Tuesday 25 April 2017

তুলা ও গমের মনোপলি বাংলাদেশ যেভাবে ভাঙতে পারে

পৃথিবীর মানুষকে কাপড় পড়তেই হবে। জন্তু-জানোয়ারের সাথে মানুষের একটি প্রধান পার্থক্য হচ্ছে, মানুষ চিন্তা করতে পারে এবং একারণে তার লজ্জাবোধ রয়েছে – সেখানেই কাপড়ের প্রয়োজন। কিন্তু এই কাপড়ের বাজারকে দুনিয়ার অল্প কিছু রাষ্ট্রের রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে দেয়াটা অনুচিত (যা অবশ্য অনেককাল ধরেই চলে আসছে)। ২০০৯-১০ সাল থেকেই তুলার বাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের খেলার ক্রীড়নক হওয়া থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ তুলার বিকল্প উৎস খুঁজতে থাকে। এর একটি পাওয়া যায় মধ্য এশিয়ায়। মোট ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে সেখানে তুলা চাষ হয়, যা এলাকার আকৃতির তুলনায় নিতান্তই তুচ্ছ! ৮ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করে যুক্তরাষ্ট্র যদি সারা দুনিয়ার তুলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে বোঝাই যায় যে মধ্য এশিয়ার ৫-৬ লক্ষ হেক্টর এলাকা তুলা চাষের অধীনে আনা গেলে তুলার বাজারের মনোপলি থাকবে না। কাপড় পড়ার অধিকার সকলেরই আছে; শুধু যাদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে, তাদের নয়।
২৫শে এপ্রিল ২০১৭



তুলার বাজারের নিয়ন্ত্রণ তিনজনের হাতে!

‘ইউএস ডিপার্টমেন্ত অব এগ্রিকালচার’ (ইউএসডিএ) তুলার বাজার নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট প্রকাশ করে। ২০১৭-এর এপ্রিলের রিপোর্টে তারা দেখাচ্ছে যে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে বড় তুলা আমদানিকারক রাষ্ট্র। সারা বিশ্বের সব রাষ্ট্র মিলে যে পরিমাণ তুলা ২০১৬-১৭তে আমদানি করেছে, তার মাঝে বাংলাদেশ আমদানি করেছে প্রায় ১৮% বা প্রায় প্রায় ১৪ লক্ষ টন। বাংলাদেশের পরে ভিয়েতনাম প্রায় ১২ লক্ষ টন, চীন ১০ লক্ষ টন, তুরস্ক ৭ লক্ষ টন, ইন্দোনেশিয়াও প্রায় ৭ লক্ষ টন, পাকিস্তান প্রায় ৬ লক্ষ টন এবং ভারত প্রায় ৫ লক্ষ টন তুলা আমদানি করে। ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আমদানিকারক রাষ্ট্র ছিল চীন। তবে তারা ক্রমান্বয়ে আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশ সবচাইতে বড় আমদানিকারক হয়ে উঠেছে। সবচাইতে বেশি রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২৯ লক্ষ টন, ভারত প্রায় ১০ লক্ষ টন, অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৯ লক্ষ টন, ব্রাজিল ৬ লক্ষ টন, উজবেকিস্তান প্রায় ৪ লক্ষ টন, বুরকিনা ফাসো প্রায় আড়াই লক্ষ টন এবং মালি দুই লক্ষ টনের বেশি। যুক্তরাষ্ট্র একাই আন্তর্জাতিক বাজারের প্রায় ৩৭% তুলা সরবরাহ করে। অর্থাৎ পৃথিবীর তুলার বাজার যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তুলার বাজারে উত্থান পতনের কারণও যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানির পরিমাণ দেখলেই বোঝা যাবে ব্যাপারটা – প্রায় ২৯ লক্ষ টন (২০১৬-১৭), প্রায় ২০ লক্ষ টন (২০১৫-১৬), সাড়ে ২৪ লক্ষ টন (২০১৪-১৫), প্রায় ২৩ লক্ষ টন (২০১৩-১৪) এবং ২৮ লক্ষ টনেরও বেশি (২০১২-১৩)। ভারতের অবস্থান হচ্ছে সবচাইতে অবাক করা। ভারত একইসাথে রপ্তানি করে এবং আমদানি করে। ভারত ২০১৬-১৭ সালে প্রায় ৫ লক্ষ টন তুলা আমদানি করলেও রপ্তানি করেছে প্রায় ১০ লক্ষ টন! এর আগের বছর ভারতের রপ্তানি ছিল সাড়ে ১২ লক্ষ টন, আর রপ্তানি দুই লক্ষ টনের উপরে। ২০১৪-১৫ সালে রপ্তানি করেছে ৯ লক্ষ টনের বেশি; ২০১৩-১৪ সালে ২০ লক্ষ টন; ২০১২-১৩ সালে প্রায় ১৭ লক্ষ টন! এক বছরের সাথে আরেক বছরের কোন মিলই নেই! তুলা উৎপাদনে আবহাওয়া যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ঠিক। তবে তুলা যে দুনিয়ার বেশিরভাগ স্থানে যথেষ্ট পরিমাণে হয় না, এটাও ঠিক। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া এই বাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে খেলা খেলছে, এবং সেটা আবার রাজনৈতিকভাবেও ব্যবহার করছে।

