৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৭
নিয়ম ভঙ্গের ইতিহাস
জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার দেখলে কেউ এখন আশ্চর্যান্বিত হন না। কিন্তু কয়জন চিন্তা করে দেখেছেন যে প্রথমবার জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার নামানোটা কতটা সহজ বা কঠিন কাজ ছিল? জার্মানরা প্রথম জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার অপারেশন চালিয়েছিল – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। সেসময় আটলান্টিকের ওপাড়েও আমেরিকাতেও হেলিকপ্টার নিয়ে অনেক কর্মযজ্ঞ চলছিল। জার্মান নৌবাহিনীতে হেলিকপ্টারের ব্যবহার খুব গুরুত্ববহ কিছু বয়ে আনেনি, কারণ জার্মান নৌবাহিনীর সার্ফেস ফ্লিট তেমন বড় ছিল না। অন্যদিকে মার্কিন আর ব্রিটিশ নৌবাহিনীর বিশাল সার্ফেস ফ্লিটের জন্যে হেলিকপ্টার নিয়ে গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। জাহাজের উপরে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার নামানোর ব্যাপারটা ছিল নিয়ম ভঙ্গ করা এবং নতুন নিয়মের জন্ম দেয়ার একটা উদাহরণ। নতুন কিছুর জন্ম দিতে হলে নিয়ম ভঙ্গ করাটা জরুরি। আর একারণেই নিয়ম ভঙ্গ করার ইতিহাস জানাটা জরুরি।
১৯৪৩ সালের মে মাসে ‘বাংকার হিল’ নামের একটা মার্কিন তেলবাহী জাহাজের উপরে কাঠের প্ল্যাটফর্মের উপরে হেলিকপ্টার অবতরণ করে দেখানো হয় যে জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার নামতে পারে। |
নৌবাহিনী নয়, মার্কিন কোস্ট গার্ডই ছিল হেলিকপ্টারের প্রবর্তক
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক ব্যবহারের জন্যে হেলিকপ্টার তৈরি করার চিন্তাখানা এসেছিলো মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে। মার্কিন বিমানবাহিনী তখনও ছিল সেবাবাহিনীর একটা অংশ। অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রে ব্যবহারের জন্যে হেলিকপ্টার নিয়ে একেবারেই আগ্রহী ছিল না। বরং আগ্রহী ছিল মার্কিন কোস্ট গার্ড! নৌবাহিনীর নীতিনির্ধারকেরা মনে করতেন যে তখনকার হেলিকপ্টারের ধারণক্ষমতা ছিল যথেষ্টই কম; যা কিনা ব্যবহারিক দিক থেকে তেমন একটা কার্যকারী না হবার সম্ভাবনাই বেশি। এছাড়াও তারা মনে করতেন যে ঐমুহুর্তে যুদ্ধ চালিয়ে নেবার জন্যে হেলিকপ্টারের চাইতে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট ছিল; তাই হেলিকপ্টারের পিছনে সময় এবং অর্থ ব্যয় করাটা যুক্তিযুক্ত হবে না। ঠিক এসময়েই – ১৯৪২ সালে মার্কিন কোস্ট গার্ডের কয়েকজন অফিসার মার্কিন বিমান ডিজাইনার ইগর সিকোর্স্কির একখানা হেলিকপ্টারের উড্ডয়ন দেখতে যান। তারা শূণ্যের মাঝে হেলিকপ্টারটাকে ঝুলে থাকতে দেখে যারপরনাই পুলকিত হন। ঐ মুহুর্তেই তারা তাদের উর্ধ্বতনদের কাছে লিখে পাঠান হেলিকপ্টার নিয়ে গবেষণায় যাতে কোস্ট গার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন সেই অফিসারদের চিন্তা ছিল যে হেলিকপ্টারকে তারা ব্যবহার করতে পারবেন উদ্ধ্বারকারী যান হিসেবে। কিন্তু তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয় যে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে মূল লক্ষ্য শত্রুকে হত্যা করা, মানুষ বাঁচানো নয়! এরকম অবস্থায় আরেক