‘তুর্কি টুডে'র এক খবরে বলা হচ্ছে যে, ‘টারকিশ এয়ারলাইন্স' আগামী ২৩শে জানুয়ারি থেকে দামাস্কাসে তাদের ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। তবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ফ্লাইটগুলির মাধ্যমে ইস্রাইলি এবং ইরানি নাগরিকদেরকে সিরিয়াতে ঢুকতে দেয়া হবে না। 'টারকিশ এয়ারলাইন্স'এর জেনারেল ম্যানেজার বিলাল একসি সোশাল মিডিয়ার এক বার্তায় লেখেন যে, তিনি হাজার বছর ধরে দামাস্কাসকে চেনেন। তিনি শহরটাকে তার মায়ের দুধের সাথে তুলনা করেন। একসির এই বার্তায় সিরিয়ার সাথে তুরস্কের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাই সামনে চলে আসে; বিশেষ করে উসমানি খিলাফতের সময়ে সিরিয়া ছিল ইস্তাম্বুলের সুলতানের অধীনে অতি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। সিরিয়ার বাশা আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সকলেই একমত যে, সিরিয়ার পরিবর্তনে সবচাইতে বেশি লাভবান হয়েছে তুরস্ক। তবে সিরিয়ার আশেপাশের দেশগুলি সিরিয়ার পরিবর্তনকে এখনও সন্দেহের চোখে দেখছে; বিশেষ করে ইস্রাইল। ১৫ই জানুয়ারিতেও ইস্রাইলের বিমান বাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে বোমাবর্ষণ করে। ইস্রাইল বলছে যে, এর টার্গেট ছিল বাশার আল-আসাদের পক্ষে থাকা বিভিন্ন গ্রুপ। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়িপ এরদোগান ইস্রাইলকে তার বিমান হামলা বন্ধের অনুরোধ করেছেন। সিরিয়ার ক্ষমতা নেয়া মিলিশিয়া গ্রুপগুলির সন্মুখে রয়েছে আবু মুহাম্মদ আল-জুলানি নামে পরিচিত আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে 'হায়াত আত-তাহরির আল-শাম' বা 'এইচটিএস'। ডিসেম্বর মাসে আল-শারাও ইস্রাইলকে বিমান হামলা বন্ধ করার জন্যে বলেছেন।
সিরিয়ায় ইস্রাইলের নীতি এখন স্পটলাইটে রয়েছে। বিশেষ করে আলোচিত হচ্ছে সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ইস্রাইলের বিমান হামলা, সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইস্রাইলি সেনাবাহিনীর ভূমি দখল এবং অধিকৃত গোলান মালভূমিতে নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা। ‘ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল'এর সাথে সাক্ষাতে মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক 'সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ' বা 'সিএসআইএস'এর সিনিয়র ফেলো নাতাশা হল বলছেন যে, সিরিয়াতে পরিবর্তনের অর্থ হলো ইস্রাইলের সীমানায় তুর্কি-সমর্থিত গ্রুপের আবির্ভাব। 'এইচটিএস'এর অনেক সদস্যই একসময় 'আল-কায়েদা'র সাথে ছিল। এই গ্রুপটা 'বাস্তবতা'কেন্দ্রিক চিন্তার মাঝে রয়েছে। 'এইটিএস' এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সংজ্ঞায় সন্ত্রাসী সংগঠন; তথাপি তারা চেষ্টা করছে, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনে। তবে এই পরিবর্তন হতে হলে 'এইটিএস'কে অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। 'এইচটিএস' ছাড়াও সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে 'সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি' বা 'এসএনএ'; যার পেছনে রয়েছে তুরস্ক। আর জাতিগত কুর্দিদের থেকে গঠন করা 'সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস' বা 'এসডিএফ'এর সমর্থনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক 'এসডিএফ'কে 'কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি' বা 'পিকেকে'এর অঙ্গসংগঠন বলে থাকে। 'পিকেকে' তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সংজ্ঞায় সন্ত্রাসী সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সাথে একমত নয় যে 'পিকেকে' এবং 'এসডিএফ' একই সংগঠন। ওয়াশিংটনের মতে 'এসডিএফ' হলো আইসিসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। একারণে 'এসডিএফ'এর অধীনে আইসিসের বহু বন্দীকে আটক রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক সমর্থিত 'এসএনএ' অনেকদিন ধরেই 'এসডিএফ'এর সাথে সংঘাতরত অবস্থায় রয়েছে।
গত ৬ই জানুয়ারি ইস্রাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক একটা কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ইস্রাইলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রাক্তন প্রধান ইয়াকভ নাগেলের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল সামনের দিনগুলিতে ইস্রাইলের নিরাপত্তা হুমকিগুলির ব্যাপারে একটা ধারণা দেয়া। রিপোর্টে বলা হয় যে, সিরিয়াতে নতুন গঠিত সরকারের পিছনে তুরস্কের সমর্থন থাকার কারণে ভবিষ্যতে তুরস্কের সাথে ইস্রাইলের সংঘর্ষ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ইস্রাইলিরা 'এইচটিএস'এর সাথে 'আল-কায়েদা'র সম্পর্কের ব্যাপারটাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। কারণ তাদের ধারণা সিরিয়ার নতুন সুন্নি নেতৃত্ব কোন এক সময় ইস্রাইলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে পারে। এমনকি এতদিন ইরানের সমর্থনে যে হুমকি ইস্রাইলের বিরুদ্ধে ছিল, সেটার চাইতেও বড় হুমকি হতে পারে সুন্নি সিরিয়া। কারণ ইরানের প্রক্সিগুলি বর্তমানে অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। কমিশনের রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, যদি দামাস্কাসে তুর্কি প্রক্সি ক্ষমতায় বসে, তাহলে তা তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্য বা উসমানি খিলাফত পুনপ্রতিষ্ঠার উচ্চাকাংক্ষার অংশ হিসেবে কাজ করতে পারে। সিরিয়ার সামরিক শক্তির পুনরুত্থানকে ইস্রাইল তার নিরাপত্তার জন্যে হুমকি হিসেবে দেখছে। নাগেল কমিশনের রিপোর্টে করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে যে, ইস্রাইল যেন আগেভাগেই হুমকি হয়ে ওঠার আগেই তার নিরাপত্তার প্রতি আসন্ন হুমকিগুলিকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। তবে রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সিরিয়ার মাটিতে তুর্কি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সিরিয়ার সেনাবাহিনীর পুনরুত্থানকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এছাড়াও, আঞ্চলিক অস্থিরতা ইস্রাইলের সাথে তুরস্কের সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জের মাঝে ফেলতে পারে; এমনকি মিশর এবং ইস্রাইলের মাঝেও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।
গ্রাহাম ফুলার প্রায় দুই দশক ধরে মার্কিন ইন্টেলিজেন্স সংস্থা 'সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি' বা 'সিআইএ'র কর্মকর্তা ছিলেন এবং 'সিআইএ'এর মধ্যপ্রাচ্য ডিভিশনের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন। 'ডায়ালগ ওয়ার্কস' পডকাস্টে তার মতামত দিতে গিয়ে তিনি বলছেন যে, তিনি আশা করছেন যে, ইস্রাইল যা বলছে, সেটা শুধুই হুমকি-ধামকি। তবে তিনি ইস্রাইলের সাথে তুরস্কের সম্ভাব্য সংঘাতকে মারাত্মক পরিণতি হিসেবে দেখছেন। তিনি বলছেন যে, ইরানের সামরিক শক্তি ইস্রাইলের জন্যে হুমকি হলেও তুরস্কের সামরিক বাহিনী হবে ইস্রাইলের এতদকালে মোকাবিলা করা সবচাইতে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। ইস্রাইল লেবানন এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে অবস্থান করার যে নীতিতে এগুচ্ছে, তা হয়তো ইস্রাইলের সক্ষমতার বাইরে। ইস্রাইল হয়তো তুরস্কের সাথে সংঘাত চাইবে না; কিন্তু নেতানিয়াহু সরকারের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই আগে থেকে বলা যায় না। এরদোগানের অধীনে তুরস্কের সাথে ইস্রাইলের সম্পর্ক বিভিন্ন সময়ে ঠান্ডা-গরমের মাঝ দিয়ে গিয়েছে; যদিও সাধারণভাবে সেই সম্পর্ক ভালোই ছিল। তথাপি রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক যে ইস্রাইলকে ভালো চোখে দেখে না, সেটা ইস্রাইল সঠিকভাবেই বুঝতে পেরেছে।
তবে তুর্কি সাংবাদিক রাগিপ সোইলু 'মিডলইস্ট আই'এর এক লেখায় বলছেন যে, তুরস্ক ইস্রাইলের সাথে সংঘাত চায়না। এর প্রধান কারণ হলো উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছের বন্ধু। এছাড়াও আঞ্চলিক অস্থিরতার মাঝে তুরস্ক ইস্রাইলের সাথে কোন সংঘর্ষে যাবে না। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ইতোমধ্যেই বলেছেন যে, তুরস্ক এমন একটা সিরিয়া দেখতে চায়, যা কিনা অন্য রাষ্ট্রের জন্যে হুমকি হবে না। তুরস্কের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটা সিরিয়া গড়া, যা হবে গণতান্ত্রিক, অবিভক্ত এবং অসামরিক; যেখানে সকল সংখ্যালঘুদের রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখা হবে, যার মাঝে কুর্দিরাও থাকবে। এর মাধ্যমে তুরস্ক নিশ্চিত করতে চায় যে, ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি' বা 'পিকেকে'এর নেতৃত্বে কোন আলাদা কুর্দি রাষ্ট্র যেন গঠিত না হয়। এই লক্ষ্যে তুরস্ক