Friday 6 November 2020

‘কোয়াড’ এবং ‘এক্সারসাইজ মালাবার ২০২০’ ... কার জন্যে কি বার্তা?

০৬ই নভেম্বর ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ এবং ‘কোয়াড’এর মূল লক্ষ্য হলো ইন্দোপ্যাসিফিককে চীনা প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। এই লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরে নৌমহড়া শুধু চীনের জন্যেই নয়, চীনকে বন্ধু ভাবা যেকোন রাষ্ট্রের জন্যেই বার্তা। ঘটনাপ্রবাহই বলে দিচ্ছে যে, বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এখন আরও এক ধাপ এগুলো, যেখানে সামনের দিনগুলিতে অস্ত্রের ঝনঝনানি আরও বৃদ্ধি পাবে।


৩রা নভেম্বর থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে যৌথ নৌমহড়া ‘এক্সারসাইজ মালাবার ২০২০’; যেখানে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারতের নৌবাহিনী। ‘মালাবার’এর ২৪তম এই আয়োজনে এবার যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর করোনাভাইরাসের বাস্তবতাকে সামনে রেখে মহড়ার নিয়মকানুনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২০এর এই মহড়ার এটা হলো প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরের শেষে। এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ‘জন এস ম্যাককেইন’, অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর ফ্রিগেট ‘বালারাট’, জাপানের নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ‘ওনামি’, ভারতীয় নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ‘রণবিজয়’, ফ্রিগেট ‘শিভালিক’, সাপ্লাই জাহাজ ‘শক্তি’, সাবমেরিন ‘সিন্ধুরাজ’ এবং একটা ‘পি৮আই’ এন্টিসাবমেরিন বিমান। মার্কিন সামরিক বাহিনীর পত্রিকা ‘নেভি টাইমস’ কোন রাখঢাক না রেখেই বলছে যে, এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে চীনকে টার্গেট করে। চীনকে টার্গেট করা হয়েছে ইন্দোপ্যাসিফিকে চীনা প্রভাব মোকাবিলার উদ্দেশ্যে। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে চীনের প্রভাব বিস্তারে ভারত যখন বিচলিত, তখন এই চার দেশের মাঝে তৈরি হয়েছে ‘কোয়াড’ নামের এক কৌশলগত জোট।

‘জাপান টাইমস’এর এক প্রতিবেদনে ‘এক্সারসাইজ মালাবার ২০২০’কে সরাসরি ‘কোয়াড’এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, কিছুদিন আগেই টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারতের শীর্ষ কূটনীতিকেরা মিলিত হয়েছিলেন ‘কোয়াড’এর অংশ হিসেবে। যদিও সেই বৈঠক থেকে বিশেষ কোন ঘোষণা আসেনি, তথাপি এটা চীনের প্রতি একটা বার্তা হিসেবেই সকলে দেখেছেন। যদিও এই মহড়াকে অফিশিয়ালি ‘কোয়াড’এর অংশ বলে ঘোষণা দেয়া হয়নি, তবুও বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, এই মহড়া মূলতঃ ইন্দোপ্যাসিফিকে চীনের সামরিক এবং কূটনৈতিক প্রভাবকে মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই মহড়াকে হয়তো ‘কোয়াড’এর অংশ বলেই বলা হবে। এই মহড়ায় ১৩ বছরের মাঝে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া অংশ নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেইনল্ডস এক বার্তায় বলেন যে, এই মহড়ার মাধ্যমে ভারতের সামরিক বাহিনীর সাথে অস্ট্রেলিয়ার আস্থা বৃদ্ধি পাবে। ভারতীয় পত্রিকা ‘ইকনমিক টাইমস’ও এই মহড়াকে ‘কোয়াড মালাবার’ বলে আখ্যা দিচ্ছে। ভারতের জন্যে এই মহড়া এমন এক সময়ে এলো, যখন চীনের সাথে হিমালয়ের পাদদেশে সংঘাতের পর ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির একটাও ভারতকে সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। উল্টো এই সময়ের মাঝে চীনের সাথে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেপালের সম্পর্কোন্নয়ন হয়েছে।

