Saturday 19 September 2020

গ্রীস ও তুরস্কের দ্বন্দ্ব ইউরোপিয়দের শক্তি প্রদর্শনেরই ফলাফল

১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০
গ্রীকরা তাদের স্বাধীনতা পেতে ইউরোপিয়দের উপর নির্ভর করেছিল; তুরস্কের সাথে যেকোন সম্ভাব্য যুদ্ধে গ্রীস তাদের সহায়তাই চাইবে। ইউরোপিয় মধ্যস্ততায় তুর্কিদের সাথে গ্রীসের আলোচনা শক্তি ব্যবহারের পথে বাধাগুলিকেই দেখিয়ে দেয়। গ্রীস তৈরি হবার পর সীমানা নির্ধারণের যে আইনগুলিকে তুরস্ক মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল, সেই আইন অমান্য করাটাই এখন জাতিরাষ্ট্র তুরস্কের জন্যে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। 



১৮ই সেপ্টেম্বর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়িপ এরদোগান ঘোষণা দেন যে, তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে গ্রীসের নেতৃত্বের সাথে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল গ্যাস আহরণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রসমণে আলোচনা করতে। গত কয়েক মাস ধরেই ন্যাটোর দুই সদস্য প্রতিবেশী এই দেশগুলি দ্বন্দ্বের উপর ভরত করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ঘনঘন সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে এরদোগান বলেন যে, বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো দুই পক্ষ কি নিয়ে আলোচনা করবে এবং কোন কাঠামোর মাঝে এই আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন যে, তিনি মধ্যস্ততাকারী দেশগুলিকে জানিয়েছেন যে, দুই দেশের মাঝে সুসম্পর্ক থাকলে আলোচনা হতে পারে। ভিডিওকনফারেন্সিংএর মাধ্যমে বা তৃতীয় কোন দেশে এই আলোচনা হতে পারে। ‘আল জাজিরা’ মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, দুই দেশের মাঝে গত মাস থেকে উত্তেজনা শুরু হয়, যখন তুরস্ক তার সার্ভে জাহাজ ‘ওরুচ রাইস’কে গ্রীক দ্বীপ কাস্তেলোরিতসোর কাছাকাছি সমুদ্রের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রহরায় পাঠায়। এক মাস সমুদ্রে কাজ করার পর গত ১৩ই সেপ্টেম্বর জাহাজটা বন্দরে ফিরে যায় মেইনটেন্যান্স এবং জ্বালানির জন্যে। এরদোগান বলেন যে, যদি ‘ওরুচ রাইস’কে তুরস্ক বন্দরে ফেরত নিয়ে আসে, তাহলে নিশ্চয়ই এর একটা অর্থ রয়েছে। তুরস্ক চাইছে আলোচনাকে একটা সুযোগ দিতে। তবে জাহাজটার মিশন শেষ হয়ে গিয়েছে, এটা বলা যাবে না। এরদোগানের কথাগুলি এমন সময়ে এলো, যখন তুর্কি এবং গ্রীক সামরিক নেতৃবৃন্দ ন্যাটোর মধ্যস্ততায় ব্রাসেলসে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চেক রাজধানী প্রাগে গ্রীসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস দেনদিয়াস বলেন যে, তুরস্ক তার উস্কানিমূলক কর্মকান্ড থামালে গ্রীস অবশ্যই তুরস্কের সাথে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক। তবে তুরস্কের ড্রিলিং জাহাজ ‘ইয়াভুজ’ অক্টোবরের ১২ তারিখ পর্যন্ত সাইপ্রাসের অদূরে ড্রিলিংএর কাজ চালিয়ে যাবে, যদিও ইউরোপিয়রা এই কাজের ঘোর বিরোধী। তুরস্ক কেনই বা শক্তি প্রদর্শনের পথে এগুলো এবং কেনইবা আবার আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হলো?

