়া হয়। পরবর্তীতে বারাক ওবামা প্রশাসন ‘ট্রাবল্ড এসেট রিলিফ প্রোগ্রাম’ প্রকল্পের অধীনে বাড়ির মালিকদেরকে ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা দিয়ে তাদের সুদ পরিশোধে সহায়তা দেয়। অর্থাৎ ৭’শ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা থেকে ৭৫ বিলিয়ন বা ১০ শতাংশ গিয়েছে বাড়ির মালিকদের কাছে; বাকিটা গিয়েছে ব্যাংক এবং কর্পোরেটদের কাছে। দ্বিতীয়তঃ কর্পোরেটদের হাতে প্রণোদনার অর্থ যাওয়ায় তারা শেয়ার বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে নিতে পেরেছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যারা প্রণোদনার অর্থ পায়নি, তারা ঝরে পড়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডেরাল রিজার্ভ ২০০৮ সালে স্বল্পমেয়াদী সুদের হার প্রায় শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে নিয়ে আসে। আর এই সুযোগে ব্যবসায়ীয়া পরবর্তী এক দশকে শেয়ার বাজার গরম করে রাখে। ‘স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওর্স ৫০০’ ইন্ডেক্স মূল্যসূচক ৪’শ ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর অর্থ হলো, মন্দার সবচাইতে খারাপ সময়ে যে ব্যবসায়ী শেয়ার বাজারে ১’শ ডলার বিনিয়োগ করেছে, সে ৪’শ ৬২ ডলার পর্যন্ত কামিয়ে নিতে পেরেছে। আর ১ মিলিয়ন ডলার যে বিনিয়োগ করেছে, সে তুলে নিয়েছে ৪ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বিনিয়োগের সাড়ে চার গুণেরও বেশি সে তুলে নিতে পেরেছে। ২০০৯ সালের মাঝেই অতিধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদ ১৯ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৯ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যায়; মন্দার কারণে তারা যা হারিয়েছিল, তার পুরোটাই তারা এক বছরের মাঝেই পুষিয়ে নেয়। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মাঝে সকল মানুষের আয় মোট যত বৃদ্ধি পেয়েছে, তার ৯৫ ভাগই গিয়েছে ১ শতাংশ মানুষের হাতে; আর ৯৯ শতাংশ মানুষ পেয়েছে মাত্র ৫ ভাগ। আর যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের মাঝে বিলিয়নায়ারদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮০ শতাংশ।   
 

সারা দুনিয়ায় আয় বৈষম্য এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ২০০৮ সালের মতোই ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সময় যখন প্রণোদনা দেয়া হয়, তখনও বেশিরভাগ অর্থ চলে যায় কর্পোরেটদের হাতে। ধনীরা গত মার্চের পর থেকে অর্থ জমাতে সক্ষম হয়েছে; আর অন্যদিকে গরীব লোকেরা আয় না থাকার কারণে বাধ্য হয়েছে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিতে এবং নতুন করে ধারকর্য করতে।
 

২০০৮ সালের মতোই ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সময় যখন প্রণোদনা দেয়া হয়, তখনও বেশিরভাগ অর্থ চলে যায় কর্পোরেটদের হাতে। ‘স্মল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন’এর মাধ্যমে ৩’শ ৪৯ বিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়, যার মাঝে ২’শ ৪৩ বিলিয়ন ডলার পায় বড় কর্পোরেটরা; যাদের কোন কোনটা ১’শ মিলিয়ন ডলারের চাইতে বড় কোম্পানি। ১৬ই মার্চ ‘ডাউ জোন্স’ ইন্ডেক্স ইতিহাসে একদিনের সবচাইতে মারাত্মক ধ্বসের মাঝে পড়ে। অথচ ৪ঠা জুনের মাঝেই বিশ্বের সবচাইতে ধনী সাত ব্যক্তির সম্পদ ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়! সরকারের প্রণোদনা ঘোষণার পরপরই শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং স্বাভাবিকভাবেই বড় শেয়ারহোল্ডার ব্যক্তিরা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে ফেলে।

