Wednesday 12 October 2022

‘ওপেক প্লাস’এর তেলের উৎপাদন কর্তনের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব

১২ই অক্টোবর ২০২২
 
বারাক ওবামার প্রশাসনের সময় থেকে ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে সৌদি আরব নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। ওয়াশিংটনের স্বার্থকে উপেক্ষা করেই ‘ওপেক প্লাস’এর তেলের উৎপাদন কর্তন এই ভূরাজনৈতিক ধারাবাহিকতারই অংশ। তবে এটা আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কিন নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থা এখন কতটা দুর্বল হয়ে গেছে।

গত ১১ই অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘সিএনএন’এর সাথে এক সাক্ষাতে বলেন যে, রাশিয়ার সাথে আঁতাত করে জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি করার জন্যে সৌদি আরবকে মূল্য দিতে হবে। সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ককে নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। জ্বালানি বিষয়ক পত্রিকা ‘অয়েল প্রাইস’এর এক প্রতিবেদনে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, ৫ই অক্টোবর জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলির জোট ‘ওপেক’ এবং তার সাথে রাশিয়া মিলে তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেল কমাবার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২০ সালের মে মাসে করোনা মহামারির লকডাউনের কারণে ৯৭ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন কর্তনের পর থেকে এটা ছিল সর্বোচ্চ কর্তন। বাজারের সকলে ১০ লক্ষ ব্যারেল কমানো আশা করলেও এর দ্বিগুণ কমাবার সিদ্ধান্ত এসেছে। ‘ওপেক’ এবং রাশিয়া মিলে এই জোট ‘ওপেক প্লাস’ নামে পরিচিত। যদিও রাশিয়া এবং ‘ওপেক’ উভয়েই বলছে যে, ‘টেকনিক্যাল’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ওয়াশিংটন মনে করছে যে, এই সিদ্ধান্তটা পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব এন্টনি ব্লিনকেন রাশিয়ার সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্যে সৌদি আরবের সমালোচনা করেছেন এবং তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অদূরদর্শীতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, সৌদিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা কংগ্রেসের সাথে কথা বলছেন।

মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান বব মেনেনডেজ ১০ই অক্টোবর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের সাথে সকল সহযোগিতা বন্ধ করা সহ দেশটাতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধেরও আহ্বান জানান। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্দিষ্ট করে বলতে রাজি হননি যে, তিনি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবেন। বাইডেন বলেন যে, কয়েক মাস আগে তিনি যখন সৌদি আরব ঘুরে এসেছেন, তখন তার সফরের উদ্দেশ্য ছিল না সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে রাজি করানো। বরং তিনি সেখানে গিয়েছিলেন সকলকে নিশ্চয়তা দেয়ার জন্যে যে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাচ্ছে না।

৬ই অক্টোবর মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদের নেতা চাক শুমার বলেন যে, কংগ্রেস সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সকল রকমের আইনী ব্যবস্থা নিয়েই ভাবছে; যার মাঝে ‘নোপেক’ বিলও রয়েছে। ‘নোপেক’ হলো একটা আইনের খসরা, যার মাধ্যমে তেলের বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ‘অপরাধে’ ‘ওপেক’ সদস্য দেশগুলির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এহেন ব্যবস্থা নেয়া হলে সৌদি রাজপরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকা তেল কোম্পানি ‘আরামকো’র শেয়ার কেনাবেচা বাতিল হয়ে যেতে পারে। এতে এই কোম্পানির শেয়ারের মূল্য রাতারাতি শূণ্যের কোঠায় চলে আসবে।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে ‘ওপেক’ কেন তেলের উৎপাদন কমালো, তার ব্যাখ্য দিয়েছেন সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলআজিজ বিন সালমান। তিনি ‘সৌদি টিভি’র সাথে এক সাক্ষাতে বলেন যে, তার দেশ সর্বপ্রথমে তার নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করবে। পশ্চিমা দেশগুলির কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি মূদ্রাস্ফীতি রোধে সুদের হার বাড়িয়েই যাচ্ছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী মন্দার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে জ্বালানির চাহিদা অনেক কমে যাবে এবং তেলের বাজারে ব্যাপক দরপতন হবে।

