Friday 26 June 2020

ইথিওপিয়া-মিশর-সুদানের পানি-যুদ্ধ - বিশ্ব-ব্যবস্থার প্রতি আরেকটা আঘাত

২৭শে জুন ২০২০
মিশর এতদিন কোন সামরিক হুমকি না দিলেও এখন কেউই এব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না। বিশেষ করে হঠাত করেই সুদান সুর পাল্টে ফেলার কারণে ঘটনা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। বিবদমান পক্ষরা শক্তির জোরেই এই সমস্যার মিটমাট করবে কিনা, তার দায় জাতিসংঘের সাফল্য-ব্যর্থতার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে; যা কিনা করোনাভাইরাসে নুয়ে পড়া বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার প্রতি আরেকটা আঘাত হিসেবেই এসেছে।



২৬শে জুন ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেদু আন্দারগাচিউ ‘ডিপিএ নিউজ এজেন্সি’র সাথে এক সাক্ষাতে ঘোষণা দেন যে, তার দেশ মিশর এবং সুদানের সাথে সমঝোতায় না পৌঁছাতে পারলেও আগামী মাসে ‘গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস ড্যাম’ বা ‘জিইআরডি’ নামে নীল নদের শাখা ব্লু নাইলের উপর নির্মিত বাঁধের কাজ শেষ করে ফেলবে। ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত এই বাঁধের মাধ্যমে ইথিওপিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাইছে। প্রায় এক দশক ধরে এই বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ইথিওপিয়ার সাথে মিশর এবং সুদানের কথা চালাচালি হচ্ছে। নীল নদের শেষাংশের প্রায় ১০ কোটি জনসংখ্যার দেশ মিশর বলছে যে, এই বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে মিশরে পানির স্বল্পতা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইথিওপিয়া এই বাঁধের কাজ শুরু করে। এই বাঁধ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইথিওপিয়া মাত্র ৩ থেকে ৫ বছরের মাঝেই এই বাঁধের পিছনের হ্রদ ভরে ফেলে এখান থেকে উৎপাদিত ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আশেপাশের দেশগুলিতে রপ্তানি করতে চাইছে। ১৯২৯ এবং ১৯৫৯ সালের দুই চুক্তি অনুযায়ী মিশর নীল নদের ৮৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানির সাড়ে ৫৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার বা ৬৬ শতাংশ পানি পায়; আর সুদান পায় ২২ শতাংশ পানি। মিশর চাইছে যে, ইথিওপিয়া ১০ থেকে ২১ বছরের মাঝে শুধুমাত্র বর্ষার ঋতুতে এই বাঁধের পিছনে হ্রদ ভরুক। অন্যদিকে ইথিওপিয়া বলছে যে, মিশরের পানির চাহিদা পূরণ করতে গেলে ইথিওপিয়ার হ্রদ ভর্তি করা সম্ভব হবে না।

‘আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, মিশরের পানির চাহিদার ৯৮ শতাংশ আসে নীল নদ থেকে; আর দেশটার ৯৫ শতাংশ মানুষ এই নদীর আশেপাশে বসবাস করে। ১৯৭১ সালে মিশর আসওয়ান বাঁধ তৈরি করার পর বিদ্যুৎ তৈরি করতে পেরেছে ঠিকই, কিন্তু নীল নদের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা নষ্ট যায় এবং বদ্বীপের উর্বরতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন যে, ইথিওপিয়ার বাঁধ তৈরি এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থাকে আরও খারাপ করবে। ইথিওপিয়ার ব্লু নাইল নীল নদের ৮৫ শতাংশ পানির উৎস। ‘আল জাজিরা’ ইথিওপিয়ার বাঁধ নিয়ে পাঁচটা সম্ভাব্য বিশ্লেষণ করেছে। প্রথমতঃ ইথিওপিয়া যদি ২১ বছরে বাঁধের পিছনের হ্রদ পানি দিয়ে ভর্তি করে, তাহলে মিশর তার বাৎসরিক পানির চাহিদার ৫ শতাংশ হারাবে; আর আড়াই শতাংশ কৃষিজমি হারাবে। দ্বিতীয়তঃ যদি ১০ বছরে হ্রদ ভরা হয়, তাহলে মিশর ১৪ শতাংশ পানি আর ২০ লক্ষ একর বা ১৮ শতাংশ কৃষিজমি হারাবে। তৃতীয়তঃ হ্রদ ৭ বছরে ভর্তি করা হলে মিশর ২২ শতাংশ পানি হারাবে; কৃষিজমি হারাবে ৩০ লক্ষ একর বা ৩০ শতাংশ। চতুর্থতঃ হ্রদ পাঁচ বছরে ভর্তি করা হলে মিশর ৩৬ শতাংশ পানি এবং ৫০ শতাংশ কৃষিজমি হারাবে। আর শেষ হিসেবে, ইথিওপিয়া যদি মাত্র ৩ বছরের মাঝেই হ্রদ ভরে ফেলে, তাহলে মিশর ৫০ শতাংশ পানি এবং ৬৭ শতাংশ বা সাড়ে ৬৭ লক্ষ একর কৃষিজমি হারাবে।

এই দ্বন্দ্বে আরেক পক্ষ সুদান এতদিন বলে এসেছে যে, ইথিওপিয়ার বাঁধ সুদানের বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা দেয়া ছাড়াও দেশটার পূর্বের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে পলি থেকে বাঁচাবে। সুদান এই আলোচনায় এতদিন বাঁধের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু সবকিছু পাল্টে যায় সুদানে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের পর থেকে। গত ১৩ই মে সুদান ইথিওপিয়ার সাথে ‘আংশিক চুক্তি’ স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়। সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দ আল্লাহ হামদক বলেন যে, চুক্তিতে টেকনিক্যাল এবং আইনগত আর্টিকেল রাখা হয়নি; আর তথ্য আদানপ্রদান এবং সমন্বয়েও ঘাটতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, তিন দেশ একত্রে বসে সমঝোতায় আসার আগে জুলাই মাসে ইথিওপিয়ার হ্রদ ভর্তি করা উচিৎ হবে না। গত ২৪শে জুন সুদানের সেচ মন্ত্রী ইয়াসের আব্বাস এক সংবাদ সন্মেলনে বলেন যে, সমঝোতা ছাড়া ইথিওপিয়া বাঁধের কাজ শেষ করে ফেললে সুদানের বাঁধগুলি হুমকির মাঝে পড়ে যাবে। সুদান নিজেদের বাঁধের কোন সমস্যা হবেনা, এই শর্তে ইথিওপিয়ার সাথে সমঝোতায় রাজি ছিল।

