Thursday, 21 June 2018

‘এয়ারক্রাফট ফেরি’ আসলে কি জিনিস?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বব্যাপী এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছিল, যার মাধ্যমে ফ্যাক্টরি থেকে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে যুদ্ধক্ষেত্র পর্যন্ত নেয়া হয়। এই নেটওয়ার্ক সমুদ্রপথের বিপদগুলিকে এড়িয়ে চলে এবং একইসাথে দ্রুততম সময়ের মাঝে যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়।

২১শে জুন ২০১৮


বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিমান পরিবহন


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। উত্তর আমেরিকার বিমান কারখানাগুলি থেকে ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং এশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রগুলি পর্যন্ত বিমানগুলি কিভাবে নেয়া হবে? জার্মান সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ এবং লং-রেঞ্জ ম্যারিটাইম বোমারু বিমানগুলি ব্রিটেনকে অবরোধ দিয়ে রেখেছে। যেকোন জাহাজ ব্রিটেনের কাছে ঘেঁষতে গেলেই ডুবিয়ে দিচ্ছে জার্মানরা। এমতাবস্থায় যুদ্ধবিমানের মতো সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য কি জাহাজে পরিবহণ ঠিক হবে? এই চিন্তা থেকেই যুদ্ধবিমানগুলিকে উত্তর আমেরিকা থেকে উড়িয়ে ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া পর্যন্ত আনার ব্যবস্থা করা হয়। একটি রুট ছিল কানাডা-গ্রিনল্যান্ড-আইসল্যান্ড-স্কটল্যান্ড, যার মাধ্যমে বিমানগুলিকে ব্রিটেনে পাঠানো হতো। আরেকটা ছিল মার্কিন পশ্চিম উপকূল থেকে হাওয়াই দ্বীপ হয়ে প্যাসিফিকের আরও কিছু দ্বীপ হয়ে নিউজিল্যান্ড-আস্ট্রেলিয়া, যা কিনা সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছে। আরও দু’টা রুট ছিল আফ্রিকা হয়ে, যা কিনা উত্তর আফ্রিকা এবং এশিয়ার যুদ্ধের জন্যে। আরও দু’টা রুট ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্যে। এর একটা ছিল আলাস্কা থেকে বেরিং প্রণালি পার হয়ে সাইবেরিয়া হয়ে মস্কো। আরেকটা ছিল মধ্যপ্রাচ্য-ইরান হয়ে ককেশাস দিয়ে বাকু-স্টালিনগ্রাদ। আফ্রিকা পর্যন্ত যেতে আটলান্টিক পাড়ি দেয়া হতো দু’টা রুটে, যার একটা ১৯৪১ থেকেই চালু হয়েছিল। এই রুটটা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ হয়ে ব্রাজিল হয়ে দক্ষিণ আটলান্টিক পাড়ি দেয়। আটলান্টিক পাড়ি দিতে এসেনশন দ্বীপ হয়ে লাইবেরিয়ায় নামতো বিমানগুলি। সেখান থেকে আফ্রিকার মাঝ দিয়ে অনেকগুলি বিমান ঘাঁটি হয়ে উত্তর আফ্রিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত এবং চীনে যেত বিমানগুলি।
    

দক্ষিণ আটলান্টিকের এয়ার রুটখানা ব্রাজিল এবং পশ্চিম আফ্রিকার মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করে। ব্রাজিল যুদ্ধে প্রথমদিকে নিরপেক্ষা থাকলেও যুদ্ধে যোগদানের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে নিজ দেশের মাটিতে মার্কিন সামরিক বিমান ঘাঁটি মেনে নেয়। যুদ্ধের শুরুতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দক্ষ লোকের ব্যাপক অভাব থাকায় প্রাইভেট কোম্পানি 'প্যান আমেরিকান' ব্রাজিল এবং আফ্রিকায় বিমানবন্দর তৈরি করা ছাড়াও বিমান 'ফেরি' করার এই নেটওয়ার্ক ম্যানেজ করে।



