গত ২৭শে জানুয়ারি মার্কিন স্টক মার্কেটে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির শেয়ার মূল্যে ব্যাপক ধ্বস নেমে আসে। 'সিএনএন' বলছে যে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির এই ধ্বসের কারণ হলো এর আগে ২০শে জানুয়ারি চীনা 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' বা 'এআই' কোম্পানি 'ডীপসীক'এর নতুন প্রকল্পের উদ্ভোধন; যা নাম হলো ‘আর১'। এটা একটা 'এআই'; যা কিনা মার্কিন কোম্পানি 'ওপেনএআই'এর ডেভেলপ করা 'চ্যাটজিপিটি'এর প্রায় সমকক্ষ। মার্কিন কোম্পানি 'ওপেনএআই', ‘গুগল' বা 'মেটা' যত খরচ করে 'এইআই' ডেভেলপ করছে, চীনা কোম্পানি 'ডীপসীক' তাদের তুলনায় অত্যন্ত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র খরচে 'এইআই' ডেভেলপ করেছে। এর পেছনে যে পরিমাণ কম্পিউটিং সক্ষমতা প্রয়োজন হয়েছে, তা মাত্র ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। অপরদিকে মার্কিন কোম্পানিগুলি 'এআই' ডেভেলপ করতে গিয়ে কয়েক'শ মিলিয়ন কিংবা বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। কিছুদিন আগেই 'ফেইসবুক'এর মূল কোম্পানি 'মেটা' জানায় যে, তারা ২০২৫ সালে 'এআই' ডেভেলপ করার পেছনে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করবে। আর গত বছর 'ওপেনএআই'এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেছিলেন যে, মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে 'এআই' ডেভেলপ করতে। এই অর্থ খরচ করতে হবে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সেমিকন্ডাক্টর ডেভেলপ করতে, বড় বড় ডাটা সেন্টার তৈরি করতে, এবং সেগুলি পরিচালনার জন্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে।
২৭শে জানুয়ারি এক দিনে 'এআই'এর জন্যে সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি 'এনভিডিয়া'র শেয়ারের মূল্য প্রায় ১৭ শতাংশ পড়ে যায়। এর ফলে কোম্পানির মূল্যমান এক দিনে ৫শ ৮৯ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে! ‘সিএনএন' বলছে যে, মার্কিন মুল্লুকে মাত্র ১৩টা কোম্পানি রয়েছে, যেগুলির সর্বসাকুল্যে মূল্য ৬'শ বিলিয়ন ডলার বা তার চাইতে বেশি। 'এনভিডিয়া' এক দিনেই সমপরিমাণ মূল্য হারিয়েছে! এটা ছিল মার্কিন স্টক মার্কেটের ইতিহাসে কোন কোম্পানির একদিনে হারানো সর্বোচ্চ মূল্য। 'এনভিডিয়া'র ধ্বসের কারণে 'মেটা' (ফেইসবুক), ‘এলফাবেট' (গুগল), ‘মারভেল', ‘ব্রডকম', ‘মাইক্রন', 'টিএসএমসি', ‘ওরাকল', ‘ভারটিভ', ‘কন্সটেলেশন', ‘নিউস্কেল' ছাড়াও ডাটা সেন্টার কোম্পানিগুলির শেয়ারমূল্যও পড়ে যায়।
‘ডীপসীক' ‘এআই' আসলে কি?
‘এআই'এর কাজের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে 'বিবিসি' বলছে যে, ‘এআই' হলো এমন একটা প্রযুক্তি, যা প্রচুর তথ্য থেকে শেখার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে। 'এআই' তথ্যের মাঝ থেকে প্যাটার্ন বের করে। এর ফলাফল হলো একটা সফটওয়্যার, যা কিনা মানুষের মতোই আচরণ করে এবং বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের কর্মকান্ডের পূর্বাভাস দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের সাথে চ্যাট করার 'এআই' 'চ্যাটজিপিটি' নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। 'ডীপসীক' এমনই একটা 'এআই'। এটা অনলাইনে থাকা তথ্য থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন কনটেন্ট তৈরি করে। তবে তথ্যের মাঝে মিথ্যা কিছু থাকলে 'এআই' সেগুলি আলাদা করতে পারে না। বর্তমানকালে 'চ্যাটজিপিটি' ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ ইমেইল লিখছে, লেখার সারমর্ম তৈরি করছে, অথবা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিচ্ছে। 'বিবিসি' মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, চীনাদের 'এআই'গুলি, যেমন 'বাইডু'র ডেভেলপ করা 'আরনি' অথবা 'বাইটড্যান্স'এর ডেভেলপ করা 'ডুবাও' চীনা সরকারের নীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলে। যেসকল ব্যাপার চীনা সরকার পছন্দ করে না, সেগুলির ব্যাপারে তাদের 'এআই'গুলি উত্তর এড়িয়ে চলে। যেমন, ১৯৮৯ সালের ৪ঠা জুনে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করার পর 'ডীপসীক' উত্তর এড়িয়ে যায়।
