Saturday, 28 July 2018

যুদ্ধ এক – অস্ত্র অনেক, কেন?

২৮শে জুলাই ২০১৮


  
ডিঙ্গো নামের এই কুকুর-পরিবারের প্রাণীটি অস্ট্রেলিয়ার স্থলভাগে সবচাইতে ভয়ংকর স্তন্যপায়ী প্রাণী। অস্ট্রেলিয়াতে বনের রাজা হতে হলে ডিঙ্গো হলেই চলবে, যদিও সুন্দরবনে হতে হবে টাইগার বা আফ্রিকায় হতে হবে লায়ন।


বনের রাজা কে?


অস্ট্রেলিয়া একটা মহাদেশ হলেও তা মূলতঃ একতা বিশাল দ্বীপ; এবং বাকি দুনিয়া থেকে সমুদ্র দ্বারা আলাদা। অস্ট্রেলিয়ার সবচাইতে মারাত্মক প্রাণী কোনটা – এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে কুমীর, হাঙ্গর, সাপ, জেলিফিশ, আক্টোপাস, মৌমাছি, মাকড়ষা, পিঁপড়া, ইত্যাদির নাম আসবে। এখানে স্থলভাগের বড় কোন জন্তুর নাম আসবে না সহজে, কারণ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচাইতে ভয়ঙ্কর স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো ডিঙ্গো নামের কুকুর-পরিবারের একটা জন্তু। ফেরাল ক্যাট নামের একটা বিড়াল আছে, যা পাখি ধরে খায়। কিন্তু সেখানে বড় কোন বিড়াল নেই – যেমন বাঘ বা সিংহ বা চিতা বা লেপার্ড। সেখানে বনে রাজা বড় কোন পশু নয়। ডিঙ্গোর মতো প্রাণী আফ্রিকা বা আমাজন বা সুন্দরবনে হয়তো টিকতে পারবে না; তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাকে হারাবার কেউ নেই। একেকটা জঙ্গলের বাস্তবতা একেক রকম। মূলকথা, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বনের রাজা হতে টাইগার বা লায়ন হবার দরকার নেই। এই হিসেবটা জঙ্গলের বাইরের জঙ্গলেও প্রচলিত। কারণ সবগুলি একই সৃষ্টির অংশ।
 
   
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইউরোপের আকাশে ব্রিটিশ হকার হারিকেন বিমানগুলি খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঠিকই চালিয়ে নিয়েছিল। এই বিমানের গতি (ঘন্টায় ৫৩১ কিঃমিঃ) জাপানি জেরো ফাইটারের কাছাকাছি ছিলো (৫৩৩ কিঃমিঃ থেকে ৫৬৫ কিঃমিঃ)।


বিশ্বযুদ্ধে আকাশের রাজত্ব কে করেছে?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একেক যুদ্ধক্ষেত্রে একেক ধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হয়েছিল। ইউরোপের যুদ্ধক্ষেত্রে জার্মান বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব ব্রিটিশ-মার্কিন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল, জাপানের সাথে যুদ্ধে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সেগুলি মোতায়েন করা হয়নি। জার্মান বিমান বাহিনীর মূল ফাইটার বিমান ছিল মেশারস্মিট বিএফ-১০৯, যে বিমানের সর্বোচ্চ গতি একসময় ঘন্টায় ৪৭০ কিঃমিঃ থাকলেও খুব দ্রুতই পরের ভার্সনের বিমানগুলির গতি ৫৬০ কিঃমিঃ পার হয়ে ৬২৪ কিঃমিঃ, এমনকি ৭২৯ কিঃমিঃ পর্যন্ত যায়। বিএফ-১০৯-এর সাথে আরেকটা ফাইটার বিমান ফকে-উলফ এফডব্লিউ-১৯০ প্রচুর তৈরি করা হয়েছিল, যার গতি ৬৫০ কিঃমিঃ থেকে ৬৮৫ কিঃমিঃ পর্যন্ত ছিল। এই বিমানগুলিকে মোকাবিলা করার জন্যে ব্রিটিশদেশ হকার হারিকেন বিমানগুলির গতি ছিল ৫১৯ কিঃমিঃ থেকে ৫৩১ কিঃমিঃ পর্যন্ত; অর্থাৎ জার্মান বিমানগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হেরে যাবার সম্ভাবনা এর ছিল বেশি। ব্রিটিশরা তাই দ্রুত সুপারম্যারিন স্পিটফায়ার বিমানের উৎপাদন বাড়িয়েছিল, যার গতি ছিল ঘন্টায় ৬০২ কিঃমিঃ থেকে ৭২১ কিঃমিঃ পর্যন্ত। কিন্তু স্পিটফায়ারগুলি যথেষ্ট সংখ্যায় তৈরি করতে সময় লেগেছিল। স্পিটফায়ারের কারখানাগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে করতে যে সময় লেগেছিল, সেসময়ে হারিকেনগুলিই ঠেকনা দিয়েছিল। যখন স্পিটফায়ারগুলি যথেষ্ট সংখ্যায় পাওয়া যেতে থাকলো, তখন হারিকেনগুলিকে অন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাবার ব্যবস্থা করা হয় – যেমন আফ্রিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।

প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের মূল যুদ্ধবিমান ছিল মিতসুবিসি এ-৬এম ‘জেরো’। এর গতি ৫৩৩ কিঃমিঃ থেকে ৫৬৫ কিঃমিঃ-এর মতো ছিল; অর্থাৎ ৬০০ কিঃমিঃ-এর নিচে। ব্রিটিশরা এই যুদ্ধক্ষেত্রে হারিকেনগুলিকে পাঠিয়েছিল আর মার্কিনীরা পাঠিয়েছিল কার্টিস পি-৪০ (৫২০ কিঃমিঃ থেকে ৫৬৩ কিঃমিঃ), বেল পি-৩৯ এয়ারাকোবরা (৬১২ কিঃমিঃ), গ্রুম্মান এফ-৪এফ ওয়াইল্ডক্যাট (৫৩৩ কিঃমিঃ) এবং গ্রুম্মান এফ-৬এফ হেলক্যাট (৬১২ কিঃমিঃ)। পরবর্তীতে ভট এফ-৪ইউ কর্সেয়ার বিমানগুলি (৬৭১ কিঃমিঃ থেকে ৭১৮ কিঃমিঃ) গতিকে আরও এগিয়ে নেয়। কর্সেয়ার ছাড়া বাকি বিমানগুলির গতি ছিল ৬৫০ কিঃমিঃ-এর নিচে; তবে তারপরেও বিমানগুলি জাপানি জেরো ফাইটারের সাথে যুদ্ধ করে জিততে পারতো। অন্যদিকে ৬৫০ কিঃমিঃ ইউরোপের যুদ্ধ জেতার জন্যে যথেষ্ট ছিল না। মার্কিনীরা ইউরোপে তিনটা ফাইটার বিমান ব্যবহার করেছিল – নর্থ আমেরিকান পি-৫১ মাসট্যাং (৬২৪ কিঃমিঃ থেকে ৭০৩ কিঃমিঃ), রিপাবলিক পি-৪৭ থান্ডারবোল্ট (৬৯০ কিঃমিঃ থেকে ৬৯৭ কিঃমিঃ) এবং লকহিড পি-৩৮ লাইটনিং (৬৩৬ কিঃমিঃ থেকে ৬৭৬ কিঃমিঃ)। এই বিমানগুলির গতি ছিল মোটামুটিভাবে ৬৫০ কিঃমিঃ থেকে ৭০০ কিঃমিঃ-এর মতো। আর তাই এই বিমানগুলি জার্মান বিমান বাহিনীর বারোটা বাজাতে যথেষ্ট সহায়ক হয়েছিল।
   