মার্কিন কোস্ট গার্ড অফিসারের আবির্ভাব হয়, যিনি হেলিকপ্টারের উড্ডয়ন দেখার পরে লিখে পাঠান যে এটা সাবমেরিন ধ্বংসে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই লেখাই সব হিসেব পাল্টে দিল। ওই মুহুর্তে মার্কিন সরকারের কাছে আটলান্টিকে জার্মান সাবমেরিনের হাত থেকে বাণিজ্য জাহাজের কনভয় রক্ষাটা ছিল বিরাট এক ইস্যু। তাই ওই মুহুর্তেই মার্কিন নৌবাহিনীর চীফের কাছ থেকে অনুমতিপত্র মিলে যায়। তবে নৌবাহিনীর সর্বোচ্চ অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি এলেও এই গবেষণাকে এগিয়ে নেন কোস্ট গার্ডের অফিসারেরাই। কারণ মার্কিন নৌবাহিনী তখনও হেলিকপ্টারে আগ্রহী ছিল না। তবে এক্ষেত্রে একটা ভালো সাপোর্ট তারা পায় ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কাছ থেকে, যারা হেলিকপ্টারে আগ্রহী ছিল এবং বেশ কয়েক’শ হেলিকপ্টার তারা অর্ডার করেছিল।
পরিবহণ জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার
১৯৪৩ সালের মে মাসে ‘বাংকার হিল’ নামের একটা মার্কিন এবং ‘এমপায়ার মার্সি’ নামের একটা ব্রিটিশ তেলবাহী জাহাজের উপরে ৪০ফুট x ৮০ফুট প্ল্যাটফর্মের উপরে হেলিকপ্টার অবতরণ করে দেখানো হয় যে জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার নামতে পারে। তবে সেটা ছিল বন্দরে ভেড়ানো জাহাজ; সমুদ্রে জাহাজের উপরে অবতরণ ছিল অন্য কথা। ‘জেমস পার্কার’ নামের একটা পরিবহণ জাহাজকে হেলিকপ্টার বহণের উপযোগী করে (৬০ফুট x ৫০ফুট প্ল্যাটফর্ম ) তার উপরে দু’টা হেলিকপ্টার দিয়ে দেয়া হয়। মার্কিন উপকূলের কাছাকাছি জাহাজটায় দুই দিন ধরে ৯৮ বার হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে ও নেমে দেখায়। মার্কিন কোস্ট গার্ড ৩৭ বছরের পুরোনো ‘এসএস গভর্নর কব’ নামের একটা প্যাসেঞ্জার জাহাজ কিনে সেটাকে পরিবর্তন করে। ২৮৯ফুট (৮৮মিটার) লম্বা জাহাজটার উপরের সুপারস্ট্রাকচার প্রায় পুরোটাই ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে গড়া হয়। কিছু অস্ত্রসস্ত্রও বসানো হয় উপরে। তবে সবচাইতে বড় পরিবর্তনটা ছিল ৩৮ফুট x ৬৩ফুট আকারের কাঠের তৈরি একটা ফ্লাইট ডেক। ১৯৪৩-এর জুলাইতে জাহাজটা কমিশনিং করা হয়। ব্রিটিশরাও ‘এসএস দাগেস্তান’ নামের একটা জাহাজ লিজ নিয়ে সেটাকে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার বানিয়ে নেয়। ব্রিটশ নৌবাহিনী ‘দাগেস্তান’ জাহাজে হেলিকপ্টার নিয়ে প্রথম আটলান্টিক পাড়ি দেয় ১৯৪৪ সালের জানুয়ারীতে। নিউ ইয়র্ক থেকে লিভারপুল পর্যন্ত যেতে সেই জাহাজের উপর থেকে হেলিকপ্টারগুলি ৫০ফুট x ৯৬ফুট ফ্লাইট ডেকের উপরে উড্ডয়ন-অবতরণের ট্রায়াল দিতে থাকে। জাহাজটা একইসাথে ৮ হাজার টন খাদ্যশস্যও বহণ করছিল! জাহাজটা ঠিকমতো লোডিং না করায় সমুদ্রে ভীষণভাবে দুলছিল এবং কার্গো একপাশে চলে যাওয়ায় স্থায়ীভাবে ৫ ডিগ্রি বেঁকে চলছিল! ১৬ দিনের এই জার্নিতে খারাপ আবহাওয়ার দরুন (মাঝে মাঝে ১৪৮ কিঃমিঃ/ঘন্টা পর্যন্ত বাতাস ছিল!) মাত্র তিন দিন হেলিকপ্টার অপারেশন সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ৩২৮ বার হেলিকপ্টারগুলি ওঠা-নামা করে জাহাজের উপরে। তারা বুঝতে পারেন যে ৭৪কিঃমিঃ/ঘন্টা বাতাসের গতিতেও হেলিকপ্টার অপারেশন সম্ভব!
জাহাজের উপরে হেলিকপ্টার নামার ইতিহাস থেকে কিছু ব্যাপার বেরিয়ে আসে –
১। পরিবহণ এবং যাত্রীবাহী জাহাজকেও যুদ্ধজাহাজ বানানো সম্ভব
২। পরিবহণ এবং যাত্রীবাহী জাহাজকেও হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার বানানো সম্ভব
৩। স্পেশালাইজড যুদ্ধজাহাজ না হলেও সেটাকে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার বানানো সম্ভব
৪। কোস্ট গার্ড এন্টি-সাবমেরিন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে
৫। কোস্ট গার্ডের যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে
৬। কোস্ট গার্ডের এন্টি-সাবমেরিন কর্মকান্ডের জন্যে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা যেতে পারে
কম খরচে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার
বাংলাদেশে এখনো অনেকেই নিয়ম ভাঙতে পারছেন না বলে অনেক কিছুই তাদের জন্যে কঠিন ঠেকছে। তাদের জন্যেই নিয়ম ভাঙ্গার এই ইতিহাসটুকু দেয়া। যেটা মনে রাখতে হবে তা হলো, নতুন যেকোন কিছুই তৈরি হয়েছে বর্তমান নিয়ম ভাঙ্গার মাধ্যমে। পৃথিবীর যে সময়টাতে কোন হেলিকপ্টার ছিল না, সে সময়টা নিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার আসলে তেমন বিশাল কোনকিছু নয়। একটা জাহাজের উপরে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার মাধ্যমেই হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার তৈরি করা যায়। ব্রিটিশরা কয়েকটা কনটেইনার জাহাজকে ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিল হেলিকপ্টার এবং হ্যারিয়ার বিমান বহণ করে নিয়ে যাবার জন্যে। তার মাঝ থেকে একটা জাহাজকে পরবর্তীতে স্পেশালাইজড হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার বানিয়ে ফেলে তারা। RFA Argus নামের ঐ জাহাজটা World War Z নামের একটা হলিউড মুভিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্রিটিশ রয়াল নেভি HMS Ocean নামে আরেকটা হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার তৈরি করে, যার ১৯৯৮ সালে খরচ পড়েছিল ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড; যা আজকের হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডের (৪০০ মিলিয়ন ডলার) মতো। কমার্শিয়াল ডিজাইনকে পরিবর্তন করে ঐ জাহাজটা তৈরি করা হয়েছিল বলেই এতো কম খরচে তৈরি করা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে জাহাজটা ব্রিটিশরা রিটায়ার করিয়ে দিচ্ছে অর্থ সংকুলান না হওয়ায়। ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে ব্রাজিলের কাছে অফার করা হলেও ব্রাজিল সরকার তার বর্তমান অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে তা কিনতে সক্ষম হবে কিনা, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ।
মার্কিনীরাও খরচ বাঁচানোর দিকেই যাচ্ছে। Expeditionary Mobile Base(ESB)নামের একটা নতুন ক্যাটাগরিই তারা তৈরি করে ফেলেছে কম খরচে (৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার) হেলিকপ্টার অপারেশনের জন্যে। এই ক্যাটাগরিকেও তারা বেশ কয়েক দফা নামকরণ করেছে; এখনকার নামটাই যে স্থায়ী, সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। যাই হোক, যেখানে একটা এম্ফিবিয়াস হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার তৈরি করতে আড়াই থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, সেখানে পাঁচ ভাগের এক ভাগ খরচেই কমার্শিয়াল তেলবাহী জাহাজের ডিজাইনের উপরে কিছু পরিবর্তন করে স্পেশালাইজড জাহাজের বেশ কিছু কাজ করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। মার্কিনরী দুনিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছে বলেই বাকি দুনিয়ার মানুষ কষ্ট করে তাদের তৈরি করা LHA, LHD, LPH, LSD, LPD, ইত্যাদি সংজ্ঞা মুখস্ত করছে মিলিটারি একাডেমিগুলিতে। অথচ তারা নিজেরাই প্রতি নিয়ত এরকম সংজ্ঞার জন্ম দিচ্ছে। বাকিরা সেই সুরের তালেই নেচে যাচ্ছে। নিজেদের কোন কনসেপ্ট জন্ম দেবার ক্ষমতা নেই!