‘ডীপসীক'এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং 'ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি' থেকে তথ্য প্রযুক্তিতে ডিগ্রি নিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি 'হাই-ফ্লাইয়ার' নামের একটা ফিনানশিয়াং কনসালটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যা কিনা 'এআই'এর মাধ্যমে ফিনানশিয়াল তথ্য গবেষণা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয়। এই কাজটাকে 'কোয়ান্টিটেটিভ ট্রেডিং' বলা হয়ে থাকে। এক সাক্ষাৎকারে ওয়েনফেং বলছেন যে, অনেকেই বলে যে, চীনারা মার্কিনীদের থেকে এক-দুই বছর পিছিয়ে আছে। প্রকৃতপক্ষে এই পিছিয়ে থাকা হলো কপি করা বা নতুন কিছু করে দেখানোর ক্ষেত্রে। তিনি বলেন যে, এই মনমাসকিতার পরিবর্তন না হলে চীনারা শুধুমাত্র অনুসারীই রয়ে যাবে।
চীন-মার্কিন প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা
'সিএনএন' মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, চীনারা এরূপ 'এআই' ডেভেলপ করতে সক্ষম হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরে তার সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সেমিকন্ডাক্টর চীনের কাছে বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এর অর্থ হলো, ‘ডীপসীক' অপেক্ষাকৃত কম শক্তির সেমিকন্ডার দিয়েই এরূপ শক্তিশালী 'এআই' ডেভেলপ করতে সক্ষম হয়েছে। 'বিবিসি' বলছে যে, প্রযুক্তিগত শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে নিয়ন্ত্রণে রাখার যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্বের মাঝে একটা হলো 'এআই'। চীনারা এখন কাপড় ও ফার্নিচারের ব্যবসা থেকে প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে, যার মাঝে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক গাড়ি ও 'এআই'।
ফিনানশিয়াল কোম্পানি 'ট্রুইস্ট'এর বিশ্লেষক কীথ লারনার 'সিএনএন'কে বলছেন যে, বাকি বিশ্ব থেকে মার্কিনীদের এগিয়ে থাকার পিছনে সবচাইতে বড় ফ্যাক্টরটাই ছিল তাদের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি। আর এই প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির এগিয়ে থাকার কারণ হলো 'এআই' প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা। 'ডীপসীক'এর উদ্ভোধনের পর বিনিয়োগকারীরা মার্কিন কোম্পানিগুলির এগিয়ে থাকার ব্যাপারটা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। তারা এ-ও বলছেন যে, ‘এআই'এর পেছনে সত্যিই কি এতো খরচ করার প্রয়োজন রয়েছে কিনা; অথবা এতো খরচের পর সেটা অতিরিক্ত খরচে রূপ নেবে কিনা। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক 'সাক্সো'র প্রধান কৌশলী চারু চানানা 'সিএনএন'কে বলছেন যে, ভূরাজনৈতিক দুশ্চিন্তা এবং কম চাহিদার কারণে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির শেয়ার অনেক কম মূল্যে কেনাবেচা হচ্ছে। 'ডীপসীক'এর উদ্ভোধনের পর চীনা 'এআই' কোম্পানিগুলির দিকে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকতে পারে।
‘বিবিসি' বলছে যে, ‘ডীপসীক'এর প্রতিষ্ঠাতা খুব সম্ভবতঃ 'এনভিডিয়া'র তৈরি 'এ১০০' সেমিকন্ডাক্টর চিপ মজুত করেছিলেন, যেগুলি যুক্তরাষ্ট্র চীনে রপ্তানি করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কোন কোন বিশ্লেষক মনে করছেন যে, তিনি ৫০ হাজার চিপ যোগার করে সেগুলির সাথে অপেক্ষাকৃত কম খরচের এবং কম সক্ষমতার চিপকে ব্যবহার করেছেন। 'কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ'এর বিশ্লেষক ওয়েই সান 'বিবিসি'কে বলছেন যে, ‘ডীপসীক' প্রমাণ করেছে যে, স্বল্প কম্পিউটিং সক্ষমতা ব্যবহার করেই উন্নত ‘এআই' ডেভেলপ করা সম্ভব। এখন 'ওপেনএআই'এর ১৫৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যমান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এর খরচের উপর লাভ করা যাবে কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়।
চীনারা 'এআই'তে কতটা অগ্রগামী হয়েছে?