  
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত কার্টিস পি-৪০ বিমান। এই বিমানে ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছিল ১,২০০ হর্সপাওয়ারের রাইট, অথবা ১,০৫০ থেকে ১,২০০ হর্সপাওয়াররের প্র্যাট এন্ড হুইটনি, অথবা ১,১৫০ হর্সপাওয়ারের এলিসন, অথবা ১,৩০০ থেকে ১,৩২৫ হর্সপাওয়ারের প্যাকার্ড। অর্থাৎ যে ইঞ্জিন পাওয়া গিয়েছিল, সেটাই ব্যবহৃত হয়েছিল এতে। বেশি শক্তিশালী (১,৫০০ থেকে ২,০০০ হর্সপাওয়ার) ইঞ্জিনগুলি ইউরোপের যুদ্ধক্ষেত্রের বিমানগুলির জন্যে দেয়া হচ্ছিলো।  


ইঞ্জিনের উৎপাদন বনাম বিমানের উৎপাদন

পি-৫১-এ ব্যবহৃত হয়েছিল ১,৫২০ থেকে ১,৬৫০ হর্সপাওয়ারের এলিসন ইঞ্জিন; পি-৪৭-এ ব্যবহৃত হয়েছিল ২,০০০ থেকে ২,৫৩৫ হর্সপাওয়ারের প্র্যাট এন্ড হুইটনি ইঞ্জিন; আর পি-৩৮-এ ব্যবহৃত হয়েছিল ১,২২৫ থেকে ১,৬০০ হর্সপাওয়ারের দুইটা এলিসন ইঞ্জিন। বাকি বিমানগুলিতে ব্যবহৃত হয়েছিল – পি-৪০ (১,২০০ হর্সপাওয়ারের রাইট, অথবা ১,০৫০ থেকে ১,২০০ হর্সপাওয়াররের প্র্যাট এন্ড হুইটনি, অথবা ১,১৫০ হর্সপাওয়ারের এলিসন, অথবা ১,৩০০ থেকে ১,৩২৫ হর্সপাওয়ারের প্যাকার্ড), পি-৩৯ (১,১৫০ থেকে ১,৩২৫ হর্সপাওয়ারের এলিসন), এফ-৬এফ (২,০০০ থেকে ২,২০০ হর্সপাওয়ারের প্র্যাট এন্ড হুইটনি), এফ-৪ইউ (২,০০০ থেকে ২,৩০০ হর্সপাওয়াররের প্র্যাট এন্ড হুইটনি)। এখান থেকে যা পরিষ্কার হয় তা হলো, বিমানের ইঞ্জিনের উৎপাদনের সাথে বিমানের উৎপাদনের একতা সমন্বয় ঘটানো হয়েছিল। সবগুলি মডেলের ইঞ্জিন একই সংখ্যায় তৈরি করা যায়নি। কর্মক্ষমতা বাড়ানোটা যুদ্ধের সময়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে যায়। সেটা ধরে রাখতেই এক প্রকারের ইঞ্জিন বা এক প্রকারের বিমান তৈরি করা হয়নি। আর একারণেই ইউরোপে মার খাওয়া বিমান এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভালোই চালিয়ে নেয়া গিয়েছিল। পুরো ব্যাপারটা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচাইতে মারাত্মক প্রাণীর মতোই। ইউরোপে বনের রাজা হতে গতি দরকার ছিল ৬৫০ কিঃমিঃ থেকে ৭০০ কিঃমিঃ; অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগরে ৫৫০ কিঃমিঃ থেকে ৬০০ কিঃমিঃ-ই ছিল যথেষ্ট। একই যুদ্ধ; বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র!

http://www.airliners.net/photo/Mali-Air-Force/Embraer-A-29B-Super-Tucano-EMB-314/4115817
এমব্রায়ার-৩১৪ সুপার টুকানো বিমানগুলি আফ্রিকার বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে যেতে পারে, যদিও এশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে সুপারসনিক জেট বিমানের কাছে তা কিছুই নয়। মোটকথা যুদ্ধের সময় সকল যুদ্ধক্ষেত্রে সমহারে শক্তি মোতায়েন করা সম্ভব হবে না। তাই যেসব যুদ্ধাস্ত্র একেবারে বাতিল মনে হবে, সেটারও ব্যবহার দেখা যাবে অনেক যুদ্ধক্ষেত্রে।
   