ফ্লোরিডা থেকে ব্রাজিল

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে বিমানগুলির আসল যাত্রা শুরু হতো। ফ্লোরিডা থেকে ব্রাজিল পর্যন্ত দূরত্ব বিশাল। সেসময়ের বেশিরভাগ বিমানের পক্ষে অতদূর উড়ে যাওয়া কঠিন ছিল। অতটা দূর কভার করার লক্ষ্যে মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে বেশকিছু বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হয়। পুয়ের্তো রিকো, এন্টিগা, ত্রিনিদাদ এবং ব্রিটিশ গায়ানাতে (বর্তমানে গায়ানা) চারটা বিমান ঘাঁটি তৈরি করে মার্কিনীরা। এর মধ্যে প্রথমটি ছাড়া বাকি তিনটি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯১৭-১৯২২ সালের মাঝে তৈরি ৫০টি পুরোনো ডেস্ট্রয়ার দেবার বদলে পায় আমেরিকানরা। ফ্লোরিডা থেকে পুয়ের্তো রিকোর দূরত্ব ১,৫৭১ কিঃমিঃ; পুয়ের্তো রিকো এন্টিগা থেকে ৫৮৪ কিঃমিঃ দূরে। ত্রিনিদাদ পুয়ের্তো রিকো থেকে ১,০৮৫ কিঃমিঃ দূরে; আর ব্রিটিশ গায়ানা ১,৬৪৩ কিঃমিঃ দূরে। অর্থাৎ মোটামুটিভাবে ১ হাজার থেকে ১,৬০০ কিঃমিঃ দূরত্বের ভেতরে একটি করে বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল। বিমানগুলি একটা ঘাঁটি থেকে অন্য ঘাঁটিতে ব্যাঙএর মতো লাফিয়ে লাফিয়ে চলতো; তেল ফুড়িয়ে গেলে তেল নিতো; পাইলট বদল করতো; কোন মেইনটেন্যান্স ইস্যু তৈরি হলে সেগুলি সমাধান করে নিতো।

ব্রাজিল যেকারণে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হলো

উপরে উল্লিখিত ঘাঁটিগুলি মার্কিন এবং ব্রিটিশ উপনিবেশে অবস্থিত ছিল। কিন্তু ব্রাজিল তো সেসময় স্বাধীন দেশ। ব্রাজিল যুদ্ধে কোন পক্ষে থাকবে, তা নিয়ে প্রচুর বাদানুবাদ হয়েছিল খোদ ব্রাজিলেই। শেষ পর্যন্ত ১৯৪২ সালের ২২শে অগাস্ট মার্কিন-ব্রিটিশ চাপের মুখে ব্রাজিল জার্মানি-ইতালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধ ঘোষণা করার আগেই ১৯৪১ সালের মাঝে উত্তর ব্রাজিলে মার্কিনীরা ৫টি সামরিক বিমান ঘাঁটি তৈরি করে ফেলে। এই কাজটা মূলতঃ সম্পাদন করে মার্কিন প্রাইভেট বিমান কোম্পানি ‘প্যান আমেরিকান’ বা ‘প্যাম-এম’। প্যান-এম-এর ব্রাজিলিয়ান সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ‘প্যানএয়ার দো ব্রাজিল’ মার্কিন সরকারের ১৯৪০ সালের ‘এয়ারপোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বা এডিপি’-এর অধীনে এই ঘাঁটিগুলি তৈরি করে অপারেট করে। সেসময় যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনী জনবল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলো; তাই তাদের পক্ষে এই প্রোগ্রামে জনবল দেয়া একেবারেই সম্ভব ছিল না। তাই প্রাইভেট কোম্পানি এই কাজগুলি সম্পাদন করে রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাজ করে। আমাপা, বেলেম, সাও লুইস, ফোর্তালেজা, নাতাল, রেসিফ এবং ফার্নান্দো দে নোরোনিয়া দ্বীপে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪-এর ভেতরে মোট ৭টি ঘাঁটি তৈরি করা হয় এয়ারক্রাফট ফেরি করার লক্ষ্যে।
 
 

