২৩শে ডিসেম্বর ২০১৬
কয়েক যুগ ধরে পশ্চিমের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখেছে বাংলাদেশসহ তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি। এদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে পাশ করা মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর দলে দলে পাড়ি জমিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলিতে। তাদের প্রযুক্তিগত গবেষণায় যেসকল স্থানে মেধাবী লোকের অভাব ছিল, সেসব স্থান পূরণ করেছে বাংলাদেশের তরুণরা। পশ্চিমের জনসংখ্যা বহুদিন ধরেই স্থবির রয়েছে। এমতাবস্থায় সেই দেশগুলির পক্ষে মেধাবী কেন, যেকোন ধরনের মানবসম্পদ তৈরি করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসম্পদ ছাড়া বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থানও তারা হারাতে বসেছে। রোবোট মানুষের স্থলাভিষিক্ত হলেও সে তার সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেই পরিপালন করে। কাজেই সংখ্যা এবং মানের দিক থেকে মানবসম্পদের নিম্নমুখী অবস্থানের কারণে রোবোট সৃষ্টি করার সক্ষমতাতেও ঘাটতি আসতে বাধ্য। আর যেহেতু দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো সক্ষমতা অর্জনে সামরিক সক্ষমতার কোন বিকল্প নেই, কাজেই সেক্ষেত্রে মানবসম্পদ কমানো যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে মানবসম্পদ কমানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজটিই পশ্চিমা দেশগুলি আজ করতে বাধ্য হচ্ছে; রোবোটের উপরে ঝুঁকতে হচ্ছে প্রয়োজনের চাইতে বেশি। প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ লোকদেরকে বেশি বেশি করে দরকার হচ্ছে; বেশি করে লাগছে পাইলটবিহীন ড্রোন অপারেটর; লাগছে রাডার, সোনার, ইলেকট্রনিক্স কাউন্টারমেজার, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন টেকনোলজি অপারেট করতে পারার মতো লোক; যুদ্ধবিমান-যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কের অভ্যন্তরের মাল্টি-ফাংশন ডিসপ্লে বুঝে উঠতে পারার মতো লোক; স্মার্ট বোমা বোঝার মতো লোক, ইত্যাদি। তবে প্রযুক্তিগত এই সকল যন্ত্রপাতি ডিজাইন এবং ম্যানুফ্যাকচারিং-এ লাগছে সবচাইতে মেধাবী লোকগুলি, যেখানে জনসংখ্যা স্থবিরতার কারণে চলছে এক বিশাল শূণ্যতা। ঠিক এই স্থানটিতেই, অর্থাৎ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতেই বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানেরা মোটা টাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তিগত এবং সামরিক সক্ষমতার মূলটিই এখানে। এখানেই ‘লাল-সবুজ’ ম্লান হয়েছে, আর পতপত করে উড়েছে ‘স্টারস এন্ড স্ট্রাইপস’ – কারুর অন্তরে ব্যাথা লাগেনি; বরং এগুলিকে ‘দেশ’এর গর্ব বলেই প্রচার করা হয়েছে। অথচ পশ্চিমে অনেকদিন আগে থেকেই মুসলিম দেশগুলির সক্ষমতা কর্তন করার জন্যে কথা বলা হচ্ছিল, যা কিনা এদেশের মানুষ জানেই না!