আলোচনা থেকে সুদান উঠে আসার পরপরই ইথিওপিয়ার সাথে সুদানের সম্পর্ক উল্টোদিকে মোড় নেয়, যখন ২৯শে মে সুদান বলে যে, দেশটার পূর্বে ইথিওপিয়ার সীমানায় গাদারিফে ইথিওপিয়দের সশস্ত্র হামলায় তিনজন সুদানি সেনা এবং বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে। রাজধানী খার্তুমে ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর ২২শে জুন সুদান ঘোষণা দেয় যে, গাদারিফের আনফাল সেনা ক্যাম্পে ইথিওপিয় সামরিক হামলা প্রতিহত করেছে সুদানিরা। এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ‘ডয়েচে ভেলে’ বলছে যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিররের সময় সুদান তার সীমানায় ইথিওপিয় কৃষকদের চাষ করতে দিতো; কিন্তু বশির ক্ষমতাচ্যুত হবার পর নীতির পরিবর্তন হয়েছে এবং ২৫ বছরে প্রথমবারের মতো সুদান ইথিওপিয়ার সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। এই সীমান্ত সংঘর্ষকে ভূরাজনীতির অংশ হিসেবেই দেখতে হবে বলে বলছে তারা। এক দশক ধরে চলা এই উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে কিনা, তা নির্ভর করছে মিশরের উপর। আরব দেশগুলি ২৩শে জুন মিশরকে সমর্থন জানিয়ে ইথিওপিয়াকে বাঁধের কাজে দেরি করতে অনুরোধ করে। তারা বলছে যে, মিশর আর সুদানের সুপেয় পানির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অর্থ হলো আরবের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হওয়া। অপরদিকে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ সুক্রি বলেন যে, বাঁধের ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ যদি সফল না হয়, তাহলে মিশর তার যা বলার সরাসরি এবং পরিষ্কারভাবে বলবে। মিশর এতদিন কোন সামরিক হুমকি না দিলেও এখন কেউই এব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না। বিশেষ করে হঠাত করেই সুদান সুর পাল্টে ফেলার কারণে ঘটনা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। বিবদমান পক্ষরা শক্তির জোরেই এই সমস্যার মিটমাট করবে কিনা, তার দায় জাতিসংঘের সাফল্য-ব্যর্থতার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে; যা কিনা করোনাভাইরাসে নুয়ে পড়া বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার প্রতি আরেকটা আঘাত হিসেবেই এসেছে।

122 comments:

  1. Enter your comment... নুয়ে পড়া বিশ্ব ব্যবস্থা বলতে কি বোঝায়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার প্রথম বই 'মার্কিন দুনিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া' এবং তৃতীয় বই 'যুক্তরাষ্ট্রের পর...' পড়লে একটা সম্যক ধারণা পেতে পারেন।

      Delete
  2. Enter your comment...জাপান জার্মানরা যে রাজনৈতিক শক্তি না হোক এ বিষয়ে কি নুষে পড়া বিশ্ব কি একমত?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ একমত। কারণ এই দেশগুলির উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ তারা দেখেছে, যা পশ্চিমাদের তৈরি করা বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেবার জন্যে জার্মানি এবং জাপানের আগ্রাসী ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। এই দুই দেশ ব্রিটেনের কাছ থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু নিজেরা যুদ্ধে হেরে গিয়ে তা ধরে রাখতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র এখানে বিজয়ী। তবে আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, সোভিয়েত ইউনিয়নও ব্রিটেনকে দুনিয়ার নেতৃস্থান থেকে সড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একমত ছিল। অর্থাৎ ব্রিটেনকে সড়িয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল; ব্রিটেনকে তখন বাধ্য করা হয়েছিল নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে।

      Delete
  3. Enter your comment...২০১৭-১৮ সালের দিকে জার্মানি তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে যুক্তরাষ্ট্রের ও রাশিয়ার বিবাদে কারনে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. যুক্তরাষ্ট্র সর্বদাই অভিযোগ করে আসছে যে, ইউরোপিয়রা নিজেদের নিরাপত্তায় যথেষ্ট খরচ করছে না। রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র বেশি চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে জার্মানি রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির জন্যে নতুন করে পাইপলাইন তৈরি করছে।

      Delete
  4. Enter your comment..যুক্তরাষ্টের অর্থনীতি কি সত্যিই এতটা শক্তিশালী নাকি মিথ্যা রির্পোট বানিয়ে সবাইকে ভয় দেখায়?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ডলার ছাপিয়ে অর্থনীতি বড়। অর্থের দরকার হলেই সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে ধার করছে; আর সেই হিসেবে ডলার ছাপাচ্ছে; সেই ডলার আবার সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই অর্থের পিছনে কোন সম্পদ নেই। এগুলি শুধু কাগজের ডলার, যা ধার নেয়া হয়েছে নিজের ব্যাঙ্ক থেকে। এই ডলার যুক্তরাষ্ট্র কোনদিনই শোধ করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সবচাইতে ঋণগ্রস্ত দেশ। এই ঋণের উপর নির্ভর করেই সে সবচাইতে বড় অর্থনীতি এবং সবচাইতে বড় সামরিক বাহিনীর মালিক।

      Delete
  5. Enter your comment...গ্রীসের অর্থনৈতিক দৈন্য দশা কি তুরস্ককে লাভবান করে না

    ReplyDelete
    Replies
    1. অবশ্যই করে। গ্রীসকে ইউরোপিয়রা উসমানি খিলাফত থেকে আলাদা করেছিল ইস্তাম্বুলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে। এখনও গ্রীসকে তারা ব্যবহার করছে তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্যে। গ্রীসের অর্থনীতি খারাপ হওয়ার অর্থ তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রীসের কৌশলগত সক্ষমতা কমে যাওয়া। তবে বাকি ইউরোপিয়রা সময় ও সুযোগমতো গ্রীসকে সহায়তা দিয়ে তুরস্ককে নিয়ন্ত্রণে করতে চাইবে; যা তারা এর আগে বহুবার করেছে।

      Delete
  6. Enter your comment...বাংলাদেশের পানি যুদ্ধের কি অবস্থা?