তুরস্কের সাথে গ্রীসের এই দ্বন্দ্বে ফ্রান্স ইতোমধ্যেই গ্রীসের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান প্রেরণ করেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিও তুরস্কের বিরুদ্ধে অবরোধের হুমকি দিচ্ছে। গ্রীসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেনদিয়াস বলছেন যে, গ্রীস চাইছে তাদের ইইউএর বন্ধুরা তুরস্কের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটার একটা খসরা তৈরি করুক, যা কিনা তুরস্কের জন্যে একটা উদাহরণ হিসেবে থাকবে যে, বেআইনী কাজ করলে কি ধরনের অবরোধ আসতে পারে। তবে অপরদিকে এরদোগান বলছেন যে, তুরস্ককে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতে ব্যর্থ হবার পরই গ্রীস আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। তুরস্কের উপর সকল হুমকি বিফল হয়েছে।

গ্রীস বলছে যে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গ্রীসের প্রতিটা দ্বীপের চারিদিকে আঞ্চলিক সাগর এবং ‘এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন’ গ্রীসের পাওনা। অপরদিকে তুরস্ক বলছে যে, গ্রীস ইউরোপিয় দেশগুলির চাপে তুরস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই তুরস্কের পাওনা সমুদ্রাঞ্চলকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করতে চাইছে। গ্রীসের অনেকগুলি দ্বীপ তুরস্কের উপকূলের একেবারে কাছে থাকায় গ্রীসের দাবি অনুসারে তুরস্কের উপকূলের বেশিরভাগ অঞ্চলই তুরস্কের অধীনে থাকছে না। এতে তুরস্ক ইজিয়ান সাগর এবং ভূমধ্যসাগরে খনিজ আহরণ থেকেই শুধু বঞ্চিত হবে না, তুরস্কের নৌবাহিনী ইজিয়ান সাগরে অপারেট করার নূন্যতম অধিকারও হারাবে, যা কিনা কৌশলগত দিক থেকে তুরস্কের সক্ষমতাকে একবারেই সংকীর্ণ করে ফেলবে। এই পরিস্থিতি কি করে তৈরি হলো, তা বুঝতে হলে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বর্তমান গ্রীসের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে।

১৮৩২ সালে ইউরোপিয়দের সামরিক সহায়তায় গ্রীস উসমানি খিলাফত থেকে আলাদা হয়ে নতুন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। সেই সীমানায় উত্তর গ্রীসের থেসালি, এপিরাস, মেসিডোনিয়া এবং থ্রেস অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ইজিয়ান সাগরের পূর্ব দিকের বেশিরভাগ দ্বীপও সেই সীমানার মাঝে পড়েনি। ক্রীট এবং সাইপ্রাসও ছিল না; দোদেকানিজ দ্বীপপুঞ্জও ছিল না। বর্তমান তুরস্কের উপকূলে অবস্থিত থাসস, লিমনস, সামোথরাকি, লেসবস, চিয়স, সারা, সামোস, আর্মেনিসটিস দ্বীপগুলিও গ্রীসের ছিল না। এই সবগুলি দ্বীপই বর্তমান গ্রীস-তুরস্কের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৯৭ সালে স্থলযুদ্ধে গ্রীসের পরাজয় হলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপে ক্রীট দ্বীপ উসমানি খিলাফত থেকে আলাদা হয়ে গ্রীসের সাথে যুক্ত হয়। ১৯১১-১২ সালে ইতালি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দোদেকানিজ দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয়। এই দ্বীপগুলির মাঝে রয়েছে রোডস, কস, পাতমোস, এবং আরও ১২টা প্রধান দ্বীপ। ১৯২৩ সালে এই দ্বীপগুলিকে গ্রীসের হাতে তুলে দেয়া হয়। ১৯১২ সালের ডিসেম্বরে ‘এলি’র যুদ্ধে ইউরোপিয় সমর্থনপুষ্ট গ্রীক নৌবাহিনী উসমানি নৌবাহিনীকে পরাজিত করে ইজিয়ান সাগরে লেসবস, চিয়স, লেমনস এবং সামোস দ্বীপ দখল করে ফেলে। ১৯১৫-১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ-ফরাসী নৌবাহিনী কাস্তেলোরিতসো দ্বীপ দখল করে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে পুরো দোদেকানিজ ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়। ১৯৪৭ সালে ইতালির সাথে সাক্ষরিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শান্তি চুক্তি মোতাবেক দোদেকানিজ দ্বীপপুঞ্জ গ্রীসকে দিয়ে দেয়া হয়। এর মাঝে কাস্তেলোরিতসো দ্বীপও ছিল। ১৮৭৮ সালের রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের পর উসমানিরা ইস্তাম্বুলকে মুক্ত রাখতে ব্রিটেনকে সাইপ্রাসে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে দেয়। তবে দ্বীপের মালিকানা তখনও উথমানিদের হাতেই থাকে। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানিরা জার্মানির পক্ষে যোগ দিলে ব্রিটেন অফিশিয়ালি সাইপ্রাস নিজের দখলে নিয়ে নেয়। ১৯৬০ সালে ব্রিটেন সাইপ্রাসকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দেয়। তবে সেখানে ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটিগুলি থেকেই যায়।