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এখন এশিয়ার যুগ চলছে। কিন্তু শুধু অর্থনীতিতে পেটের খোরাকই মিলবে, অন্য কিছু নয়। একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র তৈরির স্বপ্ন কোনদিনও বাস্তবায়ন হবে না। “পাওয়ারফুল আগামীর অদম্য বাংলাদেশ” তৈরি করতে হলে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। সেমিকনডাকটর, স্যাটেলাইট টেকনলজি, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক্স, পেট্রোকেমিক্যালস, মেটালার্জি, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালস, ইত্যাদি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় এখনই। সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগীর অভাব নেই, যারা চেয়ে চেয়ে দেখবে না। প্রযুক্তিগত উতকর্ষ সাধনে শুধু প্রযুক্তি কেনার ব্যবস্থা করলেই চলবে না; প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেবার মতো জনশক্তি প্রয়োজন। ঠিক যে কাজটি এতোদিন পশ্চিমা দেশগুলি করেছে, সেটাই এখন করতে হবে এখানে – মেধাবী লোকগুলিকে ব্যবহার করতে হবে। টাকার বিনিময়ে মেধা বিক্রির মতো সস্তা চিন্তা থেকে বের হবার সময় এখন এসেছে। অর্থের বিনিময়ে স্থবির অর্থনীতির অংশীদার হওয়া নয়, বরং একুশ শতকের বাঘের গর্জনে গলা মেলানোর সুযোগ পাওয়াটাই হওয়া উচিত স্বপ্ন। অনেক মেধাবীরা এই সুযোগ হারাবেন; আবার সেরা মেধাবী না হয়েও অনেকে সময়মতো ট্রেনে চেপে বসার কারণে গন্তব্যে পৌঁছবেন।
২০৩০ সালের বাংলাদেশের সাথে আজকের বাংলাদেশের কোন মিল থাকবে না। যারা সেই দিনটিকে দেখতে পাচ্ছেন, তাদের কাছে এই মুহুর্তের প্রযুক্তির উতকর্ষতা সাধন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। মেধা এক্সপোর্ট অনেক হয়েছে; এবারে উলটো ফ্লাইট ধরার সময় হয়েছে। ভারত মহাসাগর অনেক বিশাল এবং গভীর; হিমালয় পর্বত বহু উঁচু; এশিয়া এবং আফ্রিকার ভূমি অকল্পনীয় বিশাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ – এই সকলকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশ। এই আহ্বান যারা শুনতে পাবেন এবং অন্তরে অনুভব করবেন, তারাই একুশ শতকের সেই বাঘ।
কয়েক যুগ ধরে পশ্চিমের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখেছে বাংলাদেশসহ তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি। এদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে পাশ করা মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর দলে দলে পাড়ি জমিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলিতে। তাদের প্রযুক্তিগত গবেষণায় যেসকল স্থানে মেধাবী লোকের অভাব ছিল, সেসব স্থান পূরণ করেছে বাংলাদেশের তরুণরা। পশ্চিমের জনসংখ্যা বহুদিন ধরেই স্থবির রয়েছে। এমতাবস্থায় সেই দেশগুলির পক্ষে মেধাবী কেন, যেকোন ধরনের মানবসম্পদ তৈরি করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসম্পদ ছাড়া বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো অবস্থানও তারা হারাতে বসেছে। রোবোট মানুষের স্থলাভিষিক্ত হলেও সে তার সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেই পরিপালন করে। কাজেই সংখ্যা এবং মানের দিক থেকে মানবসম্পদের নিম্নমুখী অবস্থানের কারণে রোবোট সৃষ্টি করার সক্ষমতাতেও ঘাটতি আসতে বাধ্য। আর যেহেতু দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো সক্ষমতা অর্জনে সামরিক সক্ষমতার কোন বিকল্প নেই, কাজেই সেক্ষেত্রে মানবসম্পদ কমানো যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে মানবসম্পদ কমানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজটিই পশ্চিমা দেশগুলি আজ করতে বাধ্য হচ্ছে; রোবোটের উপরে ঝুঁকতে হচ্ছে প্রয়োজনের চাইতে বেশি। প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ লোকদেরকে বেশি বেশি করে দরকার হচ্ছে; বেশি করে লাগছে পাইলটবিহীন ড্রোন অপারেটর; লাগছে রাডার, সোনার, ইলেকট্রনিক্স কাউন্টারমেজার, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন টেকনোলজি অপারেট করতে পারার মতো লোক; যুদ্ধবিমান-যুদ্ধজাহাজ-ট্যাঙ্কের অভ্যন্তরের মাল্টি-ফাংশন ডিসপ্লে বুঝে উঠতে পারার মতো লোক; স্মার্ট বোমা বোঝার মতো লোক, ইত্যাদি। তবে প্রযুক্তিগত এই সকল যন্ত্রপাতি ডিজাইন এবং ম্যানুফ্যাকচারিং-এ লাগছে সবচাইতে মেধাবী লোকগুলি, যেখানে জনসংখ্যা স্থবিরতার কারণে চলছে এক বিশাল শূণ্যতা। ঠিক এই স্থানটিতেই, অর্থাৎ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতেই বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানেরা মোটা টাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তিগত এবং সামরিক সক্ষমতার মূলটিই এখানে। এখানেই ‘লাল-সবুজ’ ম্লান হয়েছে, আর পতপত করে উড়েছে ‘স্টারস এন্ড স্ট্রাইপস’ – কারুর অন্তরে ব্যাথা লাগেনি; বরং এগুলিকে ‘দেশ’এর গর্ব বলেই প্রচার করা হয়েছে। অথচ পশ্চিমে অনেকদিন আগে থেকেই মুসলিম দেশগুলির সক্ষমতা কর্তন করার জন্যে কথা বলা হচ্ছিল, যা কিনা এদেশের মানুষ জানেই না!
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এখন এশিয়ার যুগ চলছে। কিন্তু শুধু অর্থনীতিতে পেটের খোরাকই মিলবে, অন্য কিছু নয়। একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র তৈরির স্বপ্ন কোনদিনও বাস্তবায়ন হবে না। “পাওয়ারফুল আগামীর অদম্য বাংলাদেশ” তৈরি করতে হলে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। সেমিকনডাকটর, স্যাটেলাইট টেকনলজি, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক্স, পেট্রোকেমিক্যালস, মেটালার্জি, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালস, ইত্যাদি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় এখনই। সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগীর অভাব নেই, যারা চেয়ে চেয়ে দেখবে না। প্রযুক্তিগত উতকর্ষ সাধনে শুধু প্রযুক্তি কেনার ব্যবস্থা করলেই চলবে না; প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেবার মতো জনশক্তি প্রয়োজন। ঠিক যে কাজটি এতোদিন পশ্চিমা দেশগুলি করেছে, সেটাই এখন করতে হবে এখানে – মেধাবী লোকগুলিকে ব্যবহার করতে হবে। টাকার বিনিময়ে মেধা বিক্রির মতো সস্তা চিন্তা থেকে বের হবার সময় এখন এসেছে। অর্থের বিনিময়ে স্থবির অর্থনীতির অংশীদার হওয়া নয়, বরং একুশ শতকের বাঘের গর্জনে গলা মেলানোর সুযোগ পাওয়াটাই হওয়া উচিত স্বপ্ন। অনেক মেধাবীরা এই সুযোগ হারাবেন; আবার সেরা মেধাবী না হয়েও অনেকে সময়মতো ট্রেনে চেপে বসার কারণে গন্তব্যে পৌঁছবেন।
২০৩০ সালের বাংলাদেশের সাথে আজকের বাংলাদেশের কোন মিল থাকবে না। যারা সেই দিনটিকে দেখতে পাচ্ছেন, তাদের কাছে এই মুহুর্তের প্রযুক্তির উতকর্ষতা সাধন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। মেধা এক্সপোর্ট অনেক হয়েছে; এবারে উলটো ফ্লাইট ধরার সময় হয়েছে। ভারত মহাসাগর অনেক বিশাল এবং গভীর; হিমালয় পর্বত বহু উঁচু; এশিয়া এবং আফ্রিকার ভূমি অকল্পনীয় বিশাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ – এই সকলকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশ। এই আহ্বান যারা শুনতে পাবেন এবং অন্তরে অনুভব করবেন, তারাই একুশ শতকের সেই বাঘ।
একমত, আমি আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত।
ReplyDelete