    ReplyDelete
    Replies
    1. চলছে; চলবে। যতক্ষণ মিঃ র‍্যাডক্লিফের এঁকে দেয়া বাউন্ডারি থাকবে।

      Delete
  7. Enter your comment...পশ্চিম বাংলার নাম পরিবর্তন করে যে বাংলা করা হবে।এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের যে বিবাদ তার কি কোনো ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. অবশ্যই আছে। এর অর্থ হলো ভারতের রাজ্যগুলি নিজের ইচ্চামতো চলতে চাইছে। তাদের নিজস্ব প্রাধান্য রয়েছে, যা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। এটা ভারতে অভ্যন্তরীণভাবে আরও দুর্বল করেছে এবং করবে।

      Delete
  8. বাংলাদেশি এক পত্রিকা বলছে ভারতের ভুতুরে ক্ষৃমতায় কেন্দ্র নাকি পশ্চিম বাংলার উপর ভাবি কেন্দ্রীয় শাসন চালাতে পারে কথাটা কতটা যোক্তি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার সীমিত জ্ঞানে এর উত্তর জানা নেই।

      Delete
  9. কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিং এর বনবাস সম্পর্কে জানতে চা?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করুন।

      Delete
  10. ভারতীয় রাজ্য মধ্য প্রদেশকে ভেঙে তেলেঙ্গানা তৈরির কোনো ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। কেননা তাই ছিল নিজামের রাজ্য?

    ReplyDelete
    Replies
    1. তেমন একটা নেই। কেননা নিজামের রাজ্য বাঁচাতে কারুরই আসার কথা ছিল না। আর ঐ এলাকার মানুষ আরও অনেকগুলি রাজ্যের মতোই কেন্দ্রের অধীনতা মানতে চায় না। সেক্ষেত্রে ঐ এলাকার রিএরেঞ্জমেন্টের কিছুটা গুরুত্ব থাকতে পারে। ঐ রিএরেঞ্জমেন্ট ছিল ভারতের নিরাপত্তাহীনতার ফলাফল।

      Delete
  11. গ্রীসের অর্থনীতি খারাপ হওয়ার কারন কি?

    ReplyDelete
  12. করোনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করবে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এখন নেই।

      Delete
  13. মিয়ানমারও তো ভারতেেে প্রতেবেশি তারা কি ভাবছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. মিয়ানমারের উচিৎ বাংলাদেশের প্রভাব বলয়ে থাকা।

      https://koushol.blogspot.com/2018/11/why-myanmar-should-be-under-bangladesh-influence.html

      Delete
  14. ইউরোপেও ইউনিয়ন কার

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভেঙ্গে যাবার জন্যে অপেক্ষা করছে সবাই।

      Delete
  15. পাকিস্তান কি পাড়বে

    ReplyDelete
    Replies
    1. পাকিস্তান – অল্পেই সাফল্য?

      https://koushol.blogspot.com/2015/08/mahan-bangladesh.html

      Delete
  16. Enter your comment...ভেঙে গেলে কি হবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধরে নিচ্ছি আপনি ইইউ ভেঙ্গে যাবার ব্যাপারে কথা বলছেন। ইইউ এখন ভেঙ্গেই গেছে প্রায়। যখন অফিশিয়ালি ভেঙ্গে যাবে, তার আগে আগে ইইউএর কোন গুরুত্বই থাকবে না। এখনই এর গুরুত্ব অনেক কমে গেছে; বিশেষ করে ব্রিটেনের বের হয়ে যাবার পর থেকে। ইউরোপ এখন তাদের পুরোনো জাতীয়তাবাদী চিন্তায় ফেরত যাচ্ছে, যা কিনা পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বের স্বাভাবিক পরিণতি।

      Delete
  17. Enter your comment...আমি তো ভুলে গিয়ে ছিলাম আমেরিকার স্বাধীনতায় ফান্সের ভূমিকা ছিল। আপনার কথা দ্বারা বুঝলাম ফান্স ও যুক্তরাষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র দেখা গেলেও ভেতরে তা নয়।বাংলাদেশ কি এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত নয়?

    ReplyDelete
    Replies
    1. পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বে কেউ কারুর স্থায়ী বন্ধু নয়। বরং পরস্পরের প্রতি হিংসাই হলো স্থায়ী চিন্তা।

      Delete
  18. Enter your comment...জার্মানির রাশিয়ার থেকে তেল গ্যাস আমদানির ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব কত খানি

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক গুরুত্ব রয়েছে। জার্মানি আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু আমেরিকা তার নিজের স্বার্থকে রক্ষার্থে রাশিয়াকে অবরোধে রাখতে চাইছে; অন্যদিকে জার্মানি নিজের স্বার্থে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি করতে চাইছে। এতে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মাঝে বিভেদ গভীর হচ্ছে, যা কিনা আরও আগেই শুরু হয়েছে। মার্কিন ইন্টেলিজেন্স জার্মান চান্সেলরের ফোন ট্যাপিং করে ধরাও খেয়েছে।

      Delete
  19. Enter your comment...আমেরিকার যে তাদের অর্থনীতিকে ঝনগস্ত করেছে তাতে তার ক্ষতি হয় না

    ReplyDelete
    Replies
    1. অবশ্যই। তাদের অর্থনীতি ধ্বসে মুখে। কারণ তারা ভোগ কমিয়ে দিয়েছে। ভোগ না বাড়লে আমেরিকার অর্থনীতি বাড়ে না। অর্থনীতি না বাড়লে সামরিক বাহিনীর খরচ বহণ করতে পারবে না; বিশ্বে তার অনুগত রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। আর এঅবস্থায় জোর করে অবস্থার উন্নয়ন করতে গিয়ে তারা বিপুল পরিমাণে ডলার ছাপাবে; যার ফলশ্রুতিতে ডলারের মূল্য পড়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ডলার বিশ্বের মুদ্রা না থাকলে আমেরিকা দুনিয়ার উপর তার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারাবে।

      Delete
  20. Enter your comment...আমেরিকা কি আসলেই গনতান্ত্রিক

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমেরিকা গণতান্ত্রিক; চীন এবং উত্তর কোরিয়াও গণতান্ত্রিক।

      গণতন্ত্র হলো মানুষের তৈরি শাসনব্যবস্থা। কোন আইনে মানুষ শাসিত হবে, তা মানুষ নিজে নির্ধারণ করে। আর সেটা নির্ধারণ করার জন্যে সে নিজের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে; তা ভোটের মাধ্যমে হোক বা অন্য কোন ভাবেই হোক। ভোট হলো জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের একটা পদ্ধতি। ভোট অর্থই গণতন্ত্র নয়।

      গণতন্ত্রের মাঝে ভাগ রয়েছে পুঁজিতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক। বর্তমানে উত্তর কোরিয়া সমাজতান্ত্রিক দেশ। চীন সেখান থেকে বের হয়ে এসেছে। কিউবাও বের হয়ে এসেছে। বাকি সকল দেশই পুঁজিতান্ত্রিক।

      Delete
  21. Enter your comment...আমেরিকা ইউরোপ দ্বন্দ্ব কি বাংলাদেশকে প্রভাবিত করতে পারবে না

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাংলাদেশ এখনও ভারত মহাসাগরকে বুঝতে চাইছে। প্রশান্ত মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর বা আটলান্টির এখনও গভীর জল তাদের জন্যে।

      তবে আল্লাহর দুনিয়ায় সকল কিছুই সম্ভব।

      Delete
  22. Enter your comment...আমেরিকা ইউরোপ দ্বন্দ্ব ইসলাম বনাম পশ্চিম দ্বন্দ্বকে কতটা প্রভাবিত করে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইসলাম এখন দুনিয়াতে বাস্তবায়িত অবস্থায় নেই। কাজেই আমেরিকা বা ইউরোপের মাঝে দ্বন্দ্ব ইসলামকে প্রভাবিত করে না। সেই দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করার মতো ক্ষমতা বর্তমান কোন রাষ্ট্রেরই নেই। তবে ভবিষ্যৎ কোন শক্তিশালী আদর্শিক রাষ্ট্র সেটাকে ব্যবহার করতে পারে বলেই সেটার ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

      Delete
  23. Enter your comment...মিয়ানমার কি ভারতের সাথে দ্বন্দ্ব আছে এ নিয়ে জানতে চাই

    ReplyDelete
    Replies
    1. মিয়ানমারের নিজের কোন সিদ্ধান্ত নেই। সে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির দ্বন্দ্বের শিকার। সে অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত।

      Delete
  24. Enter your comment...২য় বিশ্বযুদ্ধ যেমন আমেরিকা বস বানিয়েছে করোনা কি এমন কি করতে পারবে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটা নিয়েই তো গত মার্চ মাস থেকে লিখে চলেছি। লেখাগুলি পড়তে থাকুন কষ্ট করে।

      Delete
  25. Enter your comment...ভূটান কতটা লাভ করতে পারবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. স্থলবেষ্টিত বলে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাবার উদ্দেশ্যে সে বাংলাদেশের দিকেই তাকিয়ে থাকবে। কারণ এই মুহুর্তে ভারত তাদের সকল কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।

      Delete
  26. Enter your comment...ইথিওপিয়া ভেঙে ইরিত্রিয়া তৈরীর ভূরাজনৈতি কু

    ReplyDelete
    Replies
    1. ১১ কোটি মানুষ সমুদ্রসীমা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এরিত্রিয়ার সাথে শত্রুতার কারণে ইথিওপিয়া জিবুতির উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছে। আর জিবুতি রয়েছে ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ঢোকার পর ভূরাজনীতি পাল্টে গেছে। অনেকেই সেখানে সামরিক ঘাঁটি করেছে। আর এরিত্রিয়াতে সামরিক ঘাঁটি করেছে আমিরাত। জিবুতির উপর ইথিওপিয়া নির্ভরশীল হবার কারণে জিবুতি থেকে ইথিওপিয়া পর্যন্ত রেললাইন তৈরি করতে হয়েছে নতুন করে; যা চীনারা করেছে। চীনারা এভাবে ইথিওপিয়া এবং জিবুতিকে তাদের প্রভাব বিস্তারের টার্গেট হিসেবে দেখেছে। জিবুতির অর্থনীতি ইথিওপিয়াকে ট্রানজিট দেয়ার উপর নির্ভরশীল। এরিত্রিয়া ইথিওপিয়ার অংশ হলে এই ব্যাপারগুলি অন্যরকম হলেও হতে পারতো।

      Delete
  27. Enter your comment...আফগানস্থানে আমেরিকার যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য কি ছিল। আপনি বলছেন পাকিস্তানকে ভাঙ্গতে কেন?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আদর্শিক সংঘাত। এটা পড়ুন -

      https://koushol.blogspot.com/2015/09/huntington-bangladesh.html

      Delete
  28. Enter your comment...আপনি খালি কথায় কথায় জার্মানির ১ম মিলনের ইতিহাস বলেছেন পুনঃমিলনের ইতিহাস বলেন নি তা জানতে চাই?

