Saturday 26 June 2021

ইথিওপিয়া... ধ্বসে পড়া বিশ্বব্যবস্থার প্রকৃষ্ট উদাহরণ

২৭শে জুন ২০২১
২২শে জুন ২০২১। ইথিওপিয়ার তিগ্রে অঞ্চলে বিমান হামলায় ৬৪ জন নিহত হয়। তবে ইথিওপিয়ার সরকার ঘটনার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করে। আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ হর্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাবার ভয়ে পশ্চিমা দেশগুলি ইথিওপিয়ার সংঘাতকে থামাতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আসলে ইথিওপিয়া ধ্বসে পড়া বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ।


২৫শে জুন মানবাধিকার সংস্থা ‘ডকটর্স উইথআউট বর্ডার্স’ বা ‘এমএসএফ’এর এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, তাদের তিনজন কর্মীকে দেশটার গৃহযুদ্ধ আক্রান্ত তিগ্রে অঞ্চলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, তিগ্রে অঞ্চলের আবি আদ্দি শহরে ‘তিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট’ বা ‘টিপিএলএফ’ বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলারা তাদেরকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। ‘ডয়েচে ভেলে’র এক খবরে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, গত মার্চ মাসে ‘এমএসএফ’এর ত্রাণ কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়, যখন তারা অভিযোগ করে যে, তারা ইথিওপিয়ার সেনাদেরকে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডে জড়িত হতে দেখেছে। ‘এমএসএফ’এর কর্মী হত্যার কয়েকদিন আগেই ২২শে জুন তিগ্রে অঞ্চলের তোগোগার বাজার এলাকায় বিমান হামলায় ৬৪ জনের প্রাণহানি হয় এবং ১’শ ৮০ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে এম্বুলেন্স যেতেও বাধা দেয় ইথিওপিয়ার সেনারা। তবে ইথিওপিয়ার সরকার ঘটনার দায় পুরোপুরিভাবে অস্বীকার করে। গত নভেম্বরে শুরু হওয়া ইথিওপিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ এরিত্রিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই ইথিওপিয়ার পক্ষে তিগ্রেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধ এমন এক সময়ে চলছে, যখন নীল নদের উপর বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভাটির দেশ মিশর ও সুদানের সাথে ইথিওপিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক অবণতি হয়েছে। এমতাবস্থায় অতি দরিদ্র এই দেশটায় সংঘাত নিরসণ এবং অসহায় মানুষের জীবন রক্ষার্থে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলির ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনি জাতিগতভাবে বিভক্ত ইথিওপিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা হচ্ছে।

‘ইউরেশিয়া গ্রুপ’এর আফ্রিকা বিশ্লেষক কনর ভ্যাসি বলছেন যে, হর্ন অঞ্চলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হলো ইথিওপিয়া। এই অঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ সোমালিয়া, সুদান এবং দক্ষিণ সুদানে ইথিওপিয়ার সেনা মোতায়েন রয়েছে। পশ্চিমারা এই অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইথিওপিয়াকে মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখে। তবে দেশটার বর্তমান অবস্থা পশ্চিমা দেশগুলিকে ইথিওপিয়ার উপর নির্ভর করাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দেশটা অস্থির থাকলে সুদানের সাথে সীমান্ত সমস্যা এবং নীল নদের উপর বাঁধের ব্যাপারে বিরোধের নিষ্পত্তি কঠিন হয়ে যাবে। আর সাড়ে ১১ কোটি জনসংখ্যার একটা দেশ অস্থির হওয়াটা পুরো অঞ্চলের জন্যেই চ্যালেঞ্জ। পশ্চিমারা মনে করছে যে, তারা যদি প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকারের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে, তবে তারা হর্ন অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব হারাবে। সেকারণেই ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারটাকে পশ্চিমারা তেমন কঠোরভাবে দেখছে না। দেশটায় চীন, রাশিয়া এবং তুরস্ক তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইছে। তাই পশ্চিমারাও চাইছে না নিজেদের প্রভাব ছেড়ে দিতে।

সুদানের মন্ত্রী ইয়াসির আব্বাস বলছেন যে, ইথিওপিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধ আদ্দিস আবাবার সরকারকে ভাটির দেশগুলির সাথে সমঝোতা ছাড়াই নীল নদের উপর বাঁধের প্রকল্পের কাজকে এগিয়ে নিতে আরও বেশি একরোখা করেছে। এমতাবস্থায় সুদান চাইছে যে, জাতিসংঘ এব্যাপারে অগ্রগামী ভূমিকা নিক। ১৫ই জুন আরব লীগের দোহা বৈঠকে আরব দেশগুলিও মিশর ও সুদানের পক্ষে একই দাবি জানায়। মন্ত্রী আব্বাস সাংবাদিকদের সামনে ইথিওপিয়ার বর্তমান সরকারের তিগ্রে অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ব্যাপক সমালোচনা করেন। দুই দেশের মাঝে অবিশ্বাস এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে উল্লেখ করেন। সুদান সরকারের জবাবে ইথিওপিয়ার সরকার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলে যে, আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতৃত্বে যে আলোচনা চলছে, সেই আলোচনাকে নষ্ট করতেই মিশর এবং সুদান জাতিসংঘকে এই সমস্যায় জড়িত হতে বলছে এবং এখানে আরব দেশগুলিকে ডেকে নিয়ে আসছে।

‘টাইম’ ম্যাগাজিনের এক লেখায় মার্কিন ভূরাজনৈতিক চিন্তাবিদ ইয়ান ব্রেমার প্রশ্ন করছেন যে, ইথিওপিয়া তার বর্তমান কাঠামোতে আদৌ একটা রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকবে পারবে কিনা। ১৯৯১ সাল থেকে ইথিওপিয়ার ক্ষমতা ছিল তিগ্রেদের হাতে, যারা জনসংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ। ২০১৮ সালের পর থেকে অরোমো এবং আমহারা জাতিগোষ্ঠির মানুষেরা ক্ষমতায় আসে, যারা কিনা জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ। তবে প্রাক্তন যুগোশ্লাভিয়ার মতোই ইথিওপিয়াতেও বহুকালের একনায়কতন্ত্র শেষ হবার পর সকল জাতিগোষ্ঠিই নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সন্দিহান হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ক্ষমতা নেবার প্রায় সাথে সাথেই দেশটাতে জাতিগত সংঘাত শুরু হয়ে যায়। ঠিক এসময়েই তিগ্রেরা নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা হারিয়ে ইথিওপিয়া থেকে আলাদা হয়ে যাবার কথা বলতে শুরু করে। ইথিওপিয়ার সরকারি সেনারা তিগ্রে অঞ্চলে সামরিক অপারেশন শুরু করে; এবং সেখান থেকে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবরাখবর আসতে থাকে। যে পশ্চিমারা একসময় আবি আহমদেকে গণতন্ত্রের ঝান্ডাবাহক হিসেবে দেখেছে এবং তাকে নোবেল পুরষ্কার দিয়েছে, তারাই এখন তার কর্মকান্ডের সমালোচনা করছে। জাতিসংঘের হিসেবে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ তিগ্রে জনগণ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। শুধু ইথিওপিয়া নয়, পার্শ্ববর্তী এরিত্রিয়ার সেনারাও তিগ্রেদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে; এবং ‘রয়টার্স’ বলছে যে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে যে তারাও তিগ্রেদেরকে না খাইয়ে মারার চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় ইথিওপিয়া জাতিগত বিভেদের উপর ভিত্তি করে লেখা সংবিধানের উপর নিজেদের ভৌগোলিক অখন্ডতাকে টিকিয়ে রাখতে পারবে কি? দেশটা কিন্তু তার ইতিহাসে রাজতন্ত্র, সামরিক একনায়ক, সাংবিধানিক গণতন্ত্র সকল কিছুই দেখেছে।

