Sunday 24 July 2022

মধ্যপ্রাচ্য সফরে কি পেলেন জো বাইডেন?

২৫শে জুলাই ২০২২
 
মার্চ মাসে অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১’শ ৩৯ ডলারে পৌঁছে; আর যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি এখন ৯ দশমিক ১ শতাংশ; যার ফলশ্রুতিতে ডেমোক্র্যাটরা নভেম্বরের নির্বাচনে আসন হারাবে। অথচ বাইডেন তেল উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বড় ঘোষণা ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করেছেন; যদিও আসন্ন ওপেক বৈঠকে বাইডেনের জন্যে ভালো খবর থাকতে পারে। বাইডেন যা কিছুই বলেন না কেন, ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করছে।


জুলাইয়ের প্রথমভাগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের কেন্দ্রে ছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক। মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘সিবিএস’এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, বাইডেন সৌদি যুবরাজের সাথে দেখা করার জন্যে রাজি ছিলেন না মোটেই। বিশেষ করে যেখানে মার্কিন ইন্টেলিজেন্স প্রতিবেদনই বলেছে যে, ২০১৮ সালে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’এর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার সিদ্ধান্ত খুব সম্ভবতঃ বিন সালমানই দিয়েছিলেন। এখন তুমুল সমালোচনার মুখে বাইডেনকে বিন সালমানের সাথে বৈঠকের যুক্তিযুক্ততা তুলে ধরতে হচ্ছে। বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে তেলের বাজারে অস্থিরতা কমাতে সৌদি আরবকে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে রাজি করানো, ইস্রাইলের সাথে আরব দেশগুলির সম্পর্কোন্নয়ন ছাড়াও ইস্রাইলের জন্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা বৃদ্ধি করা; এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ধরে রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশগুলিকে আস্বস্ত করার ব্যাপারগুলি বিশ্লেষকেরা আলোচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার ইস্যুগুলিকে সকলেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন।

জো বাইডেন জেদ্দায় ‘জিসিসি’র শীর্ষ বৈঠকে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাবে না; এবং রাশিয়া, চীন ও ইরানের মতো দেশের কাছে শূন্যস্থান পূরণের সুযোগও তারা দেবে না। ‘আল জাজিরা’র জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ত্যাগের পর এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের চীন ও রাশিয়া কেন্দ্রিক বক্তব্যের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্রগুলির মাঝে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে। একারণেই বাইডেনকে নতুন করে আশ্বাস দিতে হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্ব কমে যায়নি; বরং আফগানিস্তান থেকে সরে আসার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু সম্পদ এখন মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। বিশারা বলছেন যে, বাইডেন বেশ পরিষ্কার করেই বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে থাকবে তাদের জাতীয় স্বার্থের জন্যে। এর জন্যে দরকার হলে মানবাধিকারের মতো আদর্শিক ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র ছাড় দেবে; সেটা সৌদি আরব, মিশর বা ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। তবে বিশারা আশংকা করছেন যে, মার্কিন জাতীয় স্বার্থের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটা নতুন ঠান্ডাযুদ্ধ শুরু হতে পারে; যার একপক্ষে থাকবে রাশিয়া, চীন ও ইরান; অপরপক্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইস্রাইল এবং আরও কিছু দেশ।

সৌদি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী শিহাবি ‘দ্যা গার্ডিয়ান’কে বলছেন যে, বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে অনেক ব্যাপার নিয়ে কথা বললেও তিনি মূলতঃ বিন সালমানের সাথে দেখা করতেই এসেছিলেন। তেল নিয়ে কথা বলা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে চীন এবং রাশিয়ার প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন তিনি। বাস্তবতা হলো, মধ্যপ্রাচ্যে যেকোন কিছু করতে গেলে সৌদি আরবকে বাদ দিয়ে এগুনো যাবে না। বাইডেনের সফর বিন সালমানের জন্যে একটা বড় বিজয় ছিল।

বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগেই একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার উপর অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সহায়তায় যতটা সম্ভব পূরণের চেষ্টা করা। তবে সৌদিরা ব্যাপারটাকে মার্কিনীদের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। ‘সিবিএস’এর সাথে এক সাক্ষাতে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল জুবাইর বলছেন যে, অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ বাড়ানোটাই সমাধান নয়; কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এই মুহুর্তে অতিরিক্ত তেল পরিশোধন করার সক্ষমতা নেই। ‘সিবিএস’ বলছে যে, বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইস্রাইলি বিমানের জন্যে সৌদি আকাশসীমা খুলে দেয়া, ফিলিস্তিনে ফোর-জি প্রযুক্তি চালু, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, লোহিত সাগরে একটা দ্বীপের উন্নয়ন, ইত্যাদি বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এই বিষয়গুলি মধ্যপ্রাচ্যের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা মার্কিন জনগণের জীবনে কোন প্রভাব ফেলবে না। মানবাধিকার এবং জ্বালানির মূল্যের ব্যাপারেই মার্কিনীর বেশি আগ্রহী।

 
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিন সালমানের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থেকেছেন। এমনকি খাশোগি হত্যাকান্ডে বিন সালমানের জড়িত থাকার ব্যাপারে মার্কিন ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টও তিনি সনসমক্ষে আনার ব্যবস্থা করেছেন। এখন বিন সালমানই বাইডেনকে মার্কিন দ্বিমুখী নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তদুপরি ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা বাইডেনকে বিন সালমানের কাছে টেনে এনেছে।

‘আল জাজিরা’ বলছে যে, মধ্যপ্রাচ্য সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাতের পর বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে বেশ খানিকটাই সমস্যা সামলাতে হচ্ছে। বিন সালমানের সাথে বাইডেনের সাক্ষাৎকে কেউই সহজভাবে নিতে পারেনি। এখন উল্টো সৌদি যুবরাজই বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রই তার আদর্শিক অবস্থানকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ইরাকে মার্কিন সামরিক হামলা, আবু ঘরাইব জেলখানায় মার্কিনীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অতি সম্প্রতি ইস্রাইলে মার্কিন সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর হত্যার পর মার্কিন প্রশাসনের চুপচাপ থাকার কথা মনে করিয়ে দেন। মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগেই বাইডেন নিজ দেশে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্য সফর করার পরেও তার অবস্থান খুব একটা সংহত হয়নি। কাজেই এই মুহুর্তে এটা চিন্তা করা কঠিন যে, মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগেই বাইডেনের জনসমর্থন হঠাত করেই বেড়ে যাবে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে থাকার সময় তার যথেষ্ট কম জনসমর্থন ছিল; আর এই মুহুর্তে বাইডেনের জনসমর্থনও প্রায় একই রকম; প্রায় ৩০ শতাংশের আশেপাশে; যা যথেষ্ট আশংকাজনক। মধ্যপ্রাচ্যে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কোন বিজয় না পেয়েই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়েছেন; যেখানে মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি ও খাদ্যমূল্যের চরম বৃদ্ধির কারণে জনগণ প্রেসিডেন্টের উপর ক্ষেপে রয়েছে।

ব্রিটেনের ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, বাইডেন ক্ষমতায় আসার সময় বলেছিলেন যে, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের একনায়কদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেবেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময়েই সৌদি যুবরাজের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেবেন বলে বলেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিন সালমানের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থেকেছেন। এমনকি খাশোগি হত্যাকান্ডে বিন সালমানের জড়িত থাকার ব্যাপারে মার্কিন ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টও তিনি সনসমক্ষে আনার ব্যবস্থা করেছেন। এখন বিন সালমানই বাইডেনকে মার্কিন দ্বিমুখী নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তদুপরি ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা বাইডেনকে বিন সালমানের কাছে টেনে এনেছে। মার্চ মাসে অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১’শ ৩৯ ডলারে পৌঁছে; আর যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি এখন ৯ দশমিক ১ শতাংশ; যার ফলশ্রুতিতে ডেমোক্র্যাটরা নভেম্বরের নির্বাচনে আসন হারাবে। অথচ বাইডেন তেল উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বড় ঘোষণা ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করেছেন; যদিও আসন্ন ওপেক বৈঠকে বাইডেনের জন্যে ভালো খবর থাকতে পারে। বাইডেন যা কিছুই বলেন না কেন, ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করছে।