ভারতীয় চিন্তাবিদেরা এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের অসহায়ত্বকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। ভারতের ‘দ্যা প্রিন্ট’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক শেখর গুপ্ত বলছেন যে, বহুদিন ধরেই ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয়নি; আর সেই সুযোগেই চীন দক্ষিণ এশিয়াতে তার অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশের ঐকান্তিক সহায়তায় ভারত তার উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদের দমনে বিরাট সাফল্য পেয়েছে; অথচ প্রতিদানে ভারত তার নাগরিকত্ব আইন পাস করার পর বিরাট এক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ‘বাংলাদেশী’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবার কথা বলেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কোন্নয়ন কঠিন হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। একই সময়ে চীন বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যের জন্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়েছে। এছাড়াও চীনারা বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং নেপালেও বিনিয়োগ করে তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। এরই মাঝে ‘আইএমএফ’এর হিসেবে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়কে ভারতের চাইতে বেশি হবে বলে ঘোষণা করা হলে ভারতীয়দের মাঝে অনেকেই ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। যদিও শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপের মাথাপিছু আয় ভারতের কয়েক গুণ, তথাপি সেটা ভারতীয়দের চিন্তার কারণ ছিলোনা কখনোই। কিন্তু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের খবরটা পত্রপত্রিকায় আসার সাথেসাথেই ভারতীয়রা চিন্তিত হয়ে গিয়েছেন। শেখর গুপ্তের কথায় বোঝা যায় যে, ভারত সরকার বাংলাদেশকে তাদের অতি কাছের বন্ধু বললেও বাস্তবতা অতটা সহজ নয়। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ছাড়াও চীন থেকে বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যাপারটাও ভারত ভালো চোখে দেখে না। বিশেষ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্যে সাবমেরিন কেনার ব্যাপারটা ভারতীয় চিন্তাবিদেরা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। এর উপরে আবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে চীনা সহায়তায় তৈরি হচ্ছে স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি, যা ‘এশিয়া টাইমস’ বলছে যে, ভারতের সাথে চীনের উত্তেজনাকে আরও উস্কে দেবে।

ভারতের ‘দ্যা হিন্দু’ পত্রিকা বলছে যে, গত অগাস্টে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে নীতিগতভাবে অস্ট্রেলিয়াকে ‘মালাবার’ মহড়ায় আমন্ত্রণ জানাবার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, হিমালয়ের পাদদেশে লাদাখে চীনের সাথে ভারতের সংঘাত এই সিদ্ধান্তের পিছনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। ‘মালাবার’ এবং ‘কোয়াড’এর যোগসূত্র এখানেই। থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ’ বা ‘আইআইএসএস’এর সিঙ্গাপুর অফিসের সিনিয়র ফেলো আলেক্সান্ডার নেইল ‘বিবিসি’কে বলছেন যে, ‘কোয়াড’এর কর্মকান্ড আটকে থাকার মূল কারণ ছিল ভারত; যারা ঐতিহাসিকভাবেই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অংশ ছিল। আর এখন এই জোটের সামনে চলে আসাটাও হয়েছে ভারতের জন্যেই, যারা এখন চীনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে।
 

অক্টোবর মাসেই মার্কিন উপপররাষ্ট্র সচিব স্টিফেন বিগান এবং পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও দক্ষিণ এশিয়া ঘুরে মার্কিন ‘ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’তে যোগ দেয়ার জন্যে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান। বাংলাদেশ থেকে সরাসরিই বলে দেয়া হয় যে, বাংলাদেশ কোন নিরাপত্তা জোটে যুক্ত হবে না। এর প্রায় দু’সপ্তাহ পরেই ‘এক্সারসাইজ মালাবার’এর তৃতীয় দিনে ৫ই নভেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটা জাহাজ কমিশনিং করা হয়; যার মাঝে তিনটা ছিল চীনা নির্মিত। এর আগেও ১৮ই জুন হিমালয়ে ভারতের সাথে চীনের সংঘাতের চরম অবস্থায় বাংলাদেশ একটা চীনা নির্মিত কর্ভেট কমিশনিং করে।


অক্টোবর মাসেই মার্কিন উপপররাষ্ট্র সচিব স্টিফেন বিগান এবং পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও দক্ষিণ এশিয়া ঘুরে যান। সফরকালে তারা মার্কিন ‘ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’তে যোগ দেয়ার জন্যে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান। বাংলাদেশ থেকে সরাসরিই বলে দেয়া হয় যে, বাংলাদেশ কোন নিরাপত্তা জোটে যুক্ত হবে না। আর মার্কিনীদের এই কৌশলের অধীনে বাংলাদেশ কোন অস্ত্র কিনতেও অগ্রহী নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়। এর প্রায় দু’সপ্তাহ পরেই ‘এক্সারসাইজ মালাবার’এর তৃতীয় দিনে ৫ই নভেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটা জাহাজ কমিশনিং করা হয়; যার মাঝে তিনটা ছিল চীনা নির্মিত। এর আগেও ১৮ই জুন হিমালয়ে ভারতের সাথে চীনের সংঘাতের চরম অবস্থায় বাংলাদেশ একটা চীনা নির্মিত কর্ভেট কমিশনিং করে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ এবং ‘কোয়াড’এর মূল লক্ষ্য হলো ইন্দোপ্যাসিফিককে চীনা প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। এই লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরে নৌমহড়া শুধু চীনের জন্যেই নয়, চীনকে বন্ধু ভাবা যেকোন রাষ্ট্রের জন্যেই বার্তা। ঘটনাপ্রবাহই বলে দিচ্ছে যে, বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এখন আরও এক ধাপ এগুলো, যেখানে সামনের দিনগুলিতে অস্ত্রের ঝনঝনানি আরও বৃদ্ধি পাবে।

10 comments:

  1. Only the hull and armaments are chinese but the most influential things (eg jammer, data link, counter measure, radar etc) are western. Another thing to be considered here is that China offered those at a cheaper rate whereas western ships are expensive. Western countries could set up conditions for using any sorts of strategical weapons.

    ReplyDelete
    Replies
    1. So, in your opinion, Chinese combat systems are capable of controlling Western electronics?

      And you believe that there would be strings attached to Western ships, but not to Western electronics that these Chinese-made ships are supposedly using?

      Delete
    2. What I'm trying to say here is that Bangladesh is doing what they could afford ultimately. Geo political issues might have mere influence. If everything goes in favor then Bangladesh might go for more western items.

      Delete
    3. hmm... but it's actually geopolitics that sets the necessities; economic capacity comes second.... think about what Pakistan has done even after having an economy similar in size to that of Bangladesh.... that geopolitical reality dictated Pakistan's military doctrine..... Bangladesh, on the other hand, kept a close relationship with India, and avoided building up a powerful military.... but that strategy was eventually challenged by Myanmar since 2008.... Bangladesh probably wouldn't have concentrated on building up its navy if there was no threat from Myanmar....

      but when India is being backed by Superpower USA to counter China, and Bangladesh importing Chinese arms in quantity, scenario changes dramatically.... only cheapness can no longer be the reason for importing Chinese arms.... geopolitical alignment has become the primary issue of discussion, unlike ever before...

      Delete
    4. In that case Bangladesh could/should purchase more State of the art weapons from China. Internal political mayhem has some effects here otherwise we could own a full squadron of Mig 29 and 3 Ulsan class frigates. Situation was beyond description during the nationalist government. When Myanmar tried to undergo a expedition on a controversial block, Bangladesh could realize that we have to do something. Plan for purchase submarines and other state of the art weapons was in active since 1990's but political issues were there. But the military could realize their backlogs after the Myanmar incident. That's why Bangladesh had purchased submarines amid enormous pressure. India did supply kilo class to Myanmar due to their fear, they even didn't consider the worthiness of Myanmar navy for managing such sub. Once upon a time the situation was like ok brother I'll take care of you please be obedient (India as parar gunda). Now things like - hey brother, you are really sick now, get some treatment, I'll take the rest (Bangladesh as choto Bhai trying to get rid of all dodgy things). Parar gunda now taking Myanmar as pati gunda which led towards the whole blockage of Bangladeshi territories both from the seas and lands during any confrontation, thus heading towards full fledged hostility with the neighbors.

      Delete
    5. militarization of the Bay of Bengal has become something of an inevitability since the start of the Rohingya refugee crisis.... one has to understand that any insurgency is not sustainable unless there is a state backup, which puts the question of what motive brought insurgency to Arakan, which ultimately encouraged Myanmar's military to start their inhuman ethnic cleansing campaign and put the burden of refugees on Bangladesh's shoulders....

      India is intellectually incapable of having such long-term thoughts.... these ideas come from Western ideological states that considered Muslim countries as long-terms threats.... their calculation tells them that China is likely to cooperate with Muslims in the long run, which would go against Western ideological leadership in the world.... Bangladesh has become a target of subversion and being under pressure of refugees is just one such issue...

      ultimately its an issue of ideological tussle....

