Saturday 30 October 2021

মার্কিন নৌবাহিনী কেন চিংড়ি নিয়ে গবেষণা করছে?

৩১শে অক্টোবর ২০২১

নতুন জেনারেশনের নিঃশব্দে চলা রুশ সাবমেরিনগুলিকে মোকাবিলা করা এখন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের গুরুদায়িত্ব। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন নৌবাহিনী আটলান্টিকে ‘টাস্ক গ্রুপ গ্রেহাউন্ড’ নামে রুশ সাবমেরিন খোঁজার মিশন শুরুর ঘোষণা দেয়। এই একই ধারাবাহিকতায় এখন মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষকেরা সমুদ্রের নিচে আড়ি পেতে চিংড়ির ‘কট কট’ শব্দ শুনছেন।

 
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রের নিচে চিংড়ির ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কিছু চিংড়ি পানির নিচে ‘কট কট’ শব্দ তৈরি করে। একসময় সমুদ্রের নাবিকেরা মনে করতো যে, এই শব্দ হয়তো ঢেউয়ের তৈরি, অথবা পানির নিচের আগ্নেয়গিরির শব্দ, অথবা পানির তোড়ে নুড়ি পাথর নড়ার শব্দ। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনী যখন সোনার যন্ত্র দিয়ে জার্মান সাবমেরিন খুঁজতে গিয়ে এই শব্দের ঝড়ের মাঝে পড়ে, তখনই তারা নড়েচড়ে বসে। ‘ঊডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইন্সটিটিউশন’এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, ‘ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া’র ‘ডিভিশন অব ওয়ার রিসার্চ’এর গবেষকেরা এই শব্দের উৎসকে চিংড়ি পর্যন্ত নিতে সক্ষম হয়েছিল। এই গবেষণার ফলাফল হিসেবে নৌবাহিনীর সোনার অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল যাতে করে তারা বুঝতে পারে কোন শব্দটা চিংড়ির। একটা চিংড়ির একটা শব্দ প্রায় ২’শ ২০ ডেসিবল পর্যন্ত হতে পারে; যা একটা বন্দুকের গুলির শব্দের চাইতেও বেশি! মার্কিন সামরিক সদস্যদের ম্যাগাজিন ‘স্যান্ডবক্স’এর এক লেখায় বলা হচ্ছে যে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একটা প্রকল্প ২০২০ সালে দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছেছে; যার মাঝ দিয়ে তারা কিছু সেন্সর ডেভেলপ করা শুরু করছে। এই সেন্সরগুলি চিংড়ির তৈরি করা শব্দ রেকর্ড করে বিশ্লেষণ করবে। বিশ্লেষণে যদি বুঝতে পারা যায় যে, চিংড়িগুলির কাছাকাছি কোন সাবমেরিন রয়েছে, তাহলে উপকূল বা জাহাজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা পৌঁছে যাবে।