২০১০ সালে হাইতিতে ভূমিকম্পের পর ১’শ ৯৫ মিলিয়ন ডলারের যে সহায়তা দেয়া হয়, তার বেশিরভাগই চলে যায় মার্কিন কন্সট্রাকশন কোম্পানির কাছে; হাইতির কোম্পানিগুলি পায় মাত্র আড়াই শতাংশ ফান্ড। ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিয়ান্সএ হারিকেন ‘ক্যাটরিনা’ আঘাত করার পর মার্কিন কন্সট্রাকশন কোম্পানি ‘কেবিআর’ ৩১ বিলিয়ন ডলারের কাজ পায়। এই কোম্পানির মালিক ‘হ্যালিবারটন’এর প্রধান নির্বাহী ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি। নিজেদের বিশাল সম্পদের উপরে সরকার থেকে আরও প্রণোদনা পাওয়ায় এই বিলিয়নায়াররা দুর্যোগের মুহুর্তগুলিকে কাজে লাগিয়ে আরও ধনী হয়েছে। আবার একইসাথে বিনিযোগের সুযোগ বাড়াবার নামে এই বিলিয়নায়ারদেরকে দেয়া হয়েছে কর সুবিধা এবং তাদের অতিরিক্ত মুনাফা করতে পারার জন্যে রেখে দেয়া হয়েছে নানা ফাঁকফোঁকড়। উদাহরণস্বরূপ, লিমিটেড কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে কোম্পানি মালিকেরা নির্দিষ্ট আকারের ঋণের বেশি কোন ঋণ ফেরত দেবার জন্যে দায়বদ্ধ থাকে না। বিভিন্ন ছুতো ধরে ‘আমাজন’ কোম্পানি দুই বছরে এক ডলারও কর দেয়নি; আর ২০১৯ সালে তারা আয়ের উপর মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ কর দেয়! ১৯৮০এর দশক থেকে বিলিয়নায়ারদের কর ৭৯ শতাংশ কমে গেছে! শুধু তাই নয়, এই অতিধনীদের বেশিরভাগ অর্থই অফশোর ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছে। ২০১৭ সালে কিছু গবেষক বের করেন যে, পুরো দুনিয়ার জিডিপির ১০ শতাংশই এসব অফশোর ব্যাংক একাউন্টে চলে গেছে! ২০১২ সালে আরেক গবেষণায় উঠে আসে যে, প্রায় ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩২ হাজার বিলিয়ন ডলার অফশোর একাউন্টে জমা রয়েছে! এটা চীনের জিডিপির প্রায় তিন গুণ!

মন্দা থেকে উঠে দাঁড়াতে অনেকেই অনেক ফর্মূলা দিচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসন জনগণকে নগদ অর্থ প্রদান করতে চাইলে অনেকেই বাধা দিয়েছেন। তবে এরপরেও প্রণোদনার বেশিরভাগ অর্থ ব্যাংক এবং কর্পোরেটদের হাত ঘুরে গুটি কয়েক ধনীদের পকেটেই গিয়েছে। প্রণোদনার অর্থে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়েছে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির জন্যেই। আবার ধনীদের খরচের খাতা থমকে যাওয়াতেও চাকুরি হারাতে হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলিকেই। ধনীরা কবে আবার খরচ শুরু করবে, সেদিনের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গরীব মানুষগুলিকে। ধনীদের মতো অর্থ জমানো দূরে থাক, শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে দিয়ে ক্রেডিট কার্ডের উপর বেঁচে থাকার পথ বেছে নিতে হয়েছে তাদের। অপরদিকে প্রণোদনার অর্থে উঠে দাঁড়ানো ধনীদের অফশোর ব্যাংক একাউন্টও ফুলে ফেঁপে উঠছে। পুঁজিবাদের করুণ অবস্থা করোনাভাইরাসের আগে থেকেই দৃশ্যমান ছিল; বিশেষ করে ব্যাপক আয় বৈষম্যের প্রতিবেদনে পত্রিকার পাতা ভরেছে সাম্প্রতিক সময়ে। করোনাভাইরাসের মাঝে এই করুণ দৃশ্য ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থায় আয় বৈষম্যের চিত্রটা এখন আর সমাধানের পর্যায়ে নেই। পুঁজিবাদের নিম্নগামীতাকে থামাতে পারছেন না কেউই।

No comments:

Post a Comment