বহুবার সিরিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এই লক্ষ্যের সাথে ইস্রাইলের কোন সম্পর্ক নেই। বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পরপর ইস্রাইল পুরো সিরিয়া জুড়ে সামরিক স্থাপনার উপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। তুরস্ক তখন চোখ বন্ধ করে রেখেছিল। তবে ইস্রাইল তাদের টার্গেটগুলিকে আরও ছড়িয়ে দেয়ার পর তুরস্ক ইস্রাইলকে হামলা বন্ধ করতে বলে। সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ভান্ডারের উপর ইস্রাইলি হামলার ব্যাপারে তুরস্কের কোন প্রতিবাদ ছিল না। আর ইস্রাইলও 'এইটিএস'এর স্থাপনাগুলিকে হামলার মাঝে আনেনি। তুরস্কের ইন্টেলিজেন্স ইস্রাইলের ইন্টেলিজেন্সের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখছে; যাতে করে দুই দেশের মাঝে কোন সংঘাতের সূচনা না হয়। 'এইটিএস'এর নেতৃত্বও বলেছে যে, তারা ইস্রাইলের সাথে সংঘাত চায়না। যদিও সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে নতুন করে তৈরি করার ক্ষেত্রে তুরস্কের সেনাবাহিনী নেতৃত্ব দিতে চাইছে, তথাপি তুরস্ক নিশ্চিত করতে চাইছে যে এই ব্যাপারটাকে ইস্রাইল যেন হুমকি হিসেবে না দেখে। তবে যে ইস্যুটার ব্যাপারে তুরস্ক ছাড় দেবে না তা হলো সিরিয়ার ভৌগোলিক অখন্ডতা।রাগিপ সোইলু বলছেন যে, ইস্রাইলকে মেনে নিতেই হবে যে, কুর্দিদের জন্যে আলাদা কোন রাষ্ট্র তুরস্ক সমর্থন করবে না। ইস্রাইলের বিভিন্ন থিংকট্যাঙ্ক সিরিয়ার বিভক্তি চাইছে। তারা বলছে যে, বিভক্ত সিরিয়া ইস্রাইলের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে। যে ব্যাপারটা নিশ্চিত তা হলো, ইস্রাইলের নেতৃত্ব তার আশেপাশের দেশগুলিতে একনায়ক পছন্দ করে। ইস্রাইল তার অত্যাচারের যে নীতিতে রয়েছে, তাতে এসকল একনায়কের সাথে দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক বজায় রেখে ইস্রাইল তার নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে। রাগিপ সোইলু মনে করছেন যে, সিরিয়ার পরিবর্তনে তুরস্কের ব্যাপক সুবিধা হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন না যে, সিরিয়ার নতুন সরকার তুরস্কের প্রক্সি হিসেবে কাজ করবে।
নিরাপত্তাহীনতা থেকেই ইস্রাইল গাজা এবং লেবাননে সামরিক অভিযান চালিয়েছে; যার ফলশ্রুতিতে সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে ও অনিশ্চয়তা বেড়েছে। সিরিয়ার আকৃতি গাজা বা লেবাননের তুলনায় বহুগুণে বড়; যেকারণে সিরিয়াতে যেকোন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত থাকবে ইস্রাইল। একইসাথে ইস্রাইল চায় না যে, তাদের আশেপাশের দেশগুলি সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হোক। 'সিএসআইএস'এর নাতাশা হল-এর মতে, তুর্কি-সমর্থিত মিলিশিয়াদের সহায়তায় তুরস্ক এখন ইস্রাইলের প্রতিবেশী। আর এটাই ইস্রাইলকে বিচলিত করেছে। তুরস্কের সামরিক শক্তি ইস্রাইলের বিপক্ষে ব্যবহৃত হবে কিনা, তা নির্ভর করছে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর; যা ইস্রাইলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এরদোগানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যাপারে ইস্রাইল ভীত নয়। গাজায় ইস্রাইলের এক বছরের বেশি সময়ের বর্বরতার মাঝে এরদোগান কিছু বক্তব্য দেয়া ছাড়া কিছুই করেননি। তথাপি নাগেল কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কার যে, ইস্রাইল তার সীমানায় উসমানি খিলাফতের ছায়া দেখতে পাচ্ছে। আর 'সিআইএ'র গ্রাহাম ফুলারের কথায়, ইস্রাইল জানে যে রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক ইস্রাইলকে শত্রু মনে করে। ইস্রাইলের জন্যে হিসেবেটা আরও জটিল হয়ে গিয়েছে; কারণ ইস্রাইলের জন্যে তুরস্কের সামরিক শক্তি মোকাবিলা করা ইরানকে মোকাবিলার চাইতেও কঠিন হবে। ইস্রাইল যদি তার নিরাপত্তাহীনতার কারণে সিরিয়ার অভ্যন্তরে তার সামরিক আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়; অথবা ওয়াশিংটনের সমর্থনে সিরিয়ার অখন্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করে 'এসডিএফ'এর পক্ষাবলম্বণ করে, তাহলে তুরস্কের সাথে ইস্রাইলের সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়াটা অমূলক নয়। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প প্রশাসনের আবির্ভাব ইস্রাইল এবং তুরস্ককে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
No comments:
Post a Comment