বৈজ্ঞানিক ম্যাগাজিন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’ চিংড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছে। ‘স্ন্যাপিং শ্রিম্প’ বা ‘পিস্তল শ্রিম্প’ নামের এক প্রকারের ক্ষুদ্র সামুদ্রিক চিংড়ি রয়েছে, যেগুলির একটা থাবা থাকে অনেক বড় আকারের; প্রায় নিজেদের শরীরের অর্ধেক। এই থাবাগুলি যখন তারা বন্ধ করে, তখন বেশ জোরে শব্দ হয়। সমুদ্রে কিছু স্থানে এই চিংড়িগুলি তাদের বড় আকারের কলোনি তৈরি করে। সেসব কলোনিতে অনেক সময়েই চিংড়িগুলি সকলে একত্রে থাবা দিয়ে শব্দ করতে থাকে। এরকম সময় কেউ যদি সেখানে সমুদ্রের নিচে সোনার যন্ত্র ব্যবহার করে, তবে চিংড়ির শব্দ ছাড়া কোনকিছুই সে শুনতে পাবে না এবং তার সকল কাজই ব্যাহত হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক সময়েই আটলান্টিকের তলদেশে চিংড়ির কলোনির বিকট শব্দের কারণে মিত্র বাহিনীর জাহাজগুলিকে জার্মান সাবমেরিন খুঁজে পেতে বেগ পেতে হতো। তবে মাত্র ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘সায়েন্স’ ম্যাগাজিনের এক লেখায় জার্মানির মিউনিখের ‘টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি’র প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষক বারবারা শ্মিতজ এই চিংড়িগুলি কিভাবে শব্দ তৈরি করে, সেটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন। চিংড়ির থাবা বন্ধ করার সময় সেখান থেকে অতি দ্রুত বের হওয়া পানির জেটের সাথে বুদবুদ বের হয়ে আসে এবং শব্দ উৎপন্ন করে। এই পানির জেটের গতি ব্যবহার করে চিংড়ি নিজের শিকারকে হত্যা করে। পুরো ব্যাপারটা পানির নিচে গুলি করার মতো কাজ করে! বিজ্ঞানীরা একইসাথে চিংড়ির এই বিচিত্র কর্মের কারণও ব্যাখ্যা করছেন। চিংড়িরা মূলতঃ এই শব্দের মাধ্যমে নিজেদের মাঝে যোগাযোগ করে। একইসাথে আক্রমণকারী কোন প্রাণীকে শব্দ করে ভয় দেখিয়ে তারা নিজেদের এলাকাকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে। চিংড়ির এই কর্মকান্ডটাই মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষকদের আকৃষ্ট করেছে। গতবছর ‘সেন্টার ফর ক্লাইমেট সিকিউরিটি’র এক লেখায় বলা হয় যে, ২০২০ সালের ‘ওশান সায়েন্স মিটিং’এ প্রকাশ করা একটা গবেষণায় বলা হয় যে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে সমুদ্রের পানির তাপমাত্র যখন বাড়ছে, তার সাথে এই চিংড়িগুলির শব্দ করার ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে মাছ ধরার জাহাজগুলি যেমন সোনার ব্যবহার করতে সমস্যা পড়বে, তেমনি মার্কিন নৌবাহিনীর সমুদ্রের নিচের মাইন এবং সাবমেরিন খোঁজার মতো কর্মকান্ডও সমস্যায় পড়বে।

সোনার যন্ত্র দিয়ে পানির নিচে ভূপৃষ্ঠের ত্রিমাত্রিক প্রতিচ্ছবি তৈরি করা যায়; আবার পানির নিচে চলমান যেকোন জিনিসকে খুঁজে পাওয়া যায়; যেমন মাছ বা সাবমেরিন বা মাইন বা অন্য যেকোন বস্তু। ‘একটিভ সোনার’ একটা শব্দ তরঙ্গকে পানির নিচে ছুঁড়ে দেয়; যা কোন জিনিস থেকে প্রতিফলিত হয়ে আবার ফিরে আসে। এই ফিরে আসা শব্দ শুনে তরঙ্গের পরিমাপ থেকে পানির নিচে যেকোন বস্তুর দূরত্ব পরিমাপ করা যায়। আরেক প্রকার সোনার হলো ‘প্যাসিভ সোনার’; যা শব্দ তৈরি না করে বরং কান পেতে শব্দ শোনে। পানির নিচে তৈরি হওয়া যেকোন শব্দকে সেই যন্ত্র শুনে বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করে সেটা কি জিনিস এবং কতটুকু দূরে বা গভীরে রয়েছে। সমুদ্র যুদ্ধে সাবমেরিনের ব্যবহার শুরু হবার পর থেকেই সোনার যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে গেছে। কারণ একটা সাবমেরিন পানির নিচে ডুব দিলে তাকে পানির উপর থেকে আর দেখা যায় না এবং সোনার যন্ত্র ছাড়া তখন সেটাকে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

 
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ‘পারসিসটেন্ট একুয়াটিক লিভিং সেন্সর’ বা ‘প্যালস’ নামের এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পে গবেষকেরা বুঝতে চেষ্টা করছেন যে, সমুদ্রের নিচে ড্রোন সাবমেরিনের মতো মানুষের তৈরি কোন বস্তু কাছাকাছি দেখলে প্রাণীকূল সেটাকে কিভাবে দেখে? এছাড়াও বেশিরভাগ রীফ অঞ্চলেই এই চিংড়ি থাকে। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে হাইড্রোফোন বসিয়ে রাখলেই শব্দ রেকর্ড করা যাবে।

‘ডিসকভার’ ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, মার্কিন সামরিক গবেষণা সংস্থা ‘ডিফেন্স এডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি’ বা ‘ডারপা’র গবেষকেরা মনে করছেন যে, এসকল চিংড়ির শব্দ শুনে সমুদ্রের নিচে শত্রুর নৌবাহিনীর মনুষ্যবিহীন ড্রোন সাবমেরিন খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এধরনের ড্রোনগুলি প্রায় শব্দবিহীন হয় বলে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন সকলেই ড্রোন সাবমেরিন ডেভেলপ করছে, যেগুলির কোন কোনটা আবার পারমাণবিক ওয়ারহেডও বহণ করতে সক্ষম। আর আটলান্টিকে রুশ সাবমেরিনের আনাগোণাও অনেক বেড়েছে। ২০১৮ সালে রুশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা সের্গেই স্টারশিনভ দাবি করেন যে, তাদের সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের নৌঘাঁটির খুব কাছে গিয়ে ঘুরে এসেছে; কিন্তু কেউ তাদেরকে খুঁজে পায়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ‘পারসিসটেন্ট একুয়াটিক লিভিং সেন্সর’ বা ‘প্যালস’ নামের এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পে গবেষকেরা বুঝতে চেষ্টা করছেন যে, সমুদ্রের নিচে ড্রোন সাবমেরিনের মতো মানুষের তৈরি কোন বস্তু কাছাকাছি দেখলে প্রাণীকূল সেটাকে কিভাবে দেখে? তারা কি কোন বিশেষ শব্দ করে, অথবা আলোকছটা তৈরি করে কিনা, অথবা ভিন্নভাবে চলাচল করে কিনা। প্রকল্পে কাজ করা মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি ‘রেথিয়ন’এর গবেষক এলিসন লাফারিয়ের বলছেন যে, এই চিংড়িগুলিকে কাছে থেকে শুনলে প্রায় ১’শ ৯০ ডেসিবল শব্দ পাওয়া যাবে। অথচ এসব শব্দ উৎপাদন করতে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে না। এছাড়াও বেশিরভাগ রীফ অঞ্চলেই এই চিংড়ি থাকে। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে হাইড্রোফোন বসিয়ে রাখলেই শব্দ রেকর্ড করা যাবে। লাফারিয়ের বলছেন যে, তারা সমুদ্রের নিচের ‘বায়োলজিক্যাল সাউন্ডস্কেপ’ বা সকল প্রাণীকূলের একত্রে তৈরি করা শব্দ নিয়ে গবেষণা করছেন। তারা দেখছেন যে, সাধারণ সময়ে শব্দ কিরকম হয়; আর পানির নিচে কোন সাবমেরিন জাতীয় জিনিস চলাচল করলে শব্দ কি ধরনের হয়।

 
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার ‘গ্রেট পাওয়ার’ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আটলান্টিক আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এটাও অবশ্য মার্কিন নীতিরই ফলাফল। রুশ আন্তমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি এখন মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা সম্ভব। তাই রাশিয়া তার সাবমেরিন প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে নতুন নতুন অস্ত্র ডেভেলপ করায় মনোনিবেশ করেছে; যেগুলি বর্তমান মার্কিন প্রযুক্তিকে বাইপাস করে যুক্তরাষ্ট্রের উপর পুনরায় হুমকি সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

