Wednesday, 12 April 2017

বাংলাদেশ- জাপান সম্পর্ক কোনদিকে যাবে?

১৩ই এপ্রিল ২০১৭

জাপানের কোস্ট গার্ড খুবই সমৃদ্ধ। ১২ হাজার সদস্যের এই বাহিনী আকারে আরেকটি নৌবাহিনীর মতো। পূর্ব চীন সাগরে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় কোস্ট গার্ডের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে আরও বেশি। কোস্ট গার্ড সেদেশের নেতৃত্বকে আরও একটি অপশন দেয়। যেখানে নৌবাহিনী পাঠানোটা কূটনৈতিক দিক থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে কোস্ট গার্ডের জাহাজ পাঠানোকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে হতে পারে। সাদা রঙের জাহাজের বিরুদ্ধে সাদাই মোতায়েন করতে হবে – এরমকম একটা অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে চলছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, নিজের শক্তিকে উপরে তুলে ধরতে কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলি ক্রমেই বড় থেকে আরও বড় হচ্ছে।



জাপানের নৌশক্তির নানাবিধ ব্যবহার

জাপানের নৌবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আগ্রাসী কোন কর্মকান্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার পরেও পৃথিবীর সবচাইতে বড় নৌবাহিনীগুলির একটি। এর সদস্যসংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার; রয়েছে ১৫০টির মতো জাহাজ এবং ৩৫০টির মতো বিমান। জাপানের কোস্ট গার্ডও খুবই সমৃদ্ধ। ১২ হাজার সদস্যের এই বাহিনী আকারে আরেকটি নৌবাহিনীর মতো। পূর্ব চীন সাগরে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় কোস্ট গার্ডের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে আরও বেশি। কোস্ট গার্ড সেদেশের নেতৃত্বকে আরও একটি অপশন দেয়। যেখানে নৌবাহিনী পাঠানোটা কূটনৈতিক দিক থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে কোস্ট গার্ডের জাহাজ পাঠানোকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে হতে পারে। সাদা রঙের জাহাজের বিরুদ্ধে সাদাই মোতায়েন করতে হবে – এরমকম একটা অলিখিত নিয়মই যেন সবাই মেনে চলছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, নিজের শক্তিকে উপরে তুলে ধরতে কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলি ক্রমেই বড় থেকে আরও বড় হচ্ছে। জাপানের কোস্ট গার্ডের সবচাইতে বড় জাহাজ হলো শিকিশিমা-ক্লাসের দু’টি জাহাজ, যেগুলি একেকটি ৯,৩০০ টনের এবং ১৫০ মিটার পর্যন্ত লম্বা। এগুলির গতি ২৫ নটিক্যাল মাইল এবং রেঞ্জ ২০ হাজার নটিক্যাল মাইল। অস্ত্র হিসেবে আপাতত ৩৫মিঃমিঃ-এর দু’টি কামান এবং ২০মিঃমিঃ দু’টি কামান খুব বেশি কিছু নয়। তবে এটা বলাই যায় যে দরকারের সময়ে এই জাহাজে আরও অস্ত্র বহণ করা হবে, কারণ জাহাজগুলি বড় আকারের ডেস্ট্রয়ারের আকৃতির! দুই-দুইটি সুপার পুমা হেলিকপ্টার বহণ করে এই জাহাজগুলি। এই জাহাজ ছাড়াও জাপানের কোস্ট গার্ডে আরও অনেক জাহাজ রয়েছে। নৌবাহিনী থেকে ডিকমিশন করে হাটসুয়ুকি-ক্লাসের (৪,০০০ টন) চারটি ডেস্ট্রয়ার আনা হয়েছে কোস্ট গার্ডে। ঠিক যেমনটি করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। ইতালির নৌবাহিনী থেকে ডিকমিশন করে ৪টা মিনার্ভা-ক্লাসের কর্ভেট যেমন মিসাইল সরিয়ে ওপিভি-তে রূপান্তর করা হয়েছে বাংলাদেশের জন্যে। ১,০০০ টন থেকে ৩,৫০০ টনের বেশকিছু জাহাজ রয়েছে তাদের। ১৩০ টন থেকে ৫০০ টনের প্যাট্রোল ভেসেলও রয়েছে অনেকগুলি। এছাড়াও রয়েছে ১৫ মিটার থেকে ৩৫ মিটারের অনেক প্যাট্রোল বোট। ট্রেনিং, ফায়ার-ফাইটিং, সার্ভে, লাইট-হাউস টেন্ডার, ইত্যাদি জাহাজও রয়েছে বেশকিছু। মোটকথা এ আরেক নৌবাহিনী।
গত নভেম্বরে মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নজিব রাজাকের টোকিও ভ্রমণের সময় শিনজো আবে মালয়েশিয়াকে জাপানের কোস্ট গার্ড থেকে দু’টি প্যাট্রোল বোট দেবার ঘোষণা দেন। ‘ওযিকা-ক্লাস’এর একটি জাহাজ গত জানুয়ারীতে মালয়েশিয়াতে এসে পৌঁছেছে। গত অক্টোবরে মালয়েশিয়া প্রথমবারের মতো চীন থেকে ৪টি যুদ্ধজাহাজ কেনার ঘোষণা দেয়, যেখানে মালয়েশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রায় সকল জিনিসই পশ্চিমা ডিজাইনের। এই ঘটনাতেও নজিব রাজাকের চীনের দিকে ঝোঁকার আভাস পাওয়া গেলেও তিনিও কিন্তু জাপান থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেননি; ব্যালান্স করে চলেছেন। মোটকথা, চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা। চীনকে সকলেই বন্ধু হিসেবে পাশে চাইছে; বৈরিতা চাইছে না। আবার একইসাথে কোন একটি রাষ্ট্রের কোলের উপরেও কেউ বসে পড়তে চাইছেন না, যা কিনা রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির লক্ষণ। এক্ষেত্রে জাপানের নৌসক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখছে।



