Saturday 20 August 2016

আমাদের শিল্পপতিরা যেভাবে ‘ব্লু ইকোনমি’ গড়বেন

'ব্লু ইকোনমি' বুঝতে হলে আমাদের বুঝতে হবে কিভাবে আমরা এটা পাবো, আর কে কিভাবে বাধা দেবে সেই পথে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে কঠোরতাই পারবে বাধা অতিক্রম করতে।
২০শে অগাস্ট ২০১৬


ঘটনা না গল্প?

মাঝ সমুদ্র। সূর্য উঠি উঠি করছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন জাহিদুল ইসলাম চোখ রেখেছেন তার গন্তব্যের দিকে। আর মাত্র ঘন্টা কয়েকের পথ; তারপরেই জাহাজ পৌঁছে যাবে আফ্রিকার সেই বন্দরে। অনেকে অপেক্ষা করে আছে সেখানে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের জন্যে। সকাল হলে তো তারা সেই পণ্য পেয়েই যাচ্ছে। কিন্তু জীবনে পণ্য বিক্রি করাই তো সব নয়। ক্যাপ্টেন জাহিদ তাঁর ব্রিজ থেকে সামনে এগিয়ে থাকা জাহাজটির দূরত্বের একটু খোঁজ করে নিলেন। তিনি বুঝে ফেললেন যে তাঁর জাহাজের সাধ্যি হবে না ওই জাহাজের আগে জেটিতে পৌঁছানো। জাহাজের সেকেন্ড অফিসার আশিকুল ইসলামের মুখটা মলিন হয়ে গেল এটা ভেবে। ক্যাপ্টেন জাহিদ তাঁর বহু বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাঁর ব্রাইট জুনিয়র অফিসারকে বললেন, “মন খারাপ করছো কেন আশিক? ওই জাহাজের ফ্ল্যাগটা মনে রেখো – ওই ফ্ল্যাগটাও আমাদেরই! আমাদেরই ভাই ওই জাহাজ চালাচ্ছেন”। আশিকের চেহারায় তেমন একটা পরিবর্তন না দেখে ক্যাপ্টেন তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কিছু বের করলেন, “বছর দশেক আগের কথা। তখনও আমার রক্ত তোমার মতোই গরম ছিল। আফ্রিকার এমনই একটা বন্দরে ঢোকার জন্যে আমাদের জাহাজের সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গিয়েছিল আরেকটি জাহাজ। কিন্তু সেবার ওই জাহাজটি ছিল আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশের। তীরে নেমে আমাদের কারুরই মন স্থির ছিল না, যদিও আমাদের মিশনের সবটাই সাফল্যের ছিল। আজ নাহয় আমরা আমাদের ভাইদের কাছেই হারলাম”।

উপরের পুরো কাহিনিটাই কাল্পনিক। কিন্তু কল্পনা না থাকলে তার বাস্তবায়নের প্রশ্নও ওঠেনা। আজকের ‘ব্লু ইকোনমি’র কল্পনাটা আগামীকালের বাস্তব ঘটনা। ক্যাপ্টেন জাহিদ যে মিশনের কথা বলছিলেন – সময়মত পণ্য পৌঁছে দেয়া – এটাই কি আসল মিশন? যদি তা-ই হবে, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সাথে ছোট্ট একটা প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়ে তার মন খারাপ হবে কেন? আসলে মিশন হচ্ছে সেটাই, যা তার পেট ঠান্ডা রাখার সাথে সাথে তার আত্মাকেও তৃপ্তি দেয়। ক্যাপ্টেন জাহিদের দশ বছর আগের মিশনে তার আত্মা পরিতৃপ্ত হয়নি, কিন্তু আজকের এই মিশনে হেরে যাবার পরেও আত্মা বিচলিত হয়নি, কারণ সেই হেরে যাওয়াটা তার “আসল মিশন”এর সাথে সাংঘর্ষিক ছিল না। আফ্রিকার একটি বন্দরে নিজ ভাইয়ের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে ঢোকাতেও তার সমস্যা নেই, কিন্তু তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাজের চেহাড়াও দেখতে চান না। কারণ তাঁর মনে আছে যে, যে জাহাজটিতে তিনি প্রথম তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছেলিন, সেই জাহাজখানা তৈরিতে সেই পার্শ্ববর্তী দেশ subversion-এর মাধ্যমে বাধা দিয়েছিল। তিনি জানতেন যে আফ্রিকার বৈচিত্র্যময় উপকূলের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার তাঁর যে সাধ ছিল, নতুন দেশ, নতুন এলাকা দেখার তাঁর যে স্বপ্ন ছিল, সেটা বাস্তবায়নের পেছনে সবচাইতে বড় বাধা ছিল সেই ‘শক্তিশালী’ দেশের subversive activity. তাঁর রাষ্ট্রকে উন্নত একটা অবস্থানে দেখার তাঁর যে খায়েস ছিল, সেখানে বাগড়া বাধিয়েছিল ওরা – এটা ভুলে যাবার মতো কোন ব্যাপার নয়।