2 comments:

  1. ইউএস এর সাম্রাজ্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসছে, এটা যেমন স্পষ্ট তেমনি এর ক্ষমতা যে অনেক হ্রাস পেয়েছে এটাও স্পষ্ট।
    রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি ইউরোপে বন্ধ সহ বিভিন্ন কারনে গ্লোবাল ইকনমিতে রিসেসন আস্তে চলেছে।
    ফলে কি বলা যায় যে বিশ্বব্যবস্থা পরিবর্তন কি ত্বরান্বিত হবে?
    এর রুপরেখা কি দেওয়া সম্ভব?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসছে - ব্যাপারটা এমন নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্য ধ্বসে পড়ছে বিধায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যেসময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই বলছিলেন যে, তাদের সর্বোচ্চ প্রাধান্য হলো চীন; এবং একারণে রাশিয়াকে আমলে নেবার খুব একটা দরকার নেই; ঠিক সেসময়েই যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা নড়েচড়ে বসেছে এবং এখন বলছে যে, রাশিয়াকে না ঠেকাতে পারলে পশ্চিমা আদর্শকে দাঁড়িয়ে রাখা সম্ভব নয়। আসল ব্যাপার হলো, পশ্চিমা সভ্যতা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেই এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা এমনই একটা লক্ষণ। রাশিয়া যদি নিশ্চিত হতো যে যুক্তরাষ্ট্র আগের মতোই শক্তিশালী এবং ইউরোপ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যতটা একত্রিত ছিল এখনও ততটাই একত্রিত রয়েছে, তাহলে রাশিয়া কখনোই ইউক্রেনে হামলা করতো না। হ্যাঁ; রাশিয়া অবশ্যই ভুল করেছে; কিন্তু সেই ভুল করতে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের দুর্বলতা। আর এখন তো পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, সকলেই পশ্চিমাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। এমনকি আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলি পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধের উপর জাতিসংঘের ভোটাভুটিতে পশ্চিমাদের পক্ষ নেয়নি।

      বিশ্বের বহু দেশের এভাবে তথাকথিত নিরপেক্ষ থাকাটা পশ্চিমাদের আদর্শিক ব্যর্থতা। বহুদিন ধরেই আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইত্যাদি মুসলিম দেশে গণহত্যার ক্ষেত্রে পশ্চিমারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই চুপ থেকেছে। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে রুশ হামলার ব্যাপারে পশ্চিমাদের হঠাত করেই নড়েচড়ে বসাটা সকলের কাছেই দৃষ্টিকটু ঠেকেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর আগেও বহুবার পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতিতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ পশ্চিমাদের পিছু ছাড়েনি। কিন্তু এবার বেশিরভাগ দেশই বুঝতে পারছে যে, পশ্চিমারা প্রকৃতপক্ষে ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা তারা দেখাবার চেষ্টা করে। একারণেই পশ্চিমাদের আহ্বানে বেশিরভাগ দেশই সাড়া দেয়নি। এমনকি চীনকে মোকাবিলায় মার্কিনীদের অতি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ভারতকে পর্যন্ত তারা পক্ষে আনতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নানাবিধ ছাড় দিয়ে বাধ্য হয়েছে।

      এটা নিশ্চিত যে, পশ্চিমা সভ্যতা এখন অস্তগামী। তাদের বিশ্বব্যবস্থা ধ্বসে পড়েছে; কাজ করছে না। যে যার ইচ্ছেমতো আখের গোছাচ্ছে; নিজের স্বার্থ দেখছে। এটা কোন ব্যবস্থা নয়; যদিও এখনও পর্যন্ত এটাকে পুরোপুরিভাবে অরাজকতা বলা যায় না। তবে অরাজকতা খুব বেশি দূরে নয়। যেসকল উদাহরণ ইতোমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে, তা কপি হতে থাকলে অরাজকতার দিকেই দুনিয়াকে ধাবিত করবে। এই অরাজকতা থামাতে বিশ্বের জনগণ কতটা আন্তরিক, সেটার উপরেই নির্ভর করবে সমাধান এবং এর টাইমলাইন।

      Delete