    ReplyDelete
    Replies
    1. বর্তমান জার্মানি আগের জার্মানি না, যা কিনা দু'টা বিশ্বযুদ্ধ করেছিল। আমার আগের লেখায় এই ব্যাপারগুলি রয়েছে। আমি দুঃখ পাচ্ছি যে, আগের লেখাগুলি আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে, অথবা সেগুলি আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। আমি নিচে জার্মানির বিভাজন নিয়ে লেখা থেকে কিছু অংশ এখানে উধৃতি দিচ্ছি -

      "জার্মানির পূর্বাংশ, যা একসময় প্রুশিয়ার অন্তর্গত ছিল, তার বেশিভাগই পোল্যান্ডকে দিয়ে দেয়া হয়। এর মাঝে ছিল সাইলেসিয়া, পমেরানিয়া, পোজেন, পশ্চিম প্রুশিয়া, পূর্ব প্রুশিয়া এবং ব্র্যান্ডেনবার্গের বেশ কিছুটা। শুধু অল্প কিছু অংশ (পূর্ব প্রুশিয়ার উত্তর অংশ) রাশিয়া কেটে নেয়, যা এখনও Kaliningrad exclave নামে রাশিয়ার অন্তর্গত রয়েছে। এসবকিছুর বিনিময়ে পোল্যান্ডের পূর্ব থেকে কিছু অংশ কেটে নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরেও পোল্যান্ডের সীমানা ওটাই আছে; অর্থাৎ status quo বজায় রাখা হয়েছে। পোল্যান্ড হচ্ছে রাশিয়ার সাথে বাকি ইউরোপের বাফার জোন; তাই পোল্যান্ডকে সবসময়েই কাটাছেঁড়ার মাঝে পড়তে হয়েছে। প্রুশিয়ার জন্মের পর (আঠারো শতকের শুরুতে) থেকে পোল্যান্ডের সমুদ্রের সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ ছিল না। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পরে ডানজিগ করিডোর জার্মানি থেকে কেটে পোল্যান্ডকে দিয়ে দেয়া হলে পোল্যান্ডের সাথে সমুদ্রের যোগাযোগ স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানিকে কমপক্ষে তিন ভাগে ভাগ করা হয়; আসলে প্রাক্তন প্রুশিয়াকে ভাগ করা হয় তিন ভাগে। এর পশ্চিমাংশ পড়ে পশ্চিম জার্মানিতে; মধ্যাঞ্চল পড়ে পূর্ব জার্মানিতে; আর পূর্বাংশ পরে পোল্যান্ডে। এভাবে জার্মানির একত্রীকরণে মূল ভূমিকা রাখা প্রুশিয়ানদেরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় যাতে ভবিষ্যতে প্রুশিয়ানরা একত্রিত হয়ে আবার নতুন করে শক্তিশালী জার্মান জাতি গঠন করতে না পারে। ১৯৮৯ সালে জার্মান পূণ-একত্রীকরণের পরে যদিও অনেকেই মনে করতে পারেন যে জার্মানরা আবারও একত্রিত হয়ে গিয়েছে, আসলে ব্যাপারটা অতটা সহজ নয়। কারণ বর্তমান পোল্যান্ডের প্রায় অর্ধেকই আসলে একসময় জার্মানি তথা প্রুশিয়ার অধীনে ছিল।"

      https://koushol.blogspot.com/2017/06/germany-bengal-geopolitics-of-division.html

      Delete
    2. thank you

      Delete
  29. Enter your comment...আাপনি জার্মানির একত্র করার ইতিহাস ব্যবহার এরকম আরো উদাহরণ জানতে চাই। এর ইতিহাস ও জানতে চাই। কারম সত্যিকারের ইতিহাস আপনাকে ছাড়া অন্য কারো কাছে পাই না

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইতিহাস কি? ইতিহাস হলো পূর্বে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ব্যাপারে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির দৃষ্টিভঙ্গি।

      ইতিহাস একেক সময় একেকজন লিখেছে নিজের মতো করে। তাই ইতিহাস সঠিক না বেঠিক, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। বর্তমান দুনিয়ার সকল ইতিহাসই পশ্চিমারা লিখেছে। তাদের বাইরে লেখাগুলি বিভিন্ন লাইব্রেরিতে খুঁজলে পাবেন। কিন্তু বইএর অস্তিত্বই মানুষ জানে না, বা নামই বেশিরভাগ মানুষ জানে না; তাই সেগুলি কিউ খুঁজতেই আসে না। এভাবে ইতিহাস এখন যেভাবে লেখা হয়েছে, সেটাই সকলে খুঁজে পায়।

      ইতিহাস লেখা একটা বিরাট কাজ। আমি এখানে ভূরাজনৈতিক আলোচনার খাতিরে ইতিহাসকে বিভিন্ন সময়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। এতে সময় লেগেছে। একবারে হয়নি; কয়েক বছর ধরে কাজের ফলাফল এগুলি। মহান সৃষ্টিকর্তা চাইলে এই কাজ চালিয়ে যাবো। তবে ইতিহাস লেখার উদ্দেশ্যে নয়; ভূরাজনৈতিক আলোচনার উদ্দেশ্যে।

      Delete
    2. রাশিয়ার অর্থনীতিক অবস্থা কি এতো খারাপ। নাকি আমেরিকা মিথ্যা প্রতিবেদন?

      Delete
    3. নেপালের সাথে ভারতের বিরোধ কথা জানিয়েছেন কিন্তু ভুটানের সাথে যে ভারত বিরোধিতা তা জানতাম না তা সম্পর্কে জানতে চাই

      Delete
    4. আপনি দুঃখিত আপনাকে বিব্রত ও কষ্ট দেওয়ার জন্য। আপনার ভুলে গেলে চলবে না যে আমি জার্মান বাস্তবতার মতো বাস্তবতার তৈরী মানুষ confuse হয়ে যাই

      Delete
    5. আজকে খবরে দেখলাম মিয়ানমার নাকি আবার রাখাইনে অভিজান চালাবে

      Delete
    6. ইথিওপিয়া কি আবার ইরিথিয়াকে দখলের চেষ্টা করবে।

      Delete
    7. হামিংটন তার বইএ বলেছেন বলেছেন সোভিয়েত ভাঙার পর ইউক্রেন ইউনিয়নেে শক্তিশালী থাকলো এ দ্বারা তিনি কি বোঝাছেন

      Delete
    8. আগের জার্মানি কি তৈরি সম্ভব

      Delete
    9. জাপানকে পারমানবিক বোমা বানাতে ূেওয়া হবে

      Delete
    10. উওর কোরিয়া কেন পারমানবিক বোমা বানাতে পারলো

      Delete
    11. আমেরিকার মিত্ররা কি আমেরিকার সাথে বিশ্বাসঘাকতা করতে পারে

      Delete
    12. জো বাইডেন তার নির্বাচনীয় প্রচারনায় কাশ্মীরের সমস্যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এ দ্বারা তিনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন

      Delete
    13. সেকুলার বনাৃ জাতিওতাবাদী কে জিতবে। প্রত্যেক জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কে জিতবে। তার ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব

      Delete
    14. রাশিয়ার অর্থনীতি তেল গ্যাস রপ্তানির উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তেলের বাজার উঠলে রাশিয়ার জিডিপি বাড়ে; কমলে কমে। তেলের বাজারের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে নেই। এগুলি তো প্রপাগান্ডা নয়। রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের হিসেবগুলি থেকে আপনি রাশিয়ার তেল গ্যাস রপ্তানির হিসেব পাবেন। গ্যাজপ্রম নিয়মিত তেল গ্যাস রপ্তানির তথ্য দেয়। সবকিছুই পাবলিক ইনফর্মেশন।

      https://swisscentersamara.com/wp-content/uploads/2019/06/Business-events-in-2019.png

      Delete
  30. এই বইগুলো কি ভাবে পাওয়া যাবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ব্লগের ডানপাশে বইএর লিঙ্ক পাবেন।

      Delete
  31. আমি দুঃখিত ঠিক ভাবে প্রশ্ন না করতে পারার জন্য। আমার প্রশ্ন করা উচিত ছিল এভাবে জার্মানি কোন বাস্তবতায় আবার এক হয়েছিল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া।

      ১৯৪৪ সালের লন্ডন প্রটোকলে ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সোভিয়েতরাও ছিল। পূর্ব জার্মানি বলে যে অংশটা তারা এঁকেছিল, সেটা সোভিয়েত ইউনিয়নের দায়িত্ব ছিল নিয়ন্ত্রণ করার। কিন্তু এরপর চার দশকের বেশি সময় ধরে পশ্চিম জার্মানি হিসেবে যে অংশটা পশ্চিমারা নিয়ন্ত্রণ করেছিল, সেটাকে যথেষ্ট নিজেদের মতো মনে করার জন্যেই তারা পূর্বাংশকে পশ্চিমাংশের সাথে যুক্ত হতে দিয়েছিল। এটা জার্মানির দুই অংশের যুক্তিকরণ; জার্মানির পূণএকত্রীকরণ নয়। কারণ আগের জার্মানি আর যাতে আর কখনোই তৈরি হতে না পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে লন্ডন প্রটোকলের মাধ্যমে।

      Delete
  32. লন্ডন প্রটকলে কি ছিল

    ReplyDelete
    Replies
    1. জার্মানির বিভাজন পড়ুন। না পড়লে জানবেন কিভাবে?

      Delete
  33. জার্মানিই প্রথম যারা কিনা চীনের কাছে করোনার জন্য ক্ষতিপূরন দাবি করেছে।এরপর আমেরিকা বলেছে যে তাদের ক্ষতিপূরন হবে এর থেকে বেচি একি ফাকা বুলি নাকি সত্য

    ReplyDelete
    Replies
    1. যুক্তরাষ্ট্র চীনকে চাপের মাঝে রাখতে চাইছে, যাতে বিশ্বব্যাপী চীনাদের প্রভাব বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই কথাগুলি এই চিন্তারই ফসল।

      তবে চীনে থেকে ভাইরাস বাকি বিশ্বে ছড়িয়েছে - এটা তো কেউই অস্বীকার করছে না। আর চীন যে এই ভাইরাসের খবর প্রথমে চাপিয়ে রাখতে চেয়েছিল, সেটাও খবরে যথেষ্টই এসেছে। ভাইরাসটা যে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, সেটা চীন গোপন করেছিল এক মাসের বেশি সময়। এই সময়ের মাঝে ৫০ লক্ষ মানুষ হুবেই থেকে বের হয়ে বাইরে গেছে। অনেকে বাকি বিশ্বেও ছড়িয়েছে।

      মোটকথা চীন একটা ছোঁয়াচে রোগকে নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট দায়িত্ববোধ দেখায়নি। এটা চীনের ব্যর্থতা এবং বাকি বিশ্বের কাছে চীনের জন্যে নেগেটিভ ইমেজ। চীন চাচ্ছে না এব্যাপারে কথা হোক। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে এব্যাপারেই কথা হোক।

      Delete
  34. জার্মানি এক হওয়ার সময় তাদেরই সংবিধানের বলা আছে যে অস্টিয়া তাইলে জার্মামিতে যোগ দিতে পারবে এ দ্বারা কি বোঝানো হচ্ছেন

    ReplyDelete
    Replies
    1. অস্ট্রিয়া বা অন্য কোন রাষ্ট্রকে জার্মানি নিজের সাথে এক করতে চাইলে ইউরোপের বাকিরা সেটাকে কিভাবে দেখবে? তখন জার্মানি তার বর্তমান 'ভালো' ইমেজটা হারাবে না কি? বাকি বিশ্ব এটাকে কিভাবে দেখবে?

      আগেই বলেছি যে, আগের জার্মানি এখন আর নেই। প্রুশিয়া ছিল জার্মানির মধ্যমনি। ওটাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি জার্মানিতে ঐ কাজ করার ম্যাটেরিয়াল নেই। পশ্চিমা ইন্টেলিজেন্স নিশ্চিত করেছে যে, এধরনের চিন্তা জার্মানিতে আর কোনদিনও যেন না আসতে পারে।

      Delete
  35. এক প্রতিবেদন বলছে যে মুসলিম নাকি এখদিন রাশিয়ার সংখ্যাগটিষ্ট হবে সেটা কি ভূরাজনৈতিতে প্রভাব ফেলতে পারবে। নাকি রিপোর্টটাই ভুল

    ReplyDelete
    Replies
    1. রাসূল (সাঃ)এর স্থাপিত মদিনা রাষ্ট্রের প্রথমদিকে পাঁচ ভাগের এক ভাগও মুসলিম ছিল না। ভারত ছিল মুসলিম শাসিত, যখন ভারতের ৮০ শতাংশ ছিল অমুসলিম।

      সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলো গণতান্ত্রিক হিসেব। এই হিসেবে মদিনায় কোন রাষ্ট্র হবারই কথা নয়। এই হিসেবে মাত্র কয়েক হাজার ব্রিটিশের পক্ষে ভারতের কোটি কোটি মানুষকে দুই'শ বছর শাসন করা এবং একইসাথে চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্টতা কিছুই না, যদি চিন্তাগত দিক থেকে কেউ পিছিয়ে থাকে।

      Delete
  36. ইসলাম কি আজ এতটাই পিছিয়ে। আমার কথাটা বলার কারন আপনার একটা কথা আপনি বলেছিলেন যে বর্তমান সময়এর অথনীতি তার জনসংখ্যার উপর নির্ভরশীল। আপনি বলেছেন ভারত ও চীন শক্তি হিসাবে পরিগনিত তার জনসংখ্যার জন্য

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইসলাম পিছিয়ে না। মুসলিমরা পিছিয়ে। বরং মুসলিমরা ইসলাম থেকে দূরে। পশ্চিমারা এটাই চেয়েছে এবং তারা এতে সফলও হয়েছে কয়েক শতকের চেষ্টায়।

      জনসংখ্যার কারণে অর্থনীতি বড় হতে পারে; কিন্তু দুনিয়ার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেয়া অন্য আরেক হিসেব। চিন্তাগত উতকর্ষতা ছাড়া রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বারংবার ব্রিটেনের উদাহরণ দিচ্ছি একারণেই। ব্রিটেন পশ্চিমা চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু। একারণেই ব্রিটেন গুরুত্বপূর্ণ; যদিও তার আগের চাকচিক্য নেই। এখনও বিশ্বের বহু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এবং সংস্থা ব্রিটিশ চিন্তায় চলে। যুক্তরাষ্ট্র নুয়ে পড়লে ব্রিটেন চাইবে পশ্চিমা আদর্শকে ধরে রাখতে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র কোন আদর্শ তৈরি করেনি; সে ব্রিটেনেরটাই নিয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, ব্রিটেন থেকে ইমিগ্র্যান্টরাই যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সে শুধু নেতৃত্বটা নিয়েছে। আদর্শ ব্রিটেনেরটাই রয়ে গেছে।

      Delete
  37. আ্সাধারন আপনার কথা গুলো এজন্যই ভালো লাগে

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমাদের মাঝে চিন্তার উদ্রেক হওয়াটা বেশি জরুরি। ভালো লাগার কথায় চিড়ে ভিজবে না। কথা তখনই গুরুত্বপূর্ণ যখন সেটা কাজে রূপান্তরিত হয়। না হলে সেটা শুধুই থিওরি।

      Delete
  38. পাকিস্তানকে ধ্বংস করা সম্ভব না হলেও আমেরিকার পক্ষে কি ভারতকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে।। তারপরও আমেরিকার সাথে ভারতের কোনো আর্দশিক দ্বন্দ্ব নেই যদি কোনোো দিন ঘটেও তা কোন কারনেে হতে পারে

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি কেন নিজে নিজে ধরে নিচ্ছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে "ধ্বংস" করতে চাইবে? বর্তমান ভারতীয় সরকার মার্কিন সমর্থিত সরকার। মার্কিনীরা কেন চাইবে ভারতকে "ধ্বংস" করতে?

      বাস্তবতা পরিবর্তিত হলে অনেক কিছুই সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতকে "ধ্বংস" করার কোন পরিকল্পনা নেই।

      Delete
  39. পশ্চিমা কিছু প্রতিবেদন বলে ভারতের জিডিপি একদিন আমেরিকা অর্থনীতিকে টপকে ২য় বৃহত্তর অর্থনীতি হবে তা কতটা বাস্তব

    ReplyDelete
    Replies
    1. সপ্তদশ শতক পর্যন্ত সেরকমই ছিল। কারণ ভারতের জনসংখ্যা সবসময় বেশিই ছিল। আমেরিকায় তো গত কয়েক'শ বছরে মানুষ গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে তৈরি করেছে।

      Delete
  40. থিওরিকে বাস্তবতে রূপ দিতে গেলে কি করতে হবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. চিন্তাগত উতকর্ষতা ছাড়া সকল কিছুই থিওরি। চিন্তাগত উতকর্ষতার ফসল হলো চিন্তার সাথে বাস্তবতার যোগাযোগ। চিন্তাগত উতকর্ষতা মানুষকে দেয় উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পিছনে মানুষ যখন কাজ করে, তখনই তার চিন্তাগত উতকর্ষতা বাকি দুনিয়ার মানুষের কাছে দৃশ্যমান হয়। থিওরির কোন উদ্দেশ্য নেই; অথবা তার বাস্তবতার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

      Delete
  41. আমেরিকার ঋনগস্ত অর্থনীতি আর ইউরোপিও ইউনিয়ন ভেঙে গেলে পশ্চিমাা বাস্তবতা বদলে যেতে পারে

    ReplyDelete
    Replies
    1. অবশ্যই। তবে এগুলি কেন হবে? এগুলি হবে তাদের আদর্শিক অধঃপতনের কারণে। যেগুলি নিয়ে এই ব্লগে নিয়মিত লেখা পাবেন।

      Delete
  42. পশ্চিমা মানুষ কতটা সচেতন যেখানে আপনি বলছেন হেনরি কিসিঞ্জার বলেছে তার দেশ তার মতো চিন্তাবিদ জন্ম দিতে পারিনি

    ReplyDelete
    Replies
    1. চিন্তা না করতে পারলে তো সচেতন হতেও পারবে না। আপনি কি হারিয়েছেন এবং কেন হারালেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারবেন না।

      Delete
  43. জাতীয় বাদি চিন্তা কি ৩য় বিশ্বযুদ্ধ সৃষ্টি করতে পারবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. দু'টা তো করেছে। তবে তা সম্ভব হয়েছে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার জন্যে। পুঁজিবাদী চিন্তাতে জাতীয়তাবাদ লালন পালন করা হয়। পুঁজিবাদের অধঃপতন হলে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়তেও পারে। তবে আগের বিশ্বযুদ্ধগুলির ক্ষেত্রে কিছু লক্ষ্যের ক্ষেত্রে ঐকমত্য ছিল কিছু দেশের।