‘প্যালস’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লোরি এডোরনাটো বলছেন যে, সামুদ্রিক প্রাণীগুলিকে ব্যবহার করতে পারলে সেটা বেশ বিচক্ষণতার কাজ হবে; কারণে এতে খুব কম খরচেই এবং তেমন একটা লজিস্টিক্যাল সমস্যায় না পড়েই সার্বক্ষণিকভাবে পানির নিচে সার্ভেইল্যান্স চালনা করা সম্ভব হবে। ‘ডারপা’ বলছে যে, ‘রেথিয়ন’ কোম্পানি ছাড়াও ‘নর্থরোপ গ্রুমান’ কোম্পানির অধীনে আরেকটা গ্রুপ চিংড়ির শব্দ ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরি করা নিয়ে কাজ করছে। তৃতীয় আরেকটা গ্রুপ ‘ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি’তে ‘গোলিয়াথ গ্রুপার’ নামে একটা বায়োলজিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করছে। ‘স্যান্ডবক্স’এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে রুশ এবং চীনা সাবমেরিনগুলি অনেক বেশি শব্দহীন করে তৈরি করা হচ্ছে। আর মহাসমুদ্রে এই সাবমেরিনগুলিকে খুঁজে বের করাও খুব কঠিন হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেই পেন্টাগন একটা মানচিত্র প্রকাশ করে। সেখানে দেখানো হয় যে, সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যাওয়া ফাইবার অপটিক কেবলের লাইনগুলির কাছাকাছি দিয়েই রুশ এবং চীনা যুদ্ধজাহাজগুলির আনাগোণা বেশি। মার্কিন নৌবাহিনীর ‘দ্বিতীয় নৌবহর’এর কমান্ডার ভাইস এডমিরাল এন্ড্রু ঊডি লুইস বলছেন যে, নতুন বাস্তবতা হলো যে, মার্কিন উপকূল ছাড়লেই তাদের নাবিকেরা এখন প্রতিযোগিতাপূর্ণ এলাকায় অপারেট করবে। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলি এখন আর নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ঘুরতে পারবে না বা অত সহজেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যেকোন স্থানে যেতে পারবে না।

রুশ সাবমেরিনের আনাগোণা প্রতিহত করার লক্ষ্যেই ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে মার্কিন নৌবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল এবং উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে তাদের ‘দ্বিতীয় নৌবহর’ কার্যকর করে। ২০১১ সালে রুশ হুমকি কমে যাবার হিসেবে এই নৌবহরের কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার ‘গ্রেট পাওয়ার’ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আটলান্টিক আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এটাও অবশ্য মার্কিন নীতিরই ফলাফল। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে মূল ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে রাশিয়ার সাথে কৌশলগত আলোচনা বন্ধ করে দেয়। আর ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। এসব কারণে দুর্বল অবস্থানে পড়ে যাওয়া রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে মরিয়া হয়ে উঠে। রুশ আন্তমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি এখন মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা সম্ভব। তাই রাশিয়া তার সাবমেরিন প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে নতুন নতুন অস্ত্র ডেভেলপ করায় মনোনিবেশ করেছে; যেগুলি বর্তমান মার্কিন প্রযুক্তিকে বাইপাস করে যুক্তরাষ্ট্রের উপর পুনরায় হুমকি সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। নতুন জেনারেশনের নিঃশব্দে চলা রুশ সাবমেরিনগুলিকে মোকাবিলা করা এখন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের গুরুদায়িত্ব। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন নৌবাহিনী আটলান্টিকে ‘টাস্ক গ্রুপ গ্রেহাউন্ড’ নামে রুশ সাবমেরিন খোঁজার মিশন শুরুর ঘোষণা দেয়। এই একই ধারাবাহিকতায় এখন মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষকেরা সমুদ্রের নিচে আড়ি পেতে চিংড়ির ‘কট কট’ শব্দ শুনছেন।

No comments:

Post a Comment