হিসেব পুরোনো হলেও সর্বদাই কার্যকর

যুদ্ধ যে সময়েই হউক না কেন, এই হিসেবগুলি থাকবেই। পুরোনো ইঞ্জিনগুলির উৎপাদন হঠাতই পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে নতুন ইঞ্জিন তৈরি করা যাবে না। তাই পুরোনো ইঞ্জিন উৎপাদন চলবে; সেকারণে পুরোনো বিমানের উতপাদনও চলবে। যারা যুদ্ধ করবে, তারাও এই ব্যাপারটাকে খেয়ালে রাখবে। যে যুদ্ধক্ষেত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে বেশি শক্তিশালী এবং অপেক্ষাকৃত দামি বিমানগুলি দেয়া হবে। বাকিগুলিতে কম শক্তিশালী বিমান দিয়েই চালিয়ে নেয়া হবে।

আজকের এশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে হয়তো মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড হবে এফ-১৮ বা এফ-১৬ বা এফ-১৫। অন্যদিকে আফ্রিকায় এফ-৭, এফ-৫, মিরেজ-৩ বিমানগুলিও খারাপ করবে না। এমনকি এমব্রায়ার-৩১৪ সুপার টুকানো বা এয়ার ট্রাক্টর এটি-৮০২ বা আইওম্যাক্স আর্কেঞ্জেলের মতো প্রপেলার বিমানও চালিয়ে নেবে স্থানবিশেষে। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে যতদিন পর্যন্ত এলটিটিই-এর হাতে বিমান-ধ্বংসী মিসাইল পড়েনি, ততোদিন শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনী ইতালির সিয়াই মার্চেট্টি এসএফ-২৬০ এবং আর্জেন্টিনার আইএ-৫৮ পুকারার মতো বিমান দিয়েই চালাচ্ছিল। প্রথম মিসাইল হামলার পর থেকে শ্রীলংকার বিমান বাহিনী ইস্রাইলের আইএআই কাফির, রাশিয়ার মিগ-২৭ এবং চীনের এফ-৭ জেট বিমান কেনে।  


 
ক্যামেরুন নৌবাহিনীর চীনা নির্মিত প্যাট্রোল বোট CNS Le Ntem (P-108)। এই জাহাজের সামনে রয়েছে ৭৬ মিঃমিঃ কামান, যা কিনা ৪৭ মিটার একটা বোটের জন্যে বেশ শক্তিশালী কামান। আফ্রিকার গিনি উপকূলে ৭৬ মিঃমিঃ কামান একটা শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র। মিসাইল থাকলে তো আরও বেশি। এই কামানের কারণে একটা প্যাট্রোল বোটও গুরুত্বপূর্ণ একটা যুদ্ধজাহাজ। সকল যুদ্ধক্ষেত্রে রাজা হতে সমান শক্তির দরকার হয় না। তাই এক যুদ্ধ; অনেক যুদ্ধক্ষেত্র। এক যুদ্ধ; অনেক অস্ত্র।

নৌ অস্ত্রের ক্ষেত্রেও একই হিসাব চলবে। একস্থানে যেখানে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের মাঝে প্রতিযোগিতা হবে, সেখানে অন্যখানে প্যাট্রোল বোটই বনে যাবে রাজা। সেখানে কোন প্যাট্রোল বোটে কতো মিঃমিঃ ক্যালিবারের কামান রয়েছে, সেখানে প্রতিযোগিতা হবে। ৭৬ মিঃমিঃ কামান থাকলে উপরে থাকা যাবে; ১০০ মিঃমিঃ কামান আরও উপরে তুলবে; ১২৭ মিঃমিঃ কামান রাজা বানাবে! আর কারো কাছে মিসাইল থাকলেও সে হবে সেই বনের রাজা! সাপ্লাই কম থাকায় সে মিসাইল গুণে গুণে ব্যবহার করবে। ৩০ মিটার-৫০ মিটার জাহাজের মাঝে ১০০ মিটারের জাহাজ হবে কমান্ডশিপ। জাহাজে হেলিকপ্টার থাকলে তা হবে ট্রাম্পকার্ড।