ইথিওপিয়ার জটিল সমস্যা দেখিয়ে দিচ্ছে যে, বর্তমান বিশ্ব নিয়মহীনভাবে চলছে। ‘আল মনিটর’ বলছে যে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে মিশর এবং সুদান ‘গার্ডিয়ান অব দ্যা নাইল’ নামে একটা বড়সড় যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে। যদিও উভয় দেশের সরকার বলছে যে, এই মহড়ার সাথে নীল নদের উপর ইথিওপিয়ার বাঁধের কোন সম্পর্ক নেই; তথাপি কথা থেকেই যাচ্ছে। মিশরের ‘নাসের হাই মিলিটারি একাডেমি’র অধ্যাপক মেজর জেনারেল নাসর সালেম বলছেন যে, এই মহড়া ইথিওপিয়া সহ মিশরের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যেকোন দেশের জন্যে একটা বার্তা। ইথিওপিয়াকে ভীতি প্রদর্শনের ব্যাপারে নাসর সালেমের কথাগুলিকে ইথিওপিয়ার অভ্যন্তরীণ বিভেদের সাথে যুক্ত করতেই হবে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার নীল নদের বাঁধের আলোচনায় জড়িত হবার ব্যাপারে ইথিওপিয়া এবং আরব দেশগুলির বিরোধ লক্ষ্যণীয়। আবার আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ হর্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাবার ভয়ে পশ্চিমা দেশগুলি ইথিওপিয়ার সংঘাতকে থামাতে কঠোর পদক্ষেপও নিচ্ছে না। আসলে ইথিওপিয়া ধ্বসে পড়া বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

7 comments:

  1. এই বিশ্বব্যবস্থা কিসের উপর নির্মিত? সেকুলারিজম নাকি লিবরালিজম? নাকি দুটোই একই? এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করলে খুব ভাল হয়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালো প্রশ্ন করেছেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা সেকুলারিজমের উপর প্রতিষ্ঠিত। তবে এই সেকুলারিজমের ভাগ রয়েছে। সেকুলারিজমের মূলকথা হলো ধর্মকে রাষ্ট্রজীবন থেকে আলাদা করে ফেলা। ধর্ম আলাদা করে ফেললে রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হবে, সেই প্রশ্নে সেকুলারদের ঐকমত্য হলো মানুষ আইন তৈরি করবে; মানুষ ঠিক করবে রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হবে; সৃষ্টিকর্তা নয়। আর সেখানে দু'টা আলাদা গ্রুপ রয়েছে - এক গ্রুপ বলছে যে, সৃষ্টিকর্তা নেই; তাই মানুষ আইন তৈরি করবে - এরা হলো সোশালিস্ট বা কমিউনিস্ট; আর আরেক গ্রুপ হলো পুঁজিবাদী বা ক্যাপিটালিস্ট; যারা বলছে যে, সৃষ্টিকর্তা থাকুক আর না থাকুক, তাতে যায় আসে না; আইন মানুষই তৈরি করবে।

      এখন দুনিয়াতে সোশালিস্টরা ক্ষমতায় নেই। তবে সোশালিস্ট চিন্তার অনেকেই ক্যাপিটালিস্ট দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলছেন। এরা সেকুলারিজম চাচ্ছেন; তবে তারা চাইছেন যে, ক্যাপিটালিজমকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেন ছাড় দেয়া হয়। অর্থাৎ এরা ক্যাপিটালিজমের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন পছন্দ করেন না। তারা মনে করেন যে, ক্যাপিটালিজমকে লাগামহীনভাবে ছেড়ে দিলে তা সম্পদের অসম বন্টন করবে। তারা চান সম্পদের বন্টনের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়ে প্রাইভেট হাত থেকে রাষ্ট্রের হাতে কিছু ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। এতে সরকার ক্যাপিটালিজম দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু সহায়তা করতে পারবে। এতে মানুষ ক্যাপিটালিস্ট ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাবে না। ক্যাপিটালিজম বাস্তবায়নে ছাড় দেয়া বা কিছুটা লিবারাল হবার এই চিন্তাটাই হলো লিবারাল ক্যাপিটালিস্ট বা লিবারালিজম। এরা ক্যাপিটালিজমের মানদন্ডের বাম দিকের রাজনীতিবিদ।