এভাবে আমরা গল্পটির বাকি অংশটুকু এগিয়ে নিতে পারি…… তাই ক্যাপ্টেন জাহিদ তীরে নেমেই দেশে তাঁর অফিসে ফোন করলেন। জিজ্ঞেস করলেন ওই ভদ্রলোকের ফোন নম্বর দেয়া যাবে কিনা, যাঁর শিপইয়ার্ডে তাঁর দশ বছর আগের জাহাজটি তৈরি হয়েছিল! নম্বর পেলেন এবং ফোন করলেন ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল আলমকে, যিনি তখন অসুস্থ্য এবং প্রায় মৃত্যুশয্যায়। এরপরেও সাইফুল আলম সাহেব ফোনটা ধরলেন। ক্যাপ্টেন জাহিদ বললেন, “সেদিন আপনি যদি আমাদের শত্রুর subversion-এ ভয় পেয়ে যেতেন, তাহলে আজ আফ্রিকার এই বন্দর আমাদের সন্মানে অপেক্ষা করতো না”। সাইফুল আলম সাহেব কিছু বলতে পারলেন না, কিন্তু তাঁর অজান্তেই তাঁর চোখ দিয়ে দু’ফোটা পানি বেরিয়ে এলো। দশ বছর আগের সেই দুর্বল রাষ্ট্র আজ আর নেই। তাঁর চিন্তা এবং অধ্যবসায়ের ফসল আজ বাস্তব সত্য। তিনি এই দিনটিরই স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেদিন পুরো ভারত মহাসাগর দাপিয়ে বেড়াবে আমাদের জাহাজ! এটাই সেই ‘ব্লু ইকোনমি’র স্বপ্ন।
'ব্লু ইকোনমি'র মূলে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ। আমাদের শিল্পপতিরা এখানেই তাদের নাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। ভারত মহাসাগরের বিশাল জলরাশির হাতছানিতে সাড়া দিতে আমাদের অনেক জাহাজ লাগবে। শিল্পপতিরা জাহাজ তৈরিতে এগিয়ে এসে বঙ্গোপসাগরে দাঁড়াবার জন্যে স্তম্ভ তৈরি করে দিতে পারেন।
 
 স্বপ্ন এবং সেই স্বপ্নের লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্প

ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল আলম জাহাজ তৈরির সময়ে কি ভেবেছিলেন? কি স্বপ্ন ছিল তাঁর? সেই স্বপ্ন কি আমাদের শিল্পপতিদের রয়েছে? ‘ব্লু ইকোনমি’ কি জিনিস সেটা কি তারা বোঝেন? অনেকে বলতে চাইবেন যে এই দূর্নীতিগ্রস্ত মানুষগুলিকে আমি কি বলছি? কিন্তু যারা এটা বলছেন, তারা বলতে চাইছেন না যে এই দূর্নীতিগ্রস্ত সমাজই যে তাদের দূর্নীতিগ্রস্ত করেছে; তারা জন্মের সময় দূর্নীতিগ্রস্ত ছিল না। তাই এই যুক্তি খাটে না। বরং যেটা চিন্তা করতে হবে তা হলো, এই মানুষগুলি সমাজ পরিবর্তন করতে কতটুকু কাজ করেছে। আজ একজন শিল্পপতি ঝালমুড়ির প্যাকেট বানিয়েই খুশি থাকতে পারেন, আবার এটাও মনে করতে পারেন যে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের তৈরি প্রথম যুদ্ধজাহাজখানা তিনিই তৈরি করবেন। গার্মেন্টস ব্যবসায়ে থাকা কেউ কি ভেবেছেন যে কোন জামা তৈরিতে তারা বেশি গর্ববোধ করবেন – মিস ইউনিভার্সে অংশ নেয়া প্রতিযোগীদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র স্বল্পবাস তৈরিতে, নাকি দেশের সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম তৈরিতে (দ্বিতীয়টি সবচাইতে খারাপ কাপড় দিয়ে তৈরি হলেও)? বিল গেটস-এর সন্তানের জন্যে ল্যাপটপ তৈরিতে তিনি বেশি সন্মানিত বোধ করবেন, নাকি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক তৈরিতে? পশ্চিমা দেশের ধনীর ঘরের ফার্নিচার তৈরিতে তাঁর শান্তি হবে বেশি, নাকি আফ্রিকার একটি দেশের সাথে শক্ত বন্ধন রচনা করে দেশের স্বার্থকে তুলে ধরতে বেশি শান্তি হবে তাঁর? আর এই ধরনের অধিক গর্বের লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাঁরা যে শত্রুদের বাধায় পড়বেন, সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ এসবের মাঝেই সাম্রাজ্যবাদীরা বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তির আবির্ভাব দেখে। তারা এই দেশে গত কয়েক যুগ ধরে তৈরি করা তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে subversive activity-তে মনোনিবেশ করবে। মামলা করবে, মিডিয়াতে বাজে রিপোর্ট করবে, মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলবে তাদের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে তাদের সমস্যা তৈরি করে রাখার চেষ্টা করবে, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ থেকে কোম্পানি নিয়ে আসবে দেশের ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করতে। তবে যাঁরা বুঝতে পারবেন যে – দুনিয়াতে তাঁরা আসেন খুব অল্প সময়ের জন্যে; আর এর মাঝেই গর্বের কিছু করে যেতে হবে – তাঁরাই শত্রুর বাধাকে identify করতে পারবেন এবং লক্ষ্যে সুস্থির থাকতে পারবেন। সেখানেই সাফল্য। সেটা না করতে পারলে সারাজীবন পরিশ্রম করার পরে দেখতে পাবেন যে তার পরিশ্রমের ফসল টাটা, আদানি, আম্বানি, বা রিলায়েন্সের মতো কোন প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের কোম্পানির ঘরে চলে গেছে!  

মিতসুবিশি "জেরো" ফাইটারের সাথে অমর হয়ে রয়েছে মিতসুবিশির নাম। বাংলাদেশের শিল্পপতিদেরও আজ সিদ্ধান্ত নেবার সময় চলে এসেছে - তারা যখন দুনিয়াতে থাকবেন না, তখন মানুষ তাদের কোন নামে চিনবে - মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় আন্ডারওয়্যার সাপ্লাই দেয়াব্র জন্যে, নাকি দেশের প্রথম যুদ্ধবিমান তৈরি করার জন্যে?
     
কারো নাম প্রতিষ্ঠা পায় কিভাবে?

১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন যুদ্ধে যোগ দেয়, তখন মার্কিনীরা এবং তাদের সহযোগী পশ্চিমা শক্তিরা আবিষ্কার করলো দু’টি জাপানি বিমান, যা কিনা রীতিমতো কাঁপিয়ে দিল তাদের। প্রথমটি ছিল Mitsubishi A-6M “Zero” ফাইটার এবং Mitsubishi G-3M দূরপাল্লার বোমারু বিমান। Zero ফাইটার বেশ কিছুদিন প্রশান্ত মহাসাগর দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। আর G-3M সিঙ্গাপুরের অদূরে ডুবিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ নৌবাহিনীর গর্ব ব্যাটলশিপ ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ এবং ব্যাটলক্রুজার ‘রিপালস’। খেয়াল করে দেখবেন যে দু’টি বিমানই জাপানের মিতসুবিসি কোম্পানির তৈরি। এই কোম্পানি পেন্সিল থেকে শুরু করে জাহাজ অবধি বানায়। কিন্তু তাদের নাম হয় কিন্তু পেন্সিলের কারণে নয়।

একটা রাষ্ট্রের চিন্তাই আসল শক্তি। সেই চিন্তাই ঠিক করে তার material power-কে কিভাবে ব্যবহার করা হবে। উপরে যে কথাগুলি লিখেছি, এগুলি সবই এরকম material power-এর উদাহরণ। শিল্পপতিরা নিজেরাই ঠিক করুন যে মৃত্যুর আগে তাঁদের নামের আগে মানুষ কি টাইটেল যোগ করবে। তাঁদের নাম কি হওয়া উচিত ‘চিনি’ হাসেম? অথবা ‘জাঙ্গিয়া’ আনোয়ার? ‘ঝালমুড়ি’ সেলিম? নাকি এমন কিছু হলে ভালো হতো – ‘ডেস্ট্রয়ার’ হাসেম, আনোয়ার দ্যা ‘ট্যাঙ্ক’, বা ‘হাই টেক’ সেলিম? তারা নিজেদের নাম নিজেরা তৈরি করতে চান, নাকি আদানি-রিলায়েন্স-আম্বানি-টাটা-দের নামের ভারে নিজেদের কবর খুড়তে চান? আমাদের শিল্পপতিরা যখন এই লক্ষ্যগুলি রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করবেন, তখন এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিরোধী কর্মকান্ডগুলিও তাঁদের অন্তরের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে – এর বিরুদ্ধে জয়ী হবার আগ পর্যন্ত তিনি শান্তি পাবেন না। কোন একটা দিন এই সমাজ পরিবর্তিত হবেই। বঙ্গোপসাগরে একটা নতুন শক্তির আবির্ভাব এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। ‘ব্লু ইকোনমি’র চিন্তাটা এজন্যেই বাস্তব। এই শক্তির material স্তম্ভগুলির কে কোনটা গড়ে দিয়েছেন, সেটা একসময় হিসেব কষবে মানুষ। আর অন্যদিকে যারা আজ বিদেশী শক্তির স্বার্থ বাস্তবায়নে এসব স্তম্ভ তৈরির বিপক্ষে দাঁড়াবে, তারাই আগামীতে তীব্র জনরোষের শিকার হবে।

'ব্লু ইকোনমি'তে অনেক শিল্পের প্রয়োজন হবে, যেমন স্টিল ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পপতিদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা তাদের সারাজীবনের পরিশ্রমকে নামফলকে বাঁঢিয়ে রেখে যেতে চান, নাকি তাদের পরিশ্রমের ফসল টাটা-আম্বানি-আদানি-রিলায়েন্সের ঘরে উঠুক, সেটা চান?
 
 লক্ষ্য কোনটা?

প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত চিনি বা ভোজ্য তেলের ব্যবসা করে কে কতো বেশি টাকা কামাবে সেখানে নয়। বরং দেশের প্রথম হাই-টেক পেট্রোকেমিক্যাল প্ল্যান্ট কে তৈরি করলো, বা প্রথম ইঞ্জিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট কে করলো, বা প্রথম সিনথেটিক রাবার প্ল্যান্ট কে করলো, বা দেশের প্রথম কমপ্লিট হাই-টেক ইলেকট্রনিক্স প্ল্যান্ট কে করলো – এগুলি হওয়া উচিত প্রতিযোগিতার বিষয়। এর আগের লেখায় লিখেছি যে বাংলাদেশের পুরো সমুদ্রতীরই একটা গভীর সমুদ্রবন্দর। তাই এই দেশের লাইটার জাহাজগুলি হলো এই দেশের বিশাল সম্পদ। এগুলি আমাদের ‘ব্লু ইকোনমি’র স্তম্ভগুলির একটি। আজকের হাজারখানেক লাইটার জাহাজ সামনের দিনগুলিতে প্রতিস্থাপিত (replace) করতে হবে। আর সামনে পাথর, কয়লা, কনটেইনার, জ্বালানি তেল এবং আরও অনেক নব্য পণ্য নদীপথে পরিবহণ করতে হবে – লাগবে আরও কয়েক হাজার জাহাজ। আশেপাশের দেশগুলির সাথে যোগাযোগ রক্ষায় তৈরি করতে হবে মার্চেন্ট ফ্লীট – ঠিক যেরকম একটি জাহাজের মিশনের বর্ণনা দিয়ে এই লেখার শুরু করেছি। বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের সম্পদের সফল আহরণের জন্যে লাগবে বহু ফিশিং ট্রলার। এই পুরো বাণিজ্যিক বহরের নিরাপত্তা দিতে লাগবে শক্তিশালী নৌবহর। আর এই জাহাজের বহরের জন্যে দরকার হবে স্টিল মিল, ইলেকট্রনিক্স কারখানা, ফার্নিচার কারখানা, পেইন্ট কারখানা, যন্ত্রাংশ কারখানা, মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল কারখানা, ইত্যাদি। মিতিসুবিসির মতো আমাদের শিল্পপতিদেরও ‘ব্লু ইকোনমি’র একেকটি স্তম্ভ তৈরি করে অমর হবার সুযোগ রয়েছে, আবার মানুষের বিদ্রুপের বিষয় হবার সুযোগও রয়েছে। সঠিক স্বপ্ন আজ যারা দেখতে পারবেন, আর এসব কাজে বিদেশী শক্তি এবং তাদের এজেন্টদের বাধাকে যারা সামনে এগুবার শক্তিরূপে নেবেন, তারাই হবেন সফল; মানুষের কাছে তারাই হবেন অমর।

2 comments:

  1. হ্যা... ঠিক বলেছেন

    ReplyDelete
  2. পড়ছি আর বিস্মিত হচ্ছি।

    ReplyDelete