মোটকথা যুদ্ধের সময় সকল যুদ্ধক্ষেত্রে সমহারে শক্তি মোতায়েন করা সম্ভব হবে না। তাই যেসব যুদ্ধাস্ত্র একেবারে বাতিল মনে হবে, সেটারও ব্যবহার দেখা যাবে অনেক যুদ্ধক্ষেত্রে। এবং যেহেতু কৌশলগত কারণে সেই যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করা যাবে না, তাই যুদ্ধ চালিয়ে নিতে অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী অস্ত্রই সেখানে চলবে।

এক যুদ্ধ; অনেক যুদ্ধক্ষেত্র। এক যুদ্ধ; অনেক অস্ত্র। সময় ভিন্ন; হিসেব এক।

4 comments:

  1. assalamualaikum

    ডিঙ্গো নামের এই কুকুর-পরিবারের প্রাণীটি অস্ট্রেলিয়ার স্থলভাগে সবচাইতে ভয়ংকর স্তন্যপায়ী প্রাণী। অস্ট্রেলিয়াতে বনের রাজা হতে হলে ডিঙ্গো হলেই চলবে, যদিও সুন্দরবনে হতে হবে টাইগার বা আফ্রিকায় হতে হবে লায়ন।
    its because of nature of the environment or situation or any other facts ? please give your thought
    any away nice article. hope for more with quality :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওয়ালাইকুমসালাম!

      বাংলাদেশের কেন নৌবাহিনী দরকার হচ্ছে? উজবেকিস্তানের নৌবাহিনী নেই কেন? আপনি বলতে পারেন যে বাংলাদেশের উপকূল রয়েছে; উজবেকিস্তানের নেই। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো পৃথিবীতে ভূমি অনেক থাকলেও তার খুব অল্প অংশই সমুদ্রের পাশে। এভাবে ভূমিকে ডিজাইন মানুষ করেনি। এখানে মূল বোঝার ব্যাপার হলো, মানুষ দুনিয়াটার ডিজাইন করেনি। অস্ট্রেলিয়া রাষ্ট্রের জন্ম ব্রিটিশরা দিলেও অস্ট্রেলিয়া দ্বীপ/মহাদেশ ব্রিটিশরা সৃষ্টি করেনি। ডিঙ্গো বা টাইগার বা লায়নের স্বপক্ষে অনেক যুক্তি দেয়া যাবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এই প্রাণিগুলির ডিজাইন ঐ স্থলভাগগুলির ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অর্থাৎ যিনি ডিজাইন করেছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন। যুক্তি দিয়ে এর সদুত্তর দেয়া যাবে না। যুক্তির বিপক্ষে যুক্তি আসতেই থাকবে।

      Delete
  2. তথ্যপূর্ণ আর্টিক্যাল। তবে মূল বিষয় হল যে সবশেষে উন্নত পরিকল্পনা ও সায়েন্স এবং টেকনলজিই যুদ্ধের রেসাল্ট নির্ণয় করে দেয়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যুদ্ধের ফলাফল ঠিক করবে ভূরাজনীতি। যুদ্ধক্ষেত্রের ফলাফল ঠিক করবে কৌশল, পরিকল্পনা এবং বাদবাকি। এটা সম্পর্কে ধারণা পেতে ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পর্কে এর আগের একটা লেখা থেকে পড়তে পারেন।

      http://koushol.blogspot.com/2016/03/ideological-war-our-readiness.html

      Delete