বর্তমান গ্রীস তৈরিই হয়েছে ইউরোপিয়দের শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। এখন পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুর্কিরা সেই পথেই এগুবার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিজেদের কাছ থেকে দখল করা দ্বীপগুলিকে তুর্কিরা শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফেরত পাবার সাহস দেখাতে পারবে কি? গ্রীকরা তাদের স্বাধীনতা পেতে ইউরোপিয়দের উপর নির্ভর করেছিল; তুরস্কের সাথে যেকোন সম্ভাব্য যুদ্ধে গ্রীস তাদের সহায়তাই চাইবে। ইউরোপিয় মধ্যস্ততায় তুর্কিদের সাথে গ্রীসের আলোচনা শক্তি ব্যবহারের পথে বাধাগুলিকেই দেখিয়ে দেয়। গ্রীস তৈরি হবার পর সীমানা নির্ধারণের যে আইনগুলিকে তুরস্ক মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল, সেই আইন অমান্য করাটাই এখন জাতিরাষ্ট্র তুরস্কের জন্যে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। 

4 comments:

  1. এরদোয়ান এর তুরষ্ক কি পারবে,ইউরোপীয় দের তৈরি করা সিস্টেমকে অতিক্রম করে নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে? আপ্নার কি মনে হয়৷

    ReplyDelete
    Replies
    1. লেখার মাঝেই এর উত্তর পাবার কথা।

      যাই হোক, প্রথমতঃ এরদোগানের তুরস্ক নয়; বরং বলুন কেমালের তুরস্ক। বর্তমান তুরস্কের সবকিছুই কেমালের তৈরি অথবা কেমালের অনুসারীদের তৈরি। রাষ্ট্রের মাঝে জনগণের যে আকাংক্ষা রয়েছে, তার সাথে তুরস্কের সাংঘর্ষিক অবস্থানের কারণেই তুরস্ক এখন তার নীতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এটা এরদোগানের কারণে নয়। তুরস্ক নিয়ে আগের লেখাগুলি পড়তে পারেন। "মার্কিন দুনিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া" এবং "যুক্তরাষ্ট্রের পর..." বইদু'টা পড়তে পারেন।

      দ্বিতীয়তঃ বর্তমান তুরস্ক মূলতঃ ইউরোপিয়দের তৈরি। কারণ এর সংবিধানের সকল চিন্তাই ইউরোপিয়দের থেকে নেয়া। তুরস্কের বাউন্ডারি ইউরোপিয়দের ঠিক করে দেয়া। এই তুরস্ক ইতিহাসে কোনদিনও ছিল না। এটা ইউরোপিয়দের উর্বর মস্তিষ্কের আবিষ্কার। এগুলিকে মেনে নিয়েই বর্তমান তুরস্ক তৈরি হয়েছে। ইউরোপিয়দের নিয়ম না মানলে বর্তমান তুরস্কের মৃত্যু ঘটবে; তার স্থানে অন্য কিছু তৈরি হবে।