জাপানের সামরিক বাণিজ্যের শুরু

২০১৬-এর অগাস্টে ফিলিপাইনের জন্যে জাপানে তৈরি করা প্রথম কোস্ট গার্ড জাহাজটি ফিলিপাইনে এসে পৌঁছায়। ৪৪ মিটার লম্বা মোট ১০টি জাহাজ জাপান বিক্রি করছে ফিলিপাইনের কাছে। এর জন্যে সহজ শর্তে ১৫৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছে জাপান। এর উপরে গত সেপ্টেম্বরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের সাক্ষাতে জাপান ফিলিপাইনকে ৯০ মিটার লম্বা দু’টি বড় জাহাজ দেবার অঙ্গীকার করে। দুতার্তে সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিং-এর দিকে ঝুঁকলেও জাপানের সাথে সম্পর্ক উষ্ণ রেখে চলেছেন। গত নভেম্বরে মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নজিব রাজাকের টোকিও ভ্রমণের সময় শিনজো আবে মালয়েশিয়াকে জাপানের কোস্ট গার্ড থেকে দু’টি প্যাট্রোল বোট দেবার ঘোষণা দেন। ‘ওযিকা-ক্লাস’এর একটি জাহাজ গত জানুয়ারীতে মালয়েশিয়াতে এসে পৌঁছেছে। গত অক্টোবরে মালয়েশিয়া প্রথমবারের মতো চীন থেকে ৪টি যুদ্ধজাহাজ কেনার ঘোষণা দেয়, যেখানে মালয়েশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রায় সকল জিনিসই পশ্চিমা ডিজাইনের। এই ঘটনাতেও নজিব রাজাকের চীনের দিকে ঝোঁকার আভাস পাওয়া গেলেও তিনিও কিন্তু জাপান থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেননি; ব্যালান্স করে চলেছেন। মোটকথা, চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা। চীনকে সকলেই বন্ধু হিসেবে পাশে চাইছে; বৈরিতা চাইছে না। আবার একইসাথে কোন একটি রাষ্ট্রের কোলের উপরেও কেউ বসে পড়তে চাইছেন না, যা কিনা রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির লক্ষণ। এক্ষেত্রে জাপানের নৌসক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখছে।

জাপানের রাজনৈতিক লক্ষ্যে পরিবর্তন


কিছুদিন আগ পর্যন্ত জাপানকে সবাই শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেই দেখতো; রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নয়। রাজনীতির কথা বলতে গেলেই সামরিক শক্তির বিষয়টি এসে যায়। শিনজো আবের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাপানের প্রভাবশালী মহল চাইছেন সামরিক দিক থেকে জাপানের যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভরশীলতা কমাতে। উত্তর কোরিয়ার ছুতো ধরে যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ান উপদ্বীপ এবং জাপানে তার সামরিক শক্তি মোতায়েন রাখছে এবং তা দিয়ে চীনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এভাবে চীন-জাপান ব্যালান্সে থাকছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে। তবে ভারত মহাসাগরে জাপানি ম্যারিটাইম রুটগুলির নিরাপত্তায় জাপানি যুদ্ধজাহাজ নিয়মিতই যাতায়াত করছে; সেখানে ব্যালান্স করছে চীনকে। সোমালিয়ার উপকূলের কাছাকাছি জাপানের যুদ্ধজাহাজ জলদস্যুতা-বিরোধী টহল দিচ্ছে কয়েক বছর ধরে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাব-এল-মান্ডেব প্রণালীতে অবস্থিত জিবুতিতে জাপান ছোটখাটো একটি সামরিক ঘাঁটিও তৈরি করেছে, যা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রথম। দু’টি পি-৩ ম্যারিটাইম প্যাট্রোল বিমান ভারত মহাসাগরে টহল দেয় সেখান থেকে। জাপানের সামরিক শক্তি অনেক সাগরেই দেখা যাচ্ছে, কারণ জাপান তার প্যাসিফিস্ট সংবিধান থেকে বের হবার বার্তা দিয়েছে। জাপান তার অর্থনৈতিক কার্ডের সাথে সামরিক কার্ডটিও খেলতে চাইছে ধীরে ধীরে। চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে শুধু অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে যে লাভ নেই, সেটা জাপানের ওয়াকিবহাল মহল বুঝতে পারছেন। মালয়েশিয়া-ফিলিপাইনকে সামরিক সহায়তা প্রদান এই নীতিরই অংশ।
ভারত মহাসাগর পাহাড়া দিতে ভারতের কাছে জাপান ১.৩৫ বিলিয়ন ডলারে ১২টি ‘ইউএস-২’ উভচর ম্যারিটাইম প্যাট্রোল বিমান বিক্রি করছে। জাপান বুঝতে পারছে যে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ভূরাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের উপরেই নির্ভর করে থাকতে হবে। তাই নিজেদের সামরিক সক্ষমতা তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে জাপান। এরই অংশ হিসেবে সামরিক বাণিজ্যের অবতারণা।


সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক শক্তিকে ব্যালান্স করাটা জাপানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে কাজ করেছে; কারণ এই সমুদ্রপথেই জাপানের বেশিরভাগ বাণিজ্য হয়ে থাকে। ২০১৫ সালে ভিয়েতনামকে দু’টি প্যাট্রোল বোট দেবার পরে এবছরের জানুয়ারী মাসে জাপান ৩৩৮ মিলিয়ন ডলারের সহজ শর্তের ঋণে আরও ৬টি প্যাট্রোল বোট সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছর জাপান শ্রীলংকাকেও ১৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছে দু’টি ৩০ মিটার লম্বা প্যাট্রোল বোট কেনার জন্যে। শুধু প্যাট্রোল বোট নয়, জাপান তার এয়ার ইন্ডেপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (এআইপি) প্রযুক্তির সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে অফার করেছিল (যদিও অস্ট্রেলিয়া ফ্রেঞ্চ সাবমেরিনের দিকে গিয়েছে)। ভারত মহাসাগর পাহাড়া দিতে ভারতের কাছে জাপান ১.৩৫ বিলিয়ন ডলারে ১২টি ‘ইউএস-২’ উভচর ম্যারিটাইম প্যাট্রোল বিমান বিক্রি করছে।

বাংলাদেশে জাপান

জাপান বাংলাদেশের স্বীকৃত উন্নয়ন সহযোগী। এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জাপানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মার্কিনীদের “বাস্কেট কেইস”-তকমা মুছে ফেলে বাংলাদেশ যখন একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই হোলি আর্টিসানের ঘটনাটি ঘটলো – জাপানিদের টার্গেট করে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে জাপানকে সরানো। কিছুদিনের জন্যে তারা সেক্ষেত্রে সফলও হয়েছিল, যখন জাপানি অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রজেক্ট থেমে গিয়েছিল। তবে জাপানিরা এই ষড়যন্ত্রের মর্ম বুঝতে পেরেছে বলেই তারা বাংলাদেশের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাপানের জানার কথা যে ভারত মহাসাগরে জাপানি স্বার্থকে রক্ষা করতে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশের বিকল্প নেই। একটি দুর্বল বাংলাদেশই কেবল নড়বড়ে হয়ে সকলকে বিচলিত করতে পারে। একুশ শতকে এসে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের পথে জাপানকে সাথে চাইবে। জাপানের রাজনৈতিক নীতির পরিবর্তন এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে সহযোগিতার আরেকটি দুয়ার উন্মোচন করবে। এশিয়ার অনান্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও জাপানের নৌশক্তি তৈরির অভিজ্ঞতা থেকে সুবিধা নিতে পারে। জাপান তার বাণিজ্যপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এশিয়ার দেশগুলির ম্যারিটাইম সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাপান থেকে ২৪টি ছোট বোট সংগ্রহের পথে রয়েছে। তবে এই সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেয়া যায়। এয়ার-ডিফেন্স রাডার, মিসাইল-সহ জাপানের বেশকিছু সামরিক প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের উপরে নির্ভরশীল, যেগুলি হয়তো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তবে কোস্ট গার্ডের জন্যে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম জাপান সরবরাহ করলে সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে জাকার্তায় আইওআরএ শীর্ষ বৈঠক, ঢাকায় ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের কনফারেন্স, কসোভোকে স্বীকৃতি, চীনা প্রেসিডেন্ট এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, ইত্যাদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন শক্তির আবির্ভাব হতে চলেছে। আর দেশের অভ্যন্তরে সকল ধরনের Subversion নস্যাৎ করে দিয়ে বাংলাদেশ জানান দিয়েছে যে এই রাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে নতি স্বীকার করবে না। আর একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র বিশ্বে অনেক বন্ধু পাবে; সেটাই স্বাভাবিক। শক্তিশালীদের জন্যে অনেক বন্ধু থাকে; দুর্বলের জন্যে থাকে প্রভু। বাংলাদেশ এখন নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে দুনিয়ার যেকারুর সাথেই বন্ধুত্ব করতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের মাধ্যমে এটাই পরিষ্কার হয়েছে। বাংলাদেশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সহযোগী চীনও এই বার্তাটাই পাবে। সাথেসাথে জাপানের কাছেও বার্তা যাবে যে বাংলাদেশের দুয়ার যে কারুর জন্যেই উন্মুক্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সাম্রাজ্যবাদীদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে।

No comments:

Post a Comment