পৃথিবীর মানুষকে কাপড় পড়তেই হবে। জন্তু-জানোয়ারের সাথে মানুষের একটি প্রধান পার্থক্য হচ্ছে, মানুষ চিন্তা করতে পারে এবং একারণে তার লজ্জাবোধ রয়েছে – সেখানেই কাপড়ের প্রয়োজন। কিন্তু এই কাপড়ের বাজারকে দুনিয়ার অল্প কিছু রাষ্ট্রের রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে দেয়াটা অনুচিত (যা অবশ্য অনেককাল ধরেই চলে আসছে)। ২০০৯-১০ সাল থেকেই তুলার বাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের খেলার ক্রীড়নক হওয়া থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ তুলার বিকল্প উৎস খুঁজতে থাকে। এর একটি পাওয়া যায় মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তানে। উজবেকিস্তান তাদের প্রায় ৮ লক্ষ টন উৎপাদনের অর্ধেকটা রপ্তানি করে। উজবেকিস্তানের পার্শ্ববর্তী তুর্কমেনিস্তানে তুলা উৎপাদন হয় প্রায় ৩ লক্ষ টন। তবে ঐ এলাকার বাদবাকি দেশগুলি তেমন একটা তুলা উৎপাদন করে না; যেমন বিশাল জমি থাকা সত্ত্বেও কাজাকস্তান উৎপাদন করে মাত্র ৬২ হাজার টন, তাজিকিস্তান ৮৫ হাজার টন এবং কিরগিজস্তান ৯ হাজার টন। মোট ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে সেখানে তুলা চাষ হয়, যা এলাকার আকৃতির তুলনায় নিতান্তই তুচ্ছ! ৮ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করে যুক্তরাষ্ট্র যদি সারা দুনিয়ার তুলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে বোঝাই যায় যে মধ্য এশিয়ার ৫-৬ লক্ষ হেক্টর এলাকা তুলা চাষের অধীনে আনা গেলে তুলার বাজারের মনোপলি থাকবে না। কাপড় পড়ার অধিকার সকলেরই আছে; শুধু যাদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে, তাদের নয়।
    
বিশাল কাজাকস্তানের জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৮০ লক্ষ। আর তাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লক্ষ। এর মাঝে ২৫ লক্ষেরও কম কৃষিতে নিযুক্ত। তাদের প্রধান ফসল গম। ১ কোটি ২৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে দেড় কোটি টন গম উৎপাদন করে প্রায় ৭৫ লক্ষ টন তারা রপ্তানি করেছে ২০১৬-১৭ সালে। আর বাংলাদেশ আমদানি করেছে মোট ৫৮ লক্ষ টন গম। মার্কিন-ভারতীয় খাদ্যশস্য-রাজনীতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের আবির্ভাবের জানান দিয়েছে। বাংলাদেশের আহ্বানে অনেকেই এখন সাড়া দেবে। মধ্য এশিয়ার বিশাল চারণ-ভুমিতে গম এবং তুলার আবাদ ছাড়াও সেখানে পশুপালনের মাধ্যমে পৃথিবীর খাদ্য সমস্যা সমাধানের একটি পথ খোঁজা যেতে পারে। সেখানে কৃষিকাজে জনশক্তির যে অভাব রয়েছে, তা বাংলাদেশ পূরণ করতে সহায়তা করতে পারে।

গমের বাজারের নিয়ন্ত্রণ ছয়জনের হাতে!


গম একটি খাদ্যশস্য এবং পৃথিবীর অনেক মানুষের কাছেই গম প্রধান খাদ্যশস্য। অথচ পৃথিবীতে মাত্র ১১টি দেশ (ইইউ একত্রে ধরে) মোট ১৮ কোটি টন গমের বাণিজ্যের প্রায় ৯৪% নিয়ন্ত্রণ করে। আরও বিশেষভাবে বিবেচনা করলে মাত্র ৬টি দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউক্রেন এবং আর্জেন্টিনা) সারা বিশ্বের মোট গমের বাণিজ্যের ৭০% নিয়ন্ত্রণ করে! । এখানে আর্জেন্টিনা অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে বড় রপ্তানিকারক হয়েছে। আর এই ছয় দেশের মাঝে রাশিয়া রয়েছে বলেই যুক্তরাষ্ট্রের মনোপলিকে ব্যালান্স করার কিছুটা চেষ্টা রয়েছে। সবচাইতে বড় গম আমদানিকারক রাষ্ট্র হলো মিশর (প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টন)। এরপর রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (৯০ লক্ষ টন), আলজেরিয়া (৮২ লক্ষ টন), ব্রাজিল (৭৩ লক্ষ টন), বাংলাদেশ (৫৮ লক্ষ টন), জাপান (৫৮ লক্ষ টন), মরক্কো (৫৫ লক্ষ টন), ফিলিপাইন (৫৫ লক্ষ টন), ভিয়েতনাম (৫০ লক্ষ টন), মেক্সিকো (৪৯ লক্ষ টন), তুরস্ক (৪৮ লক্ষ টন), নাইজেরিয়া (৪৫ লক্ষ টন), দক্ষিণ কোরিয়া (৪৫ লক্ষ টন), চীন (৪০ লক্ষ টন) এবং ভারত (শুধু এক বছরের জন্যে ৫৫ লক্ষ টন)। বাংলাদেশ গত ৫-৬ বছরের মাঝে একটি প্রধান গম আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। তবে প্রায় সবাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ঐ ৬টি দেশের রাজনীতি দ্বারা। উদাহরণস্বরূপ, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হবার পর বাংলাদেশ যখন রাশিয়া থেকে গম কিনতে যাচ্ছিল, তখন একটি বিশেষ দেশের দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়ার বদলে ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করতে বাধ্য করতে চাইলো। অথচ মানব-সৃষ্ট কারণে এখন পৃথিবীর ৪টি দেশের ২ কোটিরও বেশি মানুষ খাদ্যের অভাবে দুর্ভিক্ষের শিকার! [১] এখন সেই রাজনীতি মানবতার পক্ষে অবস্থান নেয়নি, কারণ সেই রাজনীতি হচ্ছে মুনাফা নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি; মানুষের কল্যাণের রাজনীতি নয়। এই অনিষ্টের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসার একটি পথ রয়েছে – খাদ্যশস্য উৎপাদনকে ছড়িয়ে দিয়ে গুটিকয়েক মুনাফাখোরের হাত থেকে বের করে নিয়ে আসা। এই লক্ষ্যে গম চাষের জন্যে নতুন ভূমি খুঁজতে হবে।
  
মধ্য এশিয়ার বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম। পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মুসলিমদের কাছে তাসখন্দ, বুখারা এবং সমরখন্দের নাম অতি পরিচিতই শুধু নয়, সেই শহরগুলি তাদেরকে টানে। উপমহাদেশে ইসলাম যাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাদেরও অনেকেই এসেছিলেন মধ্য এশিয়া থেকেই। সেখানকার বিশাল ভূমি সারা বিশ্বের কোটি মানুষের ক্ষুধা নিবারণের এবং লজ্জা ঢাকার সমাধান হতে পারে। সেই সমাধান খোঁজায় বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারে

মধ্য এশিয়ায় সমাধান...