      Delete
    6. That's what I'm talking about sir

      Delete
    7. আপনাদের আলোচনা দেখে মনে হল আমেরিকা এই হিসাবে আছে যে চীন একসময় মুসলমানদের সাপোর্টে যাবে। কিন্তু কোন মুসলমানদের???????? যেখানে মুসলমানেরাই আদর্শিকভাবে বিভক্ত সেখানে চীনের জন্য ব্যাপারটা চ্যালেঞ্জিং নয় কি? চীন যেখানে ব্যবসা ছাড়া গা করে না সেখানে চীন কি এই ধরনের স্ট্র্যাটেজি তে আগাবে বলে মনে হয়?? উইঘুরদের উপর কি চলছে তা বিশ্ববাসী ভালোমত জানে, সে হিসেবে আমেরিকার হিসাবে ঝামেলা আছে। তবে দুটো ব্যাপার এখেনে খাটতে পারেঃ
      ১) মুসলমানদের ভিত্তি করে চীন উপরে গেলে সেও তখন তৃণ্মূলের অবদান ভুলে গিয়ে পশ্চিমা ধাচে আগ্রাসন চালাবে, অথবা
      ২) আমেরিকা চীনের মুসলমান প্রীতি এস্টাব্লিশ করার চেষ্টা করবে তাকে চাপে রাখতে।
      আমেরিকা তার পথ হারানোর ফলে এর খালি জায়গা দখল নিয়ে যুদ্ধ চলছে তবে বাই পোলারাইজেশনের চেয়ে মাল্টি পোলারাইজেশনের সমূহ সম্ভাবনা আছে, যার ভাল খারাপ দুটোই আছে।
      আর অনুরোধ রইলো সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত লিখতে কারন এর ভূরাজনৈতিক ব্যাপার এখনো আমাকে কনফিউসড করে। মূলত তুরস্কের দিক থেকে কারন এর সাথে লিবিয়া আর আফ্রিকার ভূরাজনীতি জড়িত।
      আর ইস্রাইল নিয়েও লিখা চাই, সম্ভব হলে ইতিহাসের রেফারেন্সের সহকারে, ইহা আদৌ জমি ফিরে পাবার যুদ্ধ না ধর্ম যুধ ইত্যাদি। কারন আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলছে ইস্রাইল সমস্যার সমাধানে পৃথিবীর সমস্যার সমাধান নিহিত।

      Delete
    8. আপনার মতামতের জন্যে ধন্যবাদ।

      বর্তমান বাস্তবতা যদি চিন্তার ভিত্তি হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন কিছুই বলা সম্ভব নয়। বাস্তবতা থেকে কথা বললে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝে ১৯৪০-৪১ সালে জার্মানিকেই দুনিয়ার সুপারপাওয়ার মনে হয়েছিল; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকে কিছুই মনে হবার কথা নয়। আবার ১৯৯০ সালে সোভিয়েত পতনের পর বাস্তবতা থেকে চিন্তা করলে বোঝা মুশকিল ছিল যে তিন দশকের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিতে পড়বে। বাস্তবতা চিন্তার ভিত হলে তিন দশক আগে চীনকে নিয়ে কারুর চিন্তাই করার কথা ছিল না। আপনি এখন চীনকে নিয়ে কথা বলছেন কারণ চীন গত তিন দশকে একটা অবস্থানে এসেছে বলে; নাহলে বলতেন না। বাংলাদেশ নিয়েও আমরা এখানে কথা বলতাম না।

      ভূরাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বর্তমান বাস্তবতার উপর নির্ভরশীল নয়; বরং তা ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের চিন্তাগত অবস্থানের উপর নির্ভরশীল। উপরের আলোচনা সেই চিন্তাগত ভিত্তিকে নিয়েই; বাস্তবতাকে ঘিরে নয়।

      Delete
    9. আর সিরিয়া নিয়ে একটা লেখা পোস্ট হয়েছে; আশা করি সেটা আপনার আকাংক্ষা মেটাতে সহায়তা করবে। ইস্রাইল নিয়েও লেখা আসবে ভবিষ্যতে আশা রাখি; বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নগামিতা ইস্রাইলের অবস্থানকে নতুন ভিত্তির উপর রাখতে বাধ্য করছে।

      Delete