Wednesday 1 September 2021

যুক্তরাষ্ট্র … আফগানিস্তানের পর

১লা সেপ্টেম্বর ২০২১

যুক্তরাষ্ট্র এখন নিজেকে দুনিয়ার আদর্শিক নেতৃত্বের অবস্থানে দেখতে চাইছে না। আফগানিস্তান ছেড়ে আসার ঘটনা এই ব্যাপারটাকে আরও পরিষ্কার করলো। মার্কিনীরা এখন অনেক ‘জাতীয়তাবাদী; তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত থেকে বাকি দুনিয়ার ‘পুলিশম্যান’ হতে চাইছে না। তবে যেহেতু কোন একক শক্তি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের স্থলাভিষিক্ত হবার মতো অবস্থানে নেই, তাই বিশ্বকে হয়তো নতুন নেতৃত্বের জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

 
আফগানিস্তান ছেড়ে আসার পর বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আসলে কি হবে? এ নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন।

মার্কিন চিন্তাবিদ জর্জ ফ্রীডম্যান থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘জিওপলিটিক্যাল ফিউচার্স’এর এক লেখায় বলছেন যে, ২০ বছর যুদ্ধ করে হেরে যাবার পরেও যুক্তরাষ্ট্রে কেউ কেউ চাইছেন যুদ্ধ চালিয়ে নিতে। কিন্তু তিনি মনে করছেন না যে, আরও ২০ বছর যুদ্ধ করলেও জয়ের দেখা মিলবে; কেননা, সফলতার সংজ্ঞাই এখানে অস্পস্ট এবং অতিরিক্ত রকমের উচ্চাভিলাসী। এর লক্ষ্য ছিল একটা সমাজকে তাদের জীবনযাত্রা থেকে পরিবর্তিত করে মার্কিনীরা যেমন চায় সেরকম করে গড়ে তোলা। কিন্তু এই অঞ্চলের বহু যুদ্ধরত গ্রুপগুলিকে যুদ্ধক্ষেত্রে হারিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং নতুন একটা সংস্কৃতির জন্ম দেয়া ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাধ্যের বাইরে। ফ্রীডম্যান বলছেন যে, সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র যেমন চেয়েছিল পশ্চিমা লিবারাল আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে, ঠিক একইভাবে আফগানিস্তানের যুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে আফগানদের সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করতে। শক্তি প্রয়োগে দেশটার মাত্র কিছু অংশকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আবার আফগানদের নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল পশ্চিমা লিবারাল আদর্শ থেকে অনেক আলাদা। আফগানরা তাদের নৈতিকতাকেই সঠিক মনে করেছে; তাই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আফগানদের নৈতিকতা পরিবর্তন করে তাদেরকে পশ্চিমা ধাঁচের নৈতিকতাতে নিয়ে আসা ছিল দুষ্কর।

মার্কিন সামরিক কন্ট্রাক্টর ‘ব্ল্যাকওয়াটার’এর প্রতিষ্ঠাতা এরিক প্রিন্স মার্কিন টিভি চ্যানেল ‘ফক্স নিউজ’এর সাথে এক সাক্ষাতে বলছেন যে, ডেমোক্র্যাটরা বলছিলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোর ক্ষতি করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একা একা আফগানিস্তান ছেড়ে আসার ঘোষণা ন্যাটোর যতটুকু বাকি রয়েছে, তাও ধ্বংস করবে। যুক্তরাষ্ট্রের উপর তার ইউরোপিয় মিত্রদের আস্থা চলে গেছে। মার্কিন ইন্টেলিজেন্স যদি কোন দেশে তাদের লোক নিয়োগ করতে চায়, অথবা কোন দেশকে চীনের বিপক্ষে দাঁড়াতে বলে, তাহলে তারা চিন্তা করবে যে, যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধুদেরকে কিভাবে ফেলে চলে যায়। মার্কিন ডলার দুনিয়ার রিজার্ভ মুদ্রা, কারণ এর পিছনে রয়েছে মার্কিন সামরিক সক্ষমতা। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে ডলার ছাপিয়ে। এখন সারা দুনিয়াতে যদি মার্কিন শ্রেষ্ঠত্ব নিঃশেষ হয়ে আসে, তাহলে তা মার্কিন ডলারের উপর দুনিয়ার জনগণের আস্থাকেও প্রভাবিত করবে। এর ফলশ্রুতিতে মার্কিন অর্থনীতি এবং জীবনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এমন একটা জাতির কাছে পরাজিত হয়, যারা কিনা ৭০ বছরের পুরোনো অস্ত্র ব্যবহার করছে এবং চিন্তাধারার দিক থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে রয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে যে, মার্কিন সামরিক সক্ষমতা যতটা মনে করা হয়, ততটা নয়। সেখানে যতটা সার্ভেইল্যান্সই থাকুক না কেন, তা সেখানকার সমাজের বাস্তবতাতে কতটা পরিবর্তন করতে পারলো, সেটাই আসল কথা। করোনাভাইরাসকে যখন অনেক বড় হুমকি বলে বলা হচ্ছে, তখন এটা মনে রাখা উচিৎ যে, তালিবানরা কোন মাস্ক না পড়েই পুরো দেশ জয় করে নিয়েছে। এই মহামারি তাদেরকে জয়কে খুব একটা আটকাতে পারেনি।

মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইউরেশিয়া গ্রুপ’এর প্রতিষ্ঠাতা ইয়ান ব্রেমার বলছেন যে, আফগানিস্তান থেকে সড়ে আসার সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কি হওয়া উচিৎ, তা নিয়ে কথা হচ্ছে। বহুকাল যাবত মার্কিনীরা মেনেই নিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়ার ‘পুলিশম্যান’। কিন্তু এখন সেই চিন্তায় পরিবর্তন হয়েছে। সারা দুনিয়াব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত সমাজ, আইনের শাসন, মানবাধিকারের মতো পশ্চিমা আদর্শগুলিকে প্রতিষ্ঠা করেছে। মার্কিন জনগণ প্রশ্ন করা শুরু করেছে যে, তারা মার্কিন সরকারকে যেসকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার জন্যে নির্বাচিত করছে, তা তারা বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। উল্টো বহু অভিবাসী সেদেশে ঢুকে পড়ছে এবং সমাজকে পরিবর্তন করে ফেলছে। স্ট্যাচু অব লিবার্টির চিন্তাগুলি হঠাত করেই বহু আমেরিকানের কাছে আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে না। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তাতেই সহিংসতা থামছে না, সেখানে অন্য দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়া কেন? বাকি দুনিয়ার কাছে উদাহরণ হতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের জনগণের দেখাশুনা করতে হবে। ব্রেমার বলছেন যে, যদিও বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অবস্থান বলবত থাকবে, তথাপি যুক্তরাষ্ট্র যে দুনিয়ার ‘পুলিশম্যান’, সেই চিন্তাটা একটা বড় ধাক্কা খেলো। এখন জাতীয়তাবাদী চিন্তাটাই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়ার নিরাপত্তার জন্যে কাজ করবে মার্কিন জনগণের স্বার্থে। অর্থাৎ যেখানে মার্কিন জনগণ নিজেদের সুবিধা দেখবে না, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র নাক গলাবে না। ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিনীরা মনে করেছে যে, তাদের আদর্শ দুনিয়ার বাকি আদর্শের চাইতে উন্নততর। কিন্তু বর্তমানে মার্কিন আদর্শ আসলে কোনটা, সেটাই কেউ নিশ্চিতভাবে বলছে পারছে না। তবে মার্কিন মিত্ররাও সমস্যায় রয়েছে; যেকারণে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের ছেড়ে আসা জায়গাগুলি অত সহজে পূরণ করতে পারবে না। অপরদিকে চীনারা তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করলেও চীনারা যুক্তরাষ্ট্রের ছেড়ে আসা স্থান নিয়ে নেবে, এটা ভাবার পক্ষে কোন যুক্তিই নেই। রুশরাও সেটা করবে না। নেতৃত্ব হয়ে উঠছে আঞ্চলিক; বৈশ্বিক নয়। এতে আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়বে। ওবামা, ট্রাম্প বা বাইডেন সকলেই চাপের মাঝে পড়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এতকাল যে বৈশ্বিক নেতৃত্ব দিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সমর্থন করছে না। অনেকেই মনে করেছিলেন যে, ট্রাম্পের উত্থান একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা; কাঠামোগত পরিবর্তন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা বলে দিচ্ছে যে, আসল ব্যাপার তার ঠিক উল্টোটা।

এক টুইটার বার্তায় জর্জ ফ্রীডম্যান বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র হলো একটা আদর্শিক প্রকল্প। যেকোন আদর্শিক প্রকল্পের মতোই সে নিজের আদর্শকে অন্যের আদর্শ থেকে উন্নততর মনে করে। তবে আদর্শিক কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সামরিক হস্তক্ষেপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়; এবং এর শেষ প্রায় কখনোই ভালো হয় না। ফ্রীডম্যান, প্রিন্স এবং ব্রেমারের কথা থেকে পরিষ্কার যে, যুক্তরাষ্ট্র এখন নিজেকে দুনিয়ার আদর্শিক নেতৃত্বের অবস্থানে দেখতে চাইছে না। আফগানিস্তান ছেড়ে আসার ঘটনা এই ব্যাপারটাকে আরও পরিষ্কার করলো। মার্কিনীরা এখন অনেক ‘জাতীয়তাবাদী; তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত থেকে বাকি দুনিয়ার ‘পুলিশম্যান’ হতে চাইছে না। তবে যেহেতু কোন একক শক্তি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের স্থলাভিষিক্ত হবার মতো অবস্থানে নেই, তাই বিশ্বকে হয়তো নতুন নেতৃত্বের জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

4 comments:

  1. আফগানিস্তানে, বর্তমানে পশ্চিমা আদর্শিক বিশ্বব্যবস্থা কিছুতেই তার বিকল্প আদর্শিক শাসনব্যবস্থাকে/ব্যবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে সফল হতে দেবে না।
    যতদিন প্রচলিত বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে ততদিন অন্যকোনো বিকল্প আদর্শিক বিশ্বব্যবস্থার উঠে আসার কোনো চান্স নেই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা এখন কোন ব্যবস্থা নয়; এটা একটা অব্যবস্থা। এখানে কোন নিয়ম নেই। গত কয়েক বছরের ঘটনাসমূহ একমাত্র সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়। ইচ্ছে করেও এগুলি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কিছু উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, দুনিয়া এখন একটা অব্যবস্থাপনার মাঝে রয়েছে।

      ১। সারা দুনিয়ার অর্ধেক সম্পদ হাতে গোণা কয়েকটা মানুষের হাতে চলে গেছে। বাকি মানুষের জন্যে কিছুই রাখা হয়নি।

      ২। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মাঝে অস্ত্র কমানো নিয়ে কোন আলোচনা নেই অনেক বছর হলো। ফলাফলস্বরূপ রাশিয়া এখন নতুন ধরনের মারণাস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে, যাতে সে যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় বাধ্য করতে পারে।

      ৩। চীন নিজের গায়ের জোরে দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বীপ দখল করে সেগুলিতে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না; কারণ চীন অপেক্ষাকৃতভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী।

      ৪। হিউম্যান রাইটসএর কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ১ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষ হত্যা করেছে; হাজারো মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে।

      ৫। জাতিসংঘ এখন একটা মূল্যহীন সংস্থা।

      ৬। বারংবার কথা পরিবর্তন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।

      ৭। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এখন কোন কাজ নেই। কারণ এর অধীনে আদালতের কোন বিচারক নেই।

      ৮। মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোন আন্তর্জাতিক আলোচনা নেই; রাশিয়া এন্টি স্যাটেলাইট ওয়েপন ডেভেলপ করছে।

      ৯। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর কোন আন্তর্জাতিক আলোচনা নেই। কেউ কেউ এআইএর হাতে মানুষ হত্যার সিদ্ধান্ত দিতে চাইছে।

      ১০। সোশাল মিডিয়া মাত্র কয়েকটা কোম্পানির হাতে; রাষ্ট্রগুলি এগুলির সাথে পেরে উঠছে না।

      ১১। তুরস্ক সিরিয়া, লিবিয়া এবং ককেশাসের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে। কেউ কিছু করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র মূলতঃ সমর্থনই দিয়েছে।

      ১২। ইস্রাইল ইচ্ছেমতো বোমা ফেলে মানুষ মেরে চলেছে; যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশগুলি বুলি সর্বস্ব। মুসলিম দেশগুলি বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে ইস্রাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে।

      ১৩। রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসনে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাই কাজ করেনি; উল্টো সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে।

      ১৪। যুক্তরাষ্ট্র তার বাজেট ঘাটতি পূরণে ডলার ছাপিয়ে চলছে। অথচ ডলার হলো সারা দুনিয়ার রিজার্ভ মুদ্রা।

      ১৫। ইথিওপিয়ার যুদ্ধ চলছেই; কেউ থামাচ্ছে না।
      ১৬। একের পর এক অভ্যুত্থান হচ্ছে বা চেষ্টা হচ্ছে।

      ১৭। ভ্যাকসিন নিয়ে সকলেই জাতীয়তাবাদী আচরণ করছে; মানুষ বাঁচানো কারুর উদ্দেশ্য নয়।

      ১৮। ইউরোপে ডানপন্থীরা নির্বাচনে এগিয়ে যাচ্ছে; মধ্যপন্থীরাও ডানপন্থীদের ভোট চাইছে।

      ১৯। ইস্রাইলের সাথে ইরানের প্রক্সি যুদ্ধ চলছে অনেকদিন ধরেই।

      ২০। আফ্রিকা জুড়ে চলছে সংঘাত; যুগের পর যুগ শান্তিরক্ষী রেখেও শান্তি আসছে না; যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষীদের বাজেট কেটে ফেলতে চাইছে।

      Delete
  2. ধন্যবাদ। এই 'অব্যবস্থা'কে মূলত মাৎস্যন্যায় এর যুগের সাথে তুলনা করা যায়।
    তবুও অব্যবস্থা/ ব্যবস্থা অপর কোনো আইডিলোজক্যাল শক্তি/শাসনব্যবস্থাকে দাড়াতেই দেবে না। ঠিকই তারা সিস্টেমকে কাজে লাগাবে যেনতেন ভাবে, তার কোনো বিপরীত/বিকল্প আদর্শ এর উথথান প্রতিরোধ করতে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. একজন পঙ্গু লোককে দিয়ে ম্যারাথন দৌড় দেওয়ানোটা বাস্তবতার বিরুদ্ধে যাবে।

      Delete