'সিএনবিসি'র প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, চীনা কোম্পানি 'বাইডু' ডেভেলপ করেছে 'ওয়েনকু' প্ল্যাটফর্ম; যা কিনা তথ্য দিলে পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড বা অন্যান্য ডকুমেন্ট তৈরি করে দিতে সক্ষম। এই সার্ভিসের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪ কোটি ছুঁয়েছে; যার ফলে এর আয় এক বছরে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'গার্টনার'এর ডিরেক্টর বেন ইয়ান 'সিএনবিসি'কে বলছেন যে, প্রায় ১০ শতাংশ চীনা কোম্পানি বর্তমানে 'এআই' ব্যবহার করছে। মাত্র ৬ মাস আগেও এটা ছিল ৮ শতাংশ। কিছু চীনা কোম্পানি 'এআই' এজেন্ট ডেভেলপ করছে; যা কিনা মানুষের হয়ে কিছু কাজ করে দেবে, যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারও থাকবে; যেমন রেস্টুরেন্টে সীট বুকিং দেয়া। চীনা ফিনানশিয়াল কোম্পানি 'র্যাফলস ফামিলি অফিস'এর জো হুয়াং 'সিএনবিসি'কে বলছেন যে, চীনা 'এআই' সেক্টর মার্কিনীদের সমান তালে উন্নয়ন করছে। চীনা কোম্পানি 'আলীবাবা'র আন্তর্জাতিক অংশ 'একসিও' গত নভেম্বরে চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিছু শব্দ বা ছবি দিয়ে সার্চ করে পাইকারি দরের পণ্য খুঁজে পেতে পারে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৫ লক্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর থেকে সুবিধা পেতে শুরু করেছে। 'একসিও' ব্যবসায়ীদেরকে এরূপ ধারণাও দেয় যে, এই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে পণ্যের চাহিদা কতো হতে পারে এবং ব্যবসায় সম্ভাব্য লাভ কত হতে পারে। 'একসিও' কয়েক সপ্তাহের গবেষণার সময়কে এক দিন বা এরও কম সময়ে নামিয়ে নিয়ে এসেছে বলে বলছেন এর একজন মার্কিন সুবিধাভোগী। তিনি বলছেন যে, তিনি আর আগে ‘আলীবাবা' বা 'আমাজন' ব্যবহার করতেন, যা শতশত বা হাজারো সার্চ ফলাফল সামনে নিয়ে আসে এবং ৫টা থেকে ১০টা কোম্পানির সাথে আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত একটার সাথে কাজ করার অবস্থানে নিয়ে আসে। পরবর্তী জেনারেশনের 'এআই' হয়তো পণ্যের একটা ছবি দিলে সেটা দিয়ে একটা বিজ্ঞাপণ তৈরি করে দিতে সক্ষম হবে!
ফিনানশিয়াল কোম্পানি 'থার্ড সেভেন ক্যাপিটাল'এর কৌশলী মাইকেল ব্লক 'সিএনএন'কে বলছেন যে, ‘ডীপসীক' যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে কত বড় হুমকি তৈরি করেছে, সেটা সময়ই বলে দেবে। আর এটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে, মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি চীনাদের অগ্রগামিতা দেখে কি ব্যবস্থা নিতে পারবে। তথাপি, একটা চীনা কোম্পানি দাবি করেছে যে, তারা অতি কম খরচে 'এআই' ডেভেলপ করেছে; কেউ সেটার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এছাড়াও 'এআই'এর আরও যেসকল উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য রয়েছে, সেগুলি চীনারা 'এআই' অবকাঠামোতে কতটা কম বিনিয়োগ করে ডেভেলপ করতে পারবে, সেটাও এখনও নিশ্চিত নয়। বাজার গবেষণা সংস্থা 'রিফ্লেস্কিভিটি'র প্রেসিডেন্ট গুইসেপ সেটে-এর মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও ট্যালেন্ট ও পুঁজির ক্ষেত্রে দুনিয়ার নেতৃত্বে রয়েছে। এবং একারণেই এটা আশা করাই যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকেই এমন 'এআই' আসবে, যা কিনা নিজেকে নিজে উন্নয়ন করতে সক্ষম।
‘ডীপসীক'এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং গত বছর এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, চীনের 'এআই' সেক্টর সারাজীবন মার্কিনীদের অনুসারী হয়ে থাকতে পারে না। 'ডীপসীক' নিয়ে পশ্চিমাদের অবাক হবার ব্যাপারটা হলো, তারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে, চীনারা অনুসারী না হয়ে আবিষ্কারকদের খেলায় নাম লিখিয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগকারী এবং নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন সমর্থক মার্ক আন্দ্রেসসেন সোশাল মিডিয়া 'এক্স'এর এক বার্তায় চীনা 'এআই'এর ব্যাপক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে, প্রযুক্তিগত এমন উৎকর্ষতা তিনি এর আগে দেখেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন যে, এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে জেগে ওঠার বার্তা; মার্কিন কোম্পানিগুলিকে এখন জেতার জন্যে প্রতিযোগিতা করতে হবে। 'বিবিসি' বলছে যে, চীনা সরকারি মিডিয়াতে ইতোমধ্যেই হাইলাইট করা হচ্ছে যে, ‘ডীপসীক' উদ্ভোধনের পর সিলিকন ভ্যালি ও ওয়াল স্ট্রীটের বিনিয়োগকারীদের ঘুম নষ্ট হয়েছে। 'ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি সিডনি'র এসোসিয়েট প্রফেসর মারিনা ঝাং 'বিবিসি'কে বলছেন যে, চীনে 'ডীপসীক'এর ডেভেলপ করাকে দেখা হচ্ছে চীনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে। তবে এই চিন্তাধারা বৈশ্বিকভাবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনাদেরকে পশ্চিমাদের থেকে আলাদা করে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।
No comments:
Post a Comment