 
‘ওপেক’ দেশগুলির অর্থনীতি তেল বিক্রির উপরে পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল। তেলের দরপতন এই দেশগুলির অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। সৌদি আরব তাদের সরকারের বাজেট ঠিক করে তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭৯ ডলার হিসেবে। এর নিচে মূল্য পড়ে গেলে বাজেটে ঘাটতি তৈরি হবে। সাত মাস আগে ১’শ ৩৯ ডলারে মূল্য উঠে গেলেও গতমাসেই সেটা ৮৫ ডলারে নেমে গিয়েছিল; যা কিনা ‘ওপেক’ দেশগুলির জন্যে একটা সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে।

মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘দ্যা আটলান্টিক কাউন্সিল’এর সিনিয়র ফেলো এলেন ওয়াল্ড ‘সিএনএন’কে বলছেন যে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ফেডারেল রিজার্ভ’এর সুদের হার বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করেই ‘ওপেক’ হয়তো তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে; যাতে চাহিদা পড়ে গেলে হঠাৎ করে উৎপাদন কমাতে না হয়। ‘ওপেক’ দেশগুলির অর্থনীতি তেল বিক্রির উপরে পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল। তেলের দরপতন এই দেশগুলির অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ‘ওপেক’ দেশগুলি মারাত্মক সমস্যায় পড়েছিল। সৌদি আরব তাদের সরকারের বাজেট ঠিক করে তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭৯ ডলার হিসেবে। এর নিচে মূল্য পড়ে গেলে বাজেটে ঘাটতি তৈরি হবে। সাত মাস আগে ১’শ ৩৯ ডলারে মূল্য উঠে গেলেও গতমাসেই সেটা ৮৫ ডলারে নেমে গিয়েছিল; যা কিনা ‘ওপেক’ দেশগুলির জন্যে একটা সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে।

বাজার বিশ্লেষক সায়মন ওয়াটকিন্স ‘অয়েল প্রাইস’এর এক লেখায় বলছেন যে, মার্কিন অনুরোধ সত্ত্বেও সৌদিরা তেলের উৎপাদন যে কমাবে, সেটা জানাই ছিল। কারণ বেশ অনেকদিন ধরেই রাশিয়ার সাথে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সৌদিরা তৎপর রয়েছে এবং চীনও এখন সৌদি তেলের সবচাইতে বড় ক্রেতা। তেলের উৎপাদন কমানো হলে এর তিনটা ফলাফল হবে। প্রথমতঃ ব্যাপক মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হার বাড়াতে থাকবে। দ্বিতীয়তঃ রাশিয়ার এতে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে; যা তারা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করবে। এবং তৃতীয়তঃ আসন্ন মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল খারাপ ফলফল করবে। এতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা কমে যাবে। ঐতিহাসিকভাবেই ব্যারেল প্রতি ১০ ডলার মূল্যবৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালনপ্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির মূল্য গ্যালনপ্রতি ১ সেন্ট বৃদ্ধি পাবার অর্থ হলো কনজিউমারদের পকেট থেকে এক বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের খরচ করার সক্ষমতা কমে যাওয়া। আবার ঐতিহাসিকভাবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই বছরের মাঝে অর্থনীতি যদি মন্দায় পতিত হয়, তাহলে প্রেসিডেন্টের পুনরায় নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। এবছরের প্রথম ছয় মাসে মার্কিন অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ছোট হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বহুকাল ধরেই তেলের মূল্যকে নিয়ন্ত্রণ করেছে; যা ওয়াশিংটনের স্বার্থকেই রক্ষা করেছে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য এবং দেশগুলির নেতৃত্বকে নিরাপত্তা দিয়েছে। কিন্তু বারাক ওবামার প্রশাসনের সময় থেকে ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে সৌদি আরব নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। বিশেষ করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ থেকে সৌদি আরবের তেলের স্থাপনাগুলিকে রক্ষার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করায় সৌদিদের সাথে ওয়াশিংটনের এতকালের সখ্যতায় ভাটা পড়েছে। একই সূত্রে মানবাধিকার বিষয়ে ওয়াশিংটন থেকে সৌদিদের উপরে চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াশিংটনের স্বার্থকে উপেক্ষা করেই ‘ওপেক প্লাস’এর তেলের উৎপাদন কর্তন এই ভূরাজনৈতিক ধারাবাহিকতারই অংশ। তবে এটা আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কিন নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থা এখন কতটা দুর্বল হয়ে গেছে।

4 comments:

  1. ধন্যবাদ।
    এখন IMF বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থার ধসে যাওয়ার কথা বলছে। তারা কতটা ভয় পেয়েছে, যে পুরো সিস্টেমটাই ধসে যেতে পারে বলে মনে করছে। এটা কি সম্ভব?, আইডিলোজিক্যাল রাজনৈতিক সিস্টেম ভেঙে না গিয়ে, আগেই অর্থনৈতিক সিস্টেম ভেঙে যাবে। নাকি পরের টা আগেরটা কে ত্বরান্বিত করবে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি পশ্চিমা ব্যবস্থাটাকে বুঝতে পারেননি। এই ব্যবস্থার মূলে রয়েছে সেকুলার চিন্তা; যার অর্থ হলো রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার কোন ভূমিকা থাকবে না। এই সেকুলার চিন্তার একটা লাইন হলো পুঁজিবাদী চিন্তা; আরেকটা হলো সমজতান্ত্রিক চিন্তা। আমরা বর্তমানে পুঁজিবাদী চিন্তার মাঝেই রয়েছি। এই পুঁজিবাদী চিন্তার মাঝে অনেক ধরণের শাখা-প্রশাখা রয়েছে; যেগুলির একটা হলো লিবারালিজম। ঊনিশ শতক থেকে লিবারালিজম পুঁজিবাদী চিন্তাকে বেশি প্রভাবিত করছে। লিবারালিজমের অধীনেই দু'টা বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে; ঠান্ডা যুদ্ধ হয়েছে।

      পশ্চিমা সেকুলার চিন্তাগুলিকে বাস্তবায়নের পদ্ধতি হলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র অর্থ হলো মানুষের তৈরি আইন দিয়ে রাষ্ট্র চালনা; ভোট দেয়া নয়। ভোট না দিলেও সেটা গণতন্ত্র হবে, যতক্ষণ আইন মানুষ তৈরি করবে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ডব্লিউটিও, জাতিসংঘ, আইএমও, আইটিইউ, আইকাও, ইত্যাদি সংস্থা হলো বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা পরিচালনার মেকানিজম। এগুলি পশ্চিমা চিন্তাগুলি থেকেই আসা। তাই এই সংস্থাগুলিও পশ্চিমা চিন্তাগুলিকেই প্রমোট করে।

      পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থার মূল সমস্যা হলো চিন্তার দৈন্যতা। তারা সমস্যা তৈরি করছে, কিন্তু সমাধান দিতে পারছে না; বা ভুল সমাধান দিচ্ছে। একইসাথে তাদের এই চিন্তা বাস্তবায়নের মেকানিজমগুলিও ঠিকমতো কাজ করছে না। এই মেকানিজমগুলিকে যে নেতৃত্ব দেয় (যুক্তরাষ্ট্র) তারই অবস্থা ভালো নয়। অর্থাৎ বিভিন্ন দিক দিয়েই পশ্চিমা ব্যবস্থা সমস্যায় রয়েছে।

      Delete
  2. অনেকেই বলে থাকেন, তেলের উৎপাদন কমানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন মদদেই হচ্ছে বৃটেন ও ইউরোপের দেশগুলোকে জ্বালানি সংকটে ফেলার জন্য। এই বিষয়ে আপনার কি মতামত?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি 'ওপেক প্লাস'কে নিয়ে কথা বলছেন না। অর্থাৎ আপনি রাশিয়াকে পুরোপুরিভাবে বাদ দিয়ে কথা বলছেন। অথচ আপনি এটা জানেন যে, পৃথিবীতে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি হয়েছে রাশিয়ার উপরে অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়ার কারণে।

      যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের উপরে যথেষ্টই চাপ সৃষ্টি করেছে ইতোমধ্যেই। এবং এখন ইউরোপ বাধ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে তেল-গ্যাস আমদানি করতে। কিন্তু যেখানে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই দুনিয়ার সবচাইতে বড় তেলের ব্যবহারকারী, তখন তেলের মূল্য বেশি থাকাটা কার সুবিধা?

      যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তেল বিক্রির উপরে চলে না; চলে কনজিউমারদের উপরে। দেশের কনজিউমাররা কম খরচ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ধ্বস নামে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার মাঝে পড়তে যাচ্ছে। একইসাথে মূল্যস্ফীতি কমাতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়েই যাচ্ছে।

      যদি এটা আমরা ধরে নিই যে, যুক্তরাষ্ট্র তেলের উৎপাদন কমিয়েছে, তার অর্থ দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই চাচ্ছে তার অর্থনীতি মন্দার মাঝে পড়ে যাক। এবং বাইডেন সরকার চাইছে যে, পরবর্তী নির্বাচন রিপাবলিকানরা জিতুক (ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট সহ)।

      Delete