১৯৪৩ সাল। ব্রাজিলের বেলেম-এ Val de Cans বিমান ঘাঁটিতে রিফুয়েলিং করার জন্যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বি-২৫ এবং বি-২৪ বোমারু বিমান। বিমানগুলি ফুয়েল নিয়ে আরও দক্ষিণে ব্রাজিলের অন্য ঘাঁটিগুলিতে যাবে; তারপর এসেনশন দ্বীপ হয়ে এগুলি আফ্রিকার পথে পাড়ি জমাবে। ব্রাজিলের এই সহায়তা না পেলে ব্রিটিশদের উত্তর আফ্রিকায় জেনারেল রমেলকে হারানো আরও কঠিন হতো।


আফ্রিকা মহাদেশ পাড়ি

আফ্রিকার ফরাসি উপনিবেশগুলি ব্রিটেনের পক্ষে যাবে কিনা, তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আফ্রিকার বিটিশ উপনিবেশগুলিকেই মূলত ব্যবহার করা হয়েছিল বিমান পরিবহণের জন্যে। লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন, ঘানা, নাইজেরিয়া, সুদান হয়ে বিমানগুলি মিশরে পৌঁছাতো। ব্রাজিলের উপকূল থেকে লাইবেরিয়ার দূরত্ব ৩,০৭৯ কিঃমিঃ। এ-দুয়ের মাঝে ছিল এসেনশন দ্বীপ, যা ব্রাজিলের উপকূল থেকে ২,২৬১ কিঃমিঃ দূরত্বে। সিঙ্গেল ইঞ্জিন ফাইটার এবং দুই ইঞ্জিনের বিমানগুলি এসেনশন দ্বীপ হয়ে আটলান্টিক পাড়ি দিত। লাইবেরিয়া থেকে ঘানা আক্রা ১,১৩০ কিঃমিঃ; ঘানার আক্রা থেকে নাইজেরিয়ার কানো ১,২৪২ কিঃমিঃ এবং মাইদুগুরি ১,৬১৩ কিঃমিঃ। সুদানের তিনটি ঘাঁটি নাইজেরিয়ার কানো থেকে ১,৫০০-২,৬০০ কিঃমিঃ দূরত্বে। সুদান থেকে ইথিওপিয়া, মিশর, জেদ্দা, ইয়েমেন যেতো বিমানগুলি। এসব ঘাঁটি থেকে প্যালেস্টাইন, ইরাক, ইরান, বাহরাইন, ওমান, করাচি হয়ে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন যেতো বিমান। করাচি থেকে দিল্লী, আগ্রা, কোলকাতা হয়ে আসাম, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম যেতো বার্মা ফ্রন্টের যুদ্ধে যোগদানের জন্যে। আর আসাম থেকে অরুণাচল হয়ে চীনের কুনমিং যেতো চীন ফ্রন্টে যুদ্ধ করার জন্যে।
 

তাকোরাদি এয়ার রুট বলে পরিচিত এই রুটটা আফ্রিকার মাঝ দিয়ে কয়েক হাজার মাইল গিয়েছিল। এই নেটওয়ার্ক জিইয়ে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। সবগুলি ঘাঁটিতে রিফুয়েলিং, মেইনটেন্যান্স ছাড়াও পাইলটদের থাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছিল।
 

আকাশে বিমান পরিবহনই আসলে বিমান ফেরি

এভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে বিমান পাঠানোর পদ্ধতিকেই ‘ফেরি’ বলা হয়। প্রতিটা যুদ্ধবিমানের স্পেসিফিকেশনের মাঝে একটা প্যারামিটার থাকে ‘ফেরি রেঞ্জ’। এর অর্থ হলো অবতরণ না করে একটা বিমান কতদূর যেতে পারে। ফেরি করার সময় বিমানগুলিকে সর্বোচ্চ পরিমাণ তেল ভর্তি করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা ফাইটার বিমানগুলির চাইতে এখনকার ফাইটার বিমানগুলির ফেরি রেঞ্জ অনেক বেশি। রেঞ্জ বাড়ানোর লক্ষ্যে অতিরিক্ত ফুয়েল ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হতো বিশ্বযুদ্ধের সময়; যা এখনও করা হয়। আর এখন রেঞ্জ বাড়াতে এয়ার-টু-এয়ার রিফুয়েলিং করা হয়। তবে মূল ব্যাপারটা একই রয়েছে; আর তা হলো – ফ্যাক্টরি থেকে বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্র পর্যন্ত কিভাবে পৌঁছাবে। যেসব স্থান দিয়ে উড়বে বিমানগুলি, সেসব স্থান নিজেদের অনুকূলে হতে হবে, অর্থাৎ সেসব স্থানে নিজেদের বন্ধু থাকতে হবে। বিভিন্ন স্থানে বিমানবন্দরগুলিতে নিজেদের বিমান ওঠা-নামার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশ্বযুদ্ধের সময়ে হাজার হাজার বিমান ফেরি করতে হয়েছিল। আর তাই ফেরি রুটগুলিতে স্থাপিত ঘাঁটিগুলিতে পাইলটের স্কোয়াড্রন রাখা হতো। বিমান ল্যান্ডিং-এর পরে পাইলট পরিবর্তন হয়ে আরেক স্কোয়াড্রন বুঝে নিতো বিমান। তারাই পরের ঘাঁটি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যেত; আর সেখান থেকে পরিবহণ বিমানে করে পাইলটরা নিজেদের ঘাঁটিতে ফেরত আসতো। এভাবে প্রতি ঘাঁটিতে পাইলটদের থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও তেল ভরা এবং অন্যান্য সার্ভিসিং-এর ব্যবস্থা রাখা হতো। এই ঘাঁটিগুলিতে তেল সরবরাহ করাটা আবার আরেক লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ। সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বপূর্বে সাইবেরিয়ার ঘাঁটিগুলিতে তেল সরবরাহ ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ; বিশেষ করে শীতকালে, যখন সমুদ্র বরফে ছেয়ে যেতো। পুরো রুটে এয়ার ট্রাফিল কন্ট্রোল এবং কমিউনিকেশন স্থাপনও ছিল জরুরি।



ব্রাজিলের মাটিতে বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ব্রাজিল ছিল মিত্রবাহিনীর যুদ্ধবিমানের সাপ্লাই চেইন-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র তার কৌশলগত সরঞ্জামের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজ করা জানে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটেরিয়ালের সাপ্লাই নিশ্চিত করতে এই পুরো সাপ্লাই চেইন-এরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাক্টরি থেকে শুরু করে ওভারফ্লাইট, বেইসিং রাইটস, রিফুয়েলিং ফ্যাসিলিটি, মেইনটেন্যান্সসহ এই পুরো নেটওয়ার্ক নিজেদের পক্ষে থাকতে হবে। নাহলে দামি দামি খেলনাগুলি শোকেসে স্থান পাবে; কাজে লাগবে না।


যুদ্ধবিমানের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট

বিমান ফেরি করাটা এক ধরনের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট। একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র তার কৌশলগত সরঞ্জামের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজ করা জানে। তার সাপ্লাই চেইন অন্য শক্তির হাতে জিম্মি থাকলে সে কখনোই শক্তিশালী হতে পারে না। রাষ্ট্রের জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটেরিয়াল আনা-নেওয়ার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজ করা শিখতে হবে। জানতে হবে কোথা থেকে ম্যাটেরিয়াল আসছে; কে পৌঁছে দিচ্ছে; কিভাবে পৌঁছে দিচ্ছে; কোন রুটে সেগুলি আসছে; কোন এলাকার উপর দিয়ে উড়ে আসছে সেগুলি; কোথায় অবতরণ করছে; কোথায় রিফুয়েলিং করছে; কোথায় সার্ভিসিং করছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটেরিয়ালের সাপ্লাই নিশ্চিত করতে এই পুরো সাপ্লাই চেইন-এরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাক্টরি থেকে শুরু করে ওভারফ্লাইট, বেইসিং রাইটস, রিফুয়েলিং ফ্যাসিলিটি, মেইনটেন্যান্সসহ এই পুরো নেটওয়ার্ক নিজেদের পক্ষে থাকতে হবে। নাহলে দামি দামি খেলনাগুলি শোকেসে স্থান পাবে; কাজে লাগবে না।

No comments:

Post a Comment