      আরেক দল চায় ক্যাপিটালিজমকে নিজ গতিতে চলতে দেয়া হোক। বাজারই সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে। তারা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ কমাতে চায়, যাতে প্রাইভেট বিনয়োগ আকর্ষণ করা সহজ হয়। এই দলটা হলো কট্টরপন্থী।

      তবে দুই গ্রুপের মাঝামাঝি মানুষের সংখ্যাই বেশি; যারা মধ্যপন্থী। তবে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় না; কারণ তারা আদর্শিক দিক থেকে কিছুটা উদাস। অপরপক্ষে লিবারাল এবং কট্টরপন্থীরা ক্যাপিটালিজম বাস্তবায়নে অগ্রগামী ভূমিকা নেয়; তারা আদর্শিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকার কারণে এরাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। বর্তমান দুনিয়াতে ক্যাপিটালিজমের সমস্যাগুলি চরম আকার ধারণ করেছে; বিশেষ করে সম্পদের বন্টন মারাত্মক অসমান হয়ে যাওয়ায় লিবারালরা জনমতে এগিয়ে থাকছে; অথবা মধ্যপন্থীদের আকর্ষণ করছে।

      তবে এখানে আরেকটা ব্যাপার রয়েছে। ধর্মকে ছাড় দেয়ার ব্যাপারে লিবারালরা বেশ কট্টর। তারা রাষ্ট্রে ধর্মের টিকিটাও পছন্দ করে না। অপরপক্ষে ডানপন্থীরা অনেক ক্ষেত্রেই (সকল ক্ষেত্রে নয়) ধর্মকে পাশে দেখতে চায় (যদিও ধর্মকর্ম পালনে সে বেশিরভাগ সময় উদাসীনই থাকে)। একারণে সমকামিতা এবং গর্ভপাতের মতো বিষয়গুলিতে লিবারালরা এবং ডানপন্থীরা দুই দিকে অবস্থান নেয়।

      Delete
    2. ইউ এস এর আফঘানিস্তানে misadventure, তার ধুকতে থাকা অর্থনীতি তে ২ ট্রিলিয়ন এর অধিক খরচ করিয়েছে, যেটা তার economic might এ ধস নামিয়েছে। এর প্রভাব "শুধু ইকোনমি " দ্বারা বর্নীত বিশ্বব্যবস্থায় কতটা প্রভাব ফেলবে?

      এবং আপনার কাছে ইউ এসের "আফঘানিস্থান পলায়ন " নিয়ে লেখা আশা করি, কারন আমার মনে হয় এটি প্রচলিত বিশ্বব্যবস্থার মোড়লের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে?!

      Delete
    3. আফগানিস্তান নিয়ে এই লেখাটা পড়তে পারেন।

      https://koushol.blogspot.com/2021/05/afghanistan-after-america.html

      Delete
  2. ভাই তাইলে খিস্ট্রান উগ্রবাদীরা কি চায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেকুলার আদর্শ যেহেতু এখন নিম্নগামী, তাই পশ্চিমারা এখন আবারও ধর্মের দিকে ঝুঁকছে। অনেকেই ইসলামে দীক্ষিত হচ্ছে; যেকারণে পশ্চিমা কট্টরপন্থীরা আরও উগ্র হয়ে উঠছে। সাদা চামড়ার মানুষদেরকে ইসলামে দীক্ষিত হতে দেখাটা তারা সহ্য করতে পারছে না। ফ্রান্স এর সবচাইতে বড় উদাহরণ।

      সেকুলারিজমের জায়গায় তারা আবারও খ্রিস্টধর্মকে দেখতে শুরু করেছে। তবে এটা শুরু হয়েছে মাত্র। এই চিন্তাগুলি মূলত জাতীয়তাবাদী; ডিফেন্সিভ। নিজেদের অবস্থানকে ইসলাম থেকে রক্ষা করতে তারা চার্চকে ভিত হিসেবে দেখতে চাইছে। মানুষকে তারা বলতে থাকবে যে, তাদের খ্রিস্টান সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রুসেডে যেতে হবে। এটা এতদিন তারা সেকুলারিজমের অধীনে করেছে; কিছুদিন পরে এটা খ্রিস্টধর্মের নামে করবে।

      Delete
  3. ধন্যবাদ।

    ReplyDelete