      তৃতীয়তঃ জাতিরাষ্ট্রের বাউন্ডারি কিভাবে তৈরি করতে হয়, তা তুরস্কের জন্যে অজানা। কারণ তুরস্ক আদর্শিক (ideological) রাষ্ট্র নয়; যদিও তার আগের উসমানিরা তা-ই ছিল। ইউরোপিয়দের আদর্শিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই বর্তমান তুরস্কের সৃষ্টি। এই তুরস্ক পশ্চিমা আদর্শকে ছাপিয়ে গিয়ে কিছু করতে পারবে না। বর্তমান তুরস্ক যা কিছু করতে পারছে, তা পশ্চিমা আদর্শের নিম্নগামীতার কারণেই। কিন্তু তুরস্ক তার বর্তমান রাষ্ট্রের কাঠামোর মাঝে পশ্চিমা আদর্শের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে না। আর পশ্চিমা আদর্শকে ব্যবহার করে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে জয় পাবার চেষ্টা করাটা অবাস্তব। বড়জোর ছোট কিছু সুবিধা তারা পেতে পারে পশ্চিমা আদর্শের নিম্নগামীতার কারণে।

      Delete
  2. তুরস্ক বড্ডো বেশী তাড়াহুড়া করে ফেলছে। যদিও মানসম্পন্ন সমরাস্ত্র উৎপাদনে ও গবেষনায় তুরস্ক সাম্প্রতিককালে বৈপ্লবিকভাবে এগিয়ে গেলেও সকল ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়াটা এখনই উচিৎ হচ্ছে না। কারন তার তথাকথিত আরব মিত্রগুলি আসলেই মিত্র কিনা এব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যায়। আর পাকিস্তান, বাংলাদেশ সামরিক বা আর্থিকভাবে ততটা পুস্ট হয়ে পারেনি সাহায্য করার মত। সুতরং তুরস্কের উচিৎ এখন সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়ে ভুজুং ভাজাং দিয়ে (কূটনৈতিকভাবে) সময় নষ্ট করা (অন্তত:পক্ষে ২০৩০ সাল পর্যন্ত)। কিছু জায়গায় আপাতত প্রক্সি যুদ্ধে জড়ানো যেতে পারে। এই ফাকে তার প্রকৃত ও প্রমানিত মিত্রগুলির সহযোগিতায় নিজেকে পরিপূর্নভাবে প্রস্তুত করে ফেলতে হবে। আর তুরস্কের গোয়েন্দা বাহিনীকে সিআইএ বা মোসাদের মত শক্তিশালী করে তৈরী করতে হবে। যেটা সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়ে অনেক কাজ করে ফেলতে সক্ষম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ কমেন্টের জন্যে।

      তুরস্ক বর্তমান জায়গায় এসেছে প্রায় ৩০ বছর চেষ্টার পর। ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের পর থেকেই এটা শুরু হয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধে তুরস্কের যে উদ্দেশ্য ছিল, তা এখন নেই। নতুন উদ্দেশ্য নিয়ে তুরস্ককে শুরু করতে হয়েছে। এই নতুন উদ্দেশ্য খুঁজতে তারা যে তাদের উসমানি সময়ের দিকে তাকাবে, তা ভূরাজনীতি নিয়ে চিন্তা করা অনেকেই বুঝেছিলেন। তারা অনেকেই বলেছিলেন যে, তুরস্ক একসময় মুসলিম দুনিয়াতেই তার শক্তির উৎস খুঁজবে। তবে সমস্যা হলো, বর্তমান তুরস্কের জন্মই হয়েছিল এর আগের একটা আদর্শিক রাষ্ট্র ধ্বংস করার মাঝ দিয়ে। সেকারণে পূর্বের ইতিহাসকে পুঁজি করে বর্তমান পশ্চিমা আদর্শের উপর ভিত্তি করে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টাটা সমস্যায় পড়বেই। এখানে তাকে সকল ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে চলতে হবে। সে না পারবে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিতে; না পারবে পশ্চিমা চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে যেতে। পশ্চিমা চিন্তা থেকে পাওয়া জাতিরাষ্ট্রের কনসেপ্ট থেকে তুরস্ক বের হতে পারছে না। একারণেই তুরস্কের ম্যাটেরিয়াল শক্তি নিয়ে এতো কথা বলতে হচ্ছে। তুরস্কের মূল শক্তি তার ম্যাটেরিয়াল শক্তিই থাকবে, যতক্ষণ সে জাতিরাষ্ট্রের কনসেপ্টের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে।

      Delete