কমার্শিয়াল জাহাজের উপরে তৈরি করা এহেন জাহাজগুলি দেখতে খুব মারাত্মক কিছু না হলেও যে কাজের জন্যে তৈরি, সেটা কিন্তু করে ফেলতে পারছে। ব্রিটিশ রয়াল নেভির RFA Argus এবং HMS Ocean জাহাজগুলি সারা দুনিয়াতে ব্রিটেনের প্রভাব বিস্তারে সহায়তা করেছে। মার্কিন নৌবাহিনীও তাদের নতুন তৈরি করা USS Lewis B. Puller জাহাজটাকে পারস্য উপসাগরে পাঠিয়ে কমিশনিং করেছে ২০১৭-এর অগাস্টে। যেটা সকলের জন্যেই একটা মেসেজ হিসেবে গিয়েছে। এই জাহাজটা এখন CH-53-এর মতো বিশাল হেলিকপ্টার যেমন অপারেট করতে পারবে, আবার এপাচি এটাক হেলিকপ্টারও অপারেট করতে পারবে। মিশনের উপরে নির্ভর করবে জাহাজটা কোন হেলিকপ্টার বহন করবে। এতে পরিষ্কার হয়ে যায় যে জাহাজের উপরে যা বহণ করা হবে, সেটা নির্ধারণ করবে জাহাজের শক্তি-সামর্থ্য। জাহাজটা তার নিজের আত্মরক্ষার জন্যে যেকোন মডিউলার অস্ত্রও বহন করতে পারবে, যা কিনা জাহাজটার পুরো সক্ষমতাকেই পাল্টে দেবে মুহুর্মুহু।
বাংলাদেশের হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার কোথায়?
শক্তিশালী রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের তৈরি করা নিয়ম মেনে চলবে না; নিজেই নিয়ম তৈরি করতে জানবে। যুদ্ধজাহাজের অপারেটিং কনসেপ্টগুলিও সেরকমই। অন্যের কনসেপ্ট মেনে চললে অন্যের নেতৃত্বই মেনে চলতে হবে চিরকাল। আর অন্যের নেতৃত্ব মেনে চলতে গেলে অন্যের উদ্দেশ্যই বাস্তবায়িত হতে থাকবে; নিজের উদ্দেশ্যই হবে অন্যের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন! এভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র তৈরি হয় না। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখিয়ে দেয় যে বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হলে বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। আর এর জন্যে শক্ত অবস্থান নিতে হবে, নতুবা অন্যের দাস হয়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্য ভারতের মতো নয়। ভারত যেভাবে পরাশক্তির দাস হয়ে চিরকাল বাংলাদেশের সাথে সমস্যা করতে থাকবে, সেই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নয়। তাই বঙ্গোপসাগর পাহাড়া দেবার জন্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তা দরকার – এমন শিয়ালের কাছে মুরগি দেবার মতো চিন্তা পরিহার করা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশের হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার থাকাটা “অন্যায়” নয়, “অবাস্তব”ও নয়, বরং নেকড়ের পালের মাঝে বসবাস করার জন্যে অতি জরুরি।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার কিনার পরিকল্পনা করেছে, তবে সেটা সোল হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার না আম্ফিবিয়াস ক্যারিয়ার তা বলতে পারছি না।
ReplyDeleteহেলিকপ্টার ক্যারিয়ার কেনা বা তৈরি করাটা এখন একটা মাইন্ডসেট-এর বিষয়। এই মাইন্ডসেট-এর মাঝে নিজেদের নিয়ে যেতে আমরা কতটা সচেষ্ট, সেখানেই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গ্র্যাভিটি।
Deleteনন-রিলেটেড প্রশ্নঃ মায়ানমারের মন্ত্রী বাংলাদেশে আসা, এটা কি সমাধানের পথে নিয়ে যাবে ??
ReplyDeleteআর আমেরিকা যেখানে এ অঞ্চল অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে, সেখানে এ অঞ্চলকে রক্ষা করা কি সম্ভব ??? কেননা সাম্রায্যবাদীরা অর্থাৎ আমেরিকা এটা চাচ্ছে এবং তারা যেটা চায় তারা সেটা করে !!!
আমেরিকাকে সর্বশক্তিমানের ক্যাটেগরিতে ফেলে দেয়া কি ধরনের চিন্তা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। যে রাষ্ট্র এখন তার নিজের দেশের সাদা-কালো, ধনী-গরিব, নর্থ-সাউথ, ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দ্বন্দ্বই সামাল দিতে পারছে না; ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একটা লোককে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিয়ে এসেছে, তাদেরকে সর্বশক্তিমান ভাবাটা কি ঠিক?
Deleteএর আগের এই লেখাটা পড়তে পারেন। আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর আশা করি পেয়ে যাবেন।
http://koushol.blogspot.com/2016/09/dont-want--to-be-in-losing-team.html
Very informative, Sharif bhai.
ReplyDeleteYou can also check this post.... It tries explain some maritime warfare concepts
Deletehttps://koushol.blogspot.com/2017/07/what-is-warship-part3.html