      তবে তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে হলে বড় বড় এলায়েন্স তৈরি হতে হবে। এলায়েন্সের জন্যে হতে হবে চিন্তার মিল। সকলেই জাতীয়তাবাদী হয়ে গেলে সকলেই সকলকে অবিশ্বাস করবে। কেউ যদি কারুর সাথে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করতে রাজি না হয়, তাহলে এলায়েন্স হবে না।

      Delete
  44. পশ্চিমা সামাজিক অবক্ষয় ভূরাজনৈতিতে কি ভূমিকা ফেলছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. এগুলি হয়েছে তাদের আদর্শিক অধঃপতনের কারণে। আদর্শিক অধঃপতন নিয়ে এই ব্লগে নিয়মিত লেখা পাবেন।

      Delete
  45. পোলান্ডের বর্তমান বাস্থবতা কি

    ReplyDelete
    Replies
    1. আগের থেকে খুব বেশি একটা পরিবর্তন হয়নি। পোল্যান্ড হলো জার্মানি আর রাশিয়ার মাঝে বাফার স্টেট। পোল্যান্ডকে যে নিয়ন্ত্রণ করবে, সে ইউরোপ এবং রাশিয়ার সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করবে। একসময় এটা করেছে ব্রিটেন। এখন সেটা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মাঝের কয়েক দশক সোভিয়েত ইউনিয়ন এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপের হিসেব পরিবর্তন করে ফেলেছিল। ফলে পোল্যান্ড তখন আর ইউরোপ-রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন ছিল না। বাফার স্টেট হওয়ার কারণে পোল্যান্ডকে সর্বদাই সুপারপাওয়ারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।

      Delete
  46. স্পেনের কি অবস্থা হবে যদি ইউরোপ ইউনিয়ন ভেঙে যায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. There may be competition between Britain and other powers to control Spain.... Because Spain can directly challenge British control of Gibraltar...

      Delete
  47. পুঁজিবাদের অধঃপতন কতটা হয়েছে। পুজিবাদ কি আগের মৌলিক চাহিদা পূরন করতে পারছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. Please read the recent articles since Coronavirus pandemic began...

      Delete
  48. কোনো জাতির সিদ্ধান্ত যদি সে না নিয়ে যদি অন্য কেউ নেয় তাহলে সেটা কি সে জাতির ধ্বংস শুরু নয়?

    ReplyDelete
    Replies
    1. Subjugation starts because of that.... Destruction may result if powerful country's intentions are like that...

      Delete
  49. স্পেন ইস্যুতে বিট্রেনের প্রতিপক্ষ শক্তি কারা যেখানে আপনি বলছেন তিওনেশিয়া ইস্যুতে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ usa

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইইউ তো ভাঙ্গেনি। এখনই জিজ্ঞেস করছেন কেন? অপেক্ষা করেন।

      Delete
  50. you are different. I think different makes the difference.

    ReplyDelete
  51. Enter your comment...এক পত্রিকা বলছে যে পাকিস্তান ও উওর কোরিয়া জার্মানি থেকে অবৈধ পারমাণবিক প্রযুক্তি আনছে কথাটা কতটা সত্য। জার্মানির কোনে রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই। সেখানে জার্মানিকে জরানোর মানে কি

    ReplyDelete
    Replies
    1. এট জেনে আপনি কি করবেন?

      Delete
    2. সন্দেহ ডুকে গেছে। সব কিছু উল্টোবভাবে চিন্তা করতে ভালো লাগে।

      Delete
    3. উদ্দেশ্য ছাড়া কোন কাজ করালে আপনি শুধু আপনার নিজের সময়ই নষ্ট করছেন না, আরেকটা মানুষের সময় নিয়ে নিচ্ছেন, যিনি হয়তো অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে আপনার শত শত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। আপনার এই জানার আগ্রহ যদি মানব কল্যাণে আসে, সেটা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। পররাষ্ট্র, সামরিক, ইন্টেলিজেন্স, বা অন্য কোন কাজে জড়িত মানুষদের ক্ষেত্রে আলোচনাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধু নিজের ভালো লাগার জন্যে সময় ব্যয় করার চেষ্টাটা কোন উদ্দেশ্যে, সেটা নিয়ে চিন্তা করাটা জরুরি।

      Delete
    4. চেস্টা করবো জাতে করে কাজে লাগালে পারি

      Delete
  52. Enter your comment...চীন কি সুপার পাওয়ার হতে পারবে

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার তৃতীয় বই 'যুক্তরাষ্ট্রের পর...' পড়ুন। ২০২০ সালের লেখাগুলি পড়ুন।

      Delete
  53. Enter your comment...বাংলাদেশের কিছু মানুষ আছেন যারা এই ভয় পান যে ভারত থেকে কৃষি পণ্য আনা না হলে খাদ্য মূলের দাম বেড়ে যাবে।তাদের ভাবনাটা কতটা যৌক্তিক। না তারা জুজুর ভয় পায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই ভয়টা কি ঢাকা মানুষ দিনাজপুরের চালের বেলায় পায়? দিনাজপুরের কৃষক কি তার চাল ঢাকায় বিক্রিয় করতে চায় না? ঢাকার মানুষের পক্ষে কি নিজের চাহিদামতো সকল কিছু উৎপাদন করা সম্ভব? যদি না হয়, তার অর্থ হলো, ঢাকাকে ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করতে হবে।

      সমস্যা হলো, এই দাম বৃদ্ধি বা কমের ব্যাপারটা আসছে কারণ র‍্যাডক্লিফ লাইনের কারণে ১৯৪৭ সালে এখানে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই লাইনের এপাড় থেকে মালামাল ঢাকায় আসলে এই প্রশ্নটা আসছে না; ওপাড় থেকে আসলে থাকছে। এই সমস্যা সমাধানযোগ্য নয়। কারণ চাহিদা এবং সরবরাহ কখনোই সমান হয় না। একারণেই মানুষ বাণিজ্য করে।

      Delete