কাজাকস্তানের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) কয়েকবার ঢাকায় আসেন এবং রাষ্ট্রপতি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশকে কাজাকস্তানে বিনিয়োগ এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির অনুরোধ করেন। বিশাল কাজাকস্তানের জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৮০ লক্ষ। আর তাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লক্ষ। এর মাঝে ২৫ লক্ষেরও কম কৃষিতে নিযুক্ত। তাদের প্রধান ফসল গম। ১ কোটি ২৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে দেড় কোটি টন গম উৎপাদন করে প্রায় ৭৫ লক্ষ টন তারা রপ্তানি করেছে ২০১৬-১৭ সালে। উজবেকিস্তান ১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৭২ লক্ষ টন গম উৎপাদন করলেও চাহিদা বেশি থাকায় ২৭ লক্ষ টন আমদানি করতে হয়েছে তাদের। কাজাকস্তানে জনশক্তি রপ্তানির অফারের মাঝেই লুকিয়ে আছে খাদ্যশস্য-ভিত্তিক এই ব্যাপক শোষণ থেকে মুক্তির পথ। আন্তর্জাতিক বাজারে জুয়ার মতো গম বিক্রি না করে সরাসরি ক্রয়ের মাঝে গেলে মূল্য নিয়ে মনোপলি খেলা কমতে পারে। এর জন্যে প্রয়োজন শক্ত আন্তর্জাতিক কৃষি-জোট। বিশ্বের প্রধান কৃষি-ভিত্তিক রাষ্ট্রগুলির একটি হওয়ায় বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারে। মার্কিন-ভারতীয় খাদ্যশস্য-রাজনীতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের আবির্ভাবের জানান দিয়েছে। বাংলাদেশের আহ্বানে অনেকেই এখন সাড়া দেবে। মধ্য এশিয়ার বিশাল চারণ-ভুমিতে গম এবং তুলার আবাদ ছাড়াও সেখানে পশুপালনের মাধ্যমে পৃথিবীর খাদ্য সমস্যা সমাধানের একটি পথ খোঁজা যেতে পারে। সেখানে কৃষিকাজে জনশক্তির যে অভাব রয়েছে, তা বাংলাদেশ পূরণ করতে সহায়তা করতে পারে। এ লক্ষ্যে কিছু বাস্তসম্মত কার্যকলাপকে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে –

১। মধ্য এশিয়ার কাজাকস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের সাথে আলোচনা করে কৃষিতে ব্যাপক-ভিত্তিক বিনিয়োগের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছানো। জমির দীর্ঘমেয়াদি লীজ এক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে।

২। বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং ফুড-প্রসেসিং শিল্পে বিনিয়োগ করা কোম্পানিগুলিকে মধ্য এশিয়ায় কৃষিতে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রেরণা যোগানো। এই বিনিয়োগ জমিতে, কৃষি যন্ত্রপাতিতে, সেচে, বীজ-সার-কীটনাশকে, শস্য প্রসেসিং-এ, শস্য স্টোরেজে, পরিবহণে এবং ডিস্ট্রিবিউশনে হতে পারে।

৩। বাংলাদেশ থেকে কৃষিতে অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন জনশক্তি মধ্য এশিয়ায় রপ্তানির ব্যবস্থা করা।

মধ্য এশিয়ার বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম। পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মুসলিমদের কাছে তাসখন্দ, বুখারা এবং সমরখন্দের নাম অতি পরিচিতই শুধু নয়, সেই শহরগুলি তাদেরকে টানে। উপমহাদেশে ইসলাম যাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাদেরও অনেকেই এসেছিলেন মধ্য এশিয়া থেকেই। সেখানকার বিশাল ভূমি সারা বিশ্বের কোটি মানুষের ক্ষুধা নিবারণের এবং লজ্জা ঢাকার সমাধান হতে পারে। সেই সমাধান খোঁজায় বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারে।



[১] ‘অস্তিত্ব-সংকটে জাতিসংঘ’, সাম্প্রতিক দেশকাল, ১৬ই মার্চ ২০১৭

1 comment: