Tuesday 17 January 2017

দ্বীপ নিয়ে বিতর্কে ইতিহাসের বাস মিস করছে মিশরীয়রা

১৭ই জানুয়ারী ২০১৭
দ্বীপের ‘সার্বভৌমত্ব’ নিয়ে তর্ক জুড়ে দিয়ে মিশরীয়রা যেভাবে ইতিহাসের বাস মিস করছে...
১৯৮২ সাল থেকে দ্বীপদু’টি মিশরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ইস্রাইলকে চটানোর ভয়ে মিশরের শাসকগোষ্ঠী দ্বীপদু’টি নিয়ে কোন পরিকল্পনা থেকে দূরে থাকে। ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি বাদশা সালমান মিশরে গেলে এই সেতু তৈরি নিয়ে আবারও কথা শুধু হয়। তবে এবারে মিশরের সামরিক শাসক আল-সিসি অন্য কান্ড করে বসেন। তিনি দ্বীপদু’খানা সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দেন। সাথে সাথে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে যায় সেতু নয়, বরং দ্বীপের ‘সার্বভৌমত্ব’। মিশরের জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী বুঝে উঠতে সক্ষম হয়নি যে এই সেতু আসলে মিশরের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

১৯৮৬ সালের নভেম্বরে সৌদি আরব এবং বাহরাইনের মাঝে পারস্য উপসাগরের মাঝ দিয়ে ২৫ কিঃমিঃ লম্বা ‘কিং ফাহদ কজওয়ে’ বা বাদশা ফাহদ সেতু জনসাধারণের জন্যে খুলে দেয়া হয়। মোটামুটি সব পত্রিকাতেই রিপোর্ট করা হয় যে এই সেতুর মাধ্যমে দু’দেশের মাঝে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং দু’দেশের অর্থনীতিতে এই সেতু বড় একটি ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন পঁচিশ হাজার গাড়ি এবং পঞ্চাশ হাজার মানুষ যাতায়াত করে, যা কিনা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যেটা পত্রিকাগুলি বলতে অক্ষম ছিল তা হলো, এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল যাতে জরুরি প্রয়োজনে বাহরাইনের রাজবংশকে সুরক্ষা দিতে সৌদি সরকার সৈন্য পাঠাতে পারে। সেতুটি ছিল এই অঞ্চলে সৌদি-সমর্থিত সরকারগুলিকে টিকিয়ে রাখার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। সেতু চালু করার পঁচিশ বছর পর ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় সৌদি আরব সরকার বাহারাইনে সৈন্য পাঠায়। সেতু ব্যবহার করে দু’শ গাড়িসহ হাজার খানেক সৈন্য ঝড়ের গতিতে বাহরাইন পৌঁছে যায়। এই সেতুর কথাটি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, কারণ ঠিক এমনই আরেকটি প্রকল্প এখন সাধারণ জনগণের আলোচনার পিছনে অবস্থান করছে।

মিশর এবং সৌদি আরবের মাঝে দু’টি ছোট দ্বীপের হস্তান্তর নিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। ‘তিরান’ এবং ‘সানাফির’ নামের ছোট্ট দ্বীপ দু’টি সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি হবে না, সেটা হয়ে দাঁড়ায় পত্রিকার হেডলাইন। কিন্তু যে ব্যাপারে কেউ কথা বলছে না তা হলো এই দু’টি দ্বীপের উপর দিয়ে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ এবং সৌদি আরবের তাবুকের মাঝে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি করতে ২৩ কিঃমিঃ লম্বা একটি সেতু বানাবার কথা চলছে বহুদিন ধরে, যা কিনা এখন থমকে গেল। ১৯৮৮ সালে এই সেতু তৈরির চেষ্টা শুরু হয়। জানা যায় যে ২০০০ সালের পর কোন এক সময় ইস্রাইলের হস্তক্ষেপে এই সেতু বানাবার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মানচিত্রের দিকে তাকালে বোঝা যাবে যে এই সেতু আকাবা উপসাগরের মুখে তিরান প্রণালীর উপর তৈরি হবে। প্রকৃতপক্ষে ঐ দ্বীপদু’টি আকাবা উপসাগরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক। আকাবা উপসাগরের গোড়ায় রয়েছে দু’টি দেশের দু’টি সমুদ্র বন্দর – ইস্রাইলের এইলাট এবং জর্ডানের আকাবা। ১৯৬৭ সালে ইস্রাইল যখন সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়, তখন এই দ্বীপদু’টিও ইস্রাইলের হাতে চলে যায়। টানা পনর বছর দখলে রেখে ১৯৮২ সালে দ্বীপদু’টি মিশরের কাছে ফেরত দেয় ইস্রাইল। এর পর থেকে দ্বীপ দু’টি মিশরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ইস্রাইলকে চটানোর ভয়ে মিশরের শাসকগোষ্ঠী দ্বীপদু’টি নিয়ে কোন পরিকল্পনা থেকে দূরে থাকে। ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি বাদশা সালমান মিশরে গেলে এই সেতু তৈরি নিয়ে আবারও কথা শুধু হয়। তবে এবারে মিশরের সামরিক শাসক আল-সিসি অন্য কান্ড করে বসেন। তিনি দ্বীপদু’খানা সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দেন। সাথে সাথে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে যায় সেতু নয়, বরং দ্বীপের ‘সার্বভৌমত্ব’। মিশরের জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী বুঝে উঠতে সক্ষম হয়নি যে এই সেতু আসলে মিশরের জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইস্রাইল এবং জর্ডান উভয় দেশকেই লোহিত সাগরে একটি করে সমুদ্রবন্দর দেয়া হয় (এইলাট এবং আকাবা)। এই সমুদ্রবন্দরদু’টি হলো এই মানচিত্রের উদ্ভটতার মূল। এর মাধ্যমে মিশর এবং আরব উপদ্বীপের মাঝে দু’টি নতুন দেশের আবির্ভাব হয়। কাজেই মিশরের সরকার যদি পশ্চিমাদের তৈরি করা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি মেনে চলে, তাহলে আরবের মাটিতে সৈন্য পাঠাতে মিশরের ইস্রাইল এবং জর্ডানের কাছ থেকে “অনুমতি” নিতে হবে। অর্থাৎ যদি ইসলামের পবিত্র ভূমি মক্কা এবং মদিনা কখনো শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে মিশর স্থলপথে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম হবে না, যদি না ইস্রাইল “অনুমতি” দেয়!

দ্বীপের রাজনীতি যেভাবে শুরু হলো...

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই দ্বীপগুলির আদৌ কোন গুরুত্ব ছিল না। বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ-ফরাসীদের হাতে উথমানিয়া খিলাফতের পতনের পর এখানে উদ্ভট পদ্ধতিতে কতগুলি দেশ তৈরি করা হয়, যার একটি ছিল জর্ডান, যা থেকে কেটে প্যালেস্টাইন তৈরি হয়া, যা কিনা আবার পরবর্তীতে ইহুদী রাষ্ট্র ইস্রাইল হিসেবে পশ্চিমাদের স্বীকৃতি পায়। এই ইস্রাইলের সীমানা তৈরি করতে গিয়েই যত সমস্যা তৈরি করা হয়। ইস্রাইলের পূর্বে থাকে দুর্বল রাষ্ট্র জর্ডান, যা কিনা ইস্রাইল এবং ইরাকের মাঝে ‘বাফার’ তৈরি করে। ইস্রাইল এবং জর্ডান উভয় দেশকেই লোহিত সাগরে একটি করে সমুদ্রবন্দর দেয়া হয় (এইলাট এবং আকাবা)। এই সমুদ্রবন্দরদু’টি হলো এই মানচিত্রের উদ্ভটতার মূল। এর মাধ্যমে মিশর এবং আরব উপদ্বীপের মাঝে দু’টি নতুন দেশের আবির্ভাব হয়। কাজেই মিশরের সরকার যদি পশ্চিমাদের তৈরি করা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি মেনে চলে, তাহলে আরবের মাটিতে সৈন্য পাঠাতে মিশরের ইস্রাইল এবং জর্ডানের কাছ থেকে “অনুমতি” নিতে হবে। অর্থাৎ যদি ইসলামের পবিত্র ভূমি মক্কা এবং মদিনা কখনো শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে মিশর স্থলপথে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম হবে না, যদি না ইস্রাইল “অনুমতি” দেয়!

১৯৯১ সালে ইরাকের শাসক সাদ্দাম হোসেন স্বেচ্ছায় ইরাকের বিশাল সামরিক বাহিনীকে পশ্চিমাদের হাতে ধ্বংস করান। ফলে উত্তর দিক থেকে আরব উপদ্বীপকে রক্ষা করার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার সামরিক শক্তি ধ্বংস হবার ফলে সিরিয়া থেকেও আরব উপদ্বীপের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। সিরিয়া ও ইরাকের উত্তরে তুরস্ক আরব উপদ্বীপ থেকে বেশ দূরেই। পাকিস্তান এবং বাকি মুসলিম দেশগুলি তো আরও দূরে। বাকি থাকে শুধুমাত্র মিশর। আরব উপদ্বীপের সবচাইতে কাছের হলেও মিশর এবং সৌদি আরবের মাঝে রয়েছে লোহিত সাগর; আর স্থলপথে যাবার পথটি তো ব্রিটিশরা ইস্রাইলের হাতে তুলেই দিয়েছে। এমতাবস্থায় আকাবা উপসাগরের মুখে তিরান প্রণালীর উপর দিয়ে প্রস্তাবিত সেই সেতুটি মিশরের হাতে এমন একটি ক্ষমতা দিত, যার মাধ্যমে মিশর আরব উপদ্বীপের রক্ষাকর্তারূপে আবির্ভূত হতো। বর্তমানে আরব উপদ্বীপে মিশরের সামরিক হস্তক্ষেপের পদ্ধতিগুলি মোটামুটি কঠিন – সমুদ্রপথে এবং বিমান বন্দরের মাধ্যমে সৈন্য অবতরণ। আরব উপদ্বীপের পুরোটাই মরুভূমি হওয়ায় সেখানে ভারি আর্মার্ড ফর্মেশনের দরকার হবে, যেকারণে সমুদ্র এবং বিমানপথে সৈন্য পাঠাতে সময় অনেক বেশি লাগবে; লজিস্টিক্যাল সমস্যা অনেক বেশি হবে।
বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্বের (Intellectual Bankruptcy) মাঝে এই দেশগুলি যে নিজেদের তথাকথিত ‘আলাদা’ সত্ত্বাকেই বেশি তুলে ধরবে, সেটাই স্বাভাবিক। ইস্রাইলকে না ক্ষেপানোটাই তাদের কাছে যখন হয় মূল লক্ষ্য, তখন ইসলামের পবিত্রভূমির নিরাপত্তা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে – এটা চিন্তা করাটাই তো অর্থহীন। সিরিয়ার যুদ্ধে পাঁচ লক্ষাধিক মুসলিমের মৃত্যুও যেখানে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়নি, সেখানে আরব উপদ্বীপের নিরাপত্তা দেবার চিন্তাটা তাদের মস্তিষ্কে আদৌ গুরুত্ব পাবে কেন? আরব উপদ্বীপ থেকে মিশরীয়দের দূরে রাখতে শুধুমাত্র মিশরীয়দের জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেয়াটাই যথেষ্ট ছিল। ছোট্ট দু’টি দ্বীপের জন্যে তারা পুরো আরব উপদ্বীপের রক্ষাকর্তা হবার সন্মানটি হারাচ্ছে। মিশরীয়রা জাতীয়তাবাদের উপরে ভর করে ১৯১৮ সালে ব্রিটিশদের তৈরি সীমানাকেই পবিত্রজ্ঞান করে ইতিহাসের বাস মিস করছে।

 
বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব ও দাসত্ববরণ

দ্বীপ নিয়ে মামলা করে মিশরের জাতীয়তাবাদীরা ইস্রাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাতকে শক্তিশালী করেছে। দ্বীপ কার হবে সেটা আদৌ কোন বিষয় নয়, যখন দ্বীপের উপর দিয়ে প্রস্তাবিত সেতু তৈরিই হবে মিশরের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য প্রার্থনার জন্যে। মিশরের জাতীয়তাবাদীরা জাতীয়তার নামে আরব উপদ্বীপের রক্ষাকর্তা হবার আসনটি ইস্রাইলের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। সৌদি রাজবংশ এখন এক ক্রান্তিলগ্ন পার করছে। বাদশাহ সালমান তার ভাইদের মাঝে শেষজন। এর পর ক্রাউন প্রিন্স হলেন তার ভাতিজা, যেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সালমানের নিজের ছেলেই বর্তমান সরকারের সবচাইতে শক্তিশালী ব্যক্তিদের একজন। সালমানের বয়স আশি পার হয়েছে এবং তার পরবর্তীকালে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব হবে কিনা, সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। সৌদি রাজবংশে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা দিলে আশেপাশের শক্তিরা কে কি করবে সেটা দেখার বিষয় হবে। তিরান প্রণালীর উপর দিয়ে সেতু তৈরি হোক আর না হোক, সেরকম কোন সম্ভাব্য বিশৃংখলার মাঝে মিশরের ভূমিকা হয়ে দাঁড়াবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে কেনা ‘মিস্ত্রাল’-ক্লাসের উভচর অপারেশনের জাহাজদু’টি (যা কিনা রাশিয়ার জন্যে তৈরি করা হয়েছিল) এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্ভাব্য বিশৃংখলার মাঝে আরব উপদ্বীপে শক্তি নিয়ে যারা অবতরণ করবে, আরবের ছোট সামরিক শক্তিগুলি (সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত-এর ছোট্ট সামরিক বাহিনীগুলি) তাদের দিকেই ভিড়তে থাকবে। বিশেষ করে মক্কা ও মদিনার নিরাপত্তা যাদের হাতে থাকবে, তারাই হবে নিয়ন্ত্রক।

বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্বের (Intellectual Bankruptcy) মাঝে এই দেশগুলি যে নিজেদের তথাকথিত ‘আলাদা’ সত্ত্বাকেই বেশি তুলে ধরবে, সেটাই স্বাভাবিক। ইস্রাইলকে না ক্ষেপানোটাই তাদের কাছে যখন হয় মূল লক্ষ্য, তখন ইসলামের পবিত্রভূমির নিরাপত্তা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে – এটা চিন্তা করাটাই তো অর্থহীন। সিরিয়ার যুদ্ধে পাঁচ লক্ষাধিক মুসলিমের মৃত্যুও যেখানে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়নি, সেখানে আরব উপদ্বীপের নিরাপত্তা দেবার চিন্তাটা তাদের মস্তিষ্কে আদৌ গুরুত্ব পাবে কেন? আরব উপদ্বীপ থেকে মিশরীয়দের দূরে রাখতে শুধুমাত্র মিশরীয়দের জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেয়াটাই যথেষ্ট ছিল। ছোট্ট দু’টি দ্বীপের জন্যে তারা পুরো আরব উপদ্বীপের রক্ষাকর্তা হবার সন্মানটি হারাচ্ছে। এখনও সেটা পুরোপুরি হারায়নি, তবে সেতুটি না হলে কাজটা বেশ কঠিন হবে বৈকি। এই দেশগুলির লক্ষ্য কোন চিন্তার উপরে ভিত্তি করে নয়; যে চিন্তা তারা হয়তো প্রতিষ্ঠা, রক্ষা এবং প্রচার করতো। আদর্শের অনুসারী নয়, বরং নিজেদেরকে মার্কিনীদের ভৃত্য হিসেবে দেখতেই আজকের আরব নেতৃত্ব বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিনীরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তদুপরি এটা বলা যায় যে যেসময়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার নিয়ন্ত্রক হিসেবে মিশরের আবির্ভাব হবার কথা, সেসময় মিশরীয়রা জাতীয়তাবাদের উপরে ভর করে ১৯১৮ সালে ব্রিটিশদের তৈরি সীমানাকেই পবিত্রজ্ঞান করে ইতিহাসের বাস মিস করছে।

No comments:

Post a Comment