Tuesday 2 April 2019

ঢাকা-কোলকাতা ইকনমিক করিডোরের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

৩রা এপ্রিল ২০১৯
ঢাকা-কোলকাতা যাতায়াত এখন নৌপথেও সম্ভব। র‍্যাডক্লিফের আঁকা আন্তর্জাতিক বাউন্ডারির দুই পাড়ের বাংলার জনগণের মাঝে যত বেশি যাতায়াত হবে, দিল্লী তত বেশি রক্ষণশীল ভূমিকা নিতে পারে।


পশ্চিমবঙ্গের সরকার যখন বাংলাদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে গিয়ে সেখানে হালাল খাবারের অপ্রতুলতা নিয়ে চিন্তিত হয়, তখন বেশ কিছু ব্যাপার সামনে এসে যায়। একইসাথে যখন কলকাতার জুতার দোকানের বিজ্ঞাপন এখন দেয়া হয় বাংলাদেশের পত্রিকাতে, তখনও আলোচনা একই দিকে যেতে থাকে।

প্রথমতঃ অর্থনৈতিক প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চাইছে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মানুষ সেখানে ঘুরতে যাক। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ৫ লক্ষের মতো পর্যটক বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে। তবে এদের বেশিরভাগই সেখানে যাচ্ছে ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে। তারা হয় দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসার জন্যে যাচ্ছে, নতুবা আজমীর শরীফ যাচ্ছে মাজার জিয়ারত করতে, নতুবা কাশ্মীর যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে। কোলকাতার কর্তাব্যক্তিরা চাইছেন যে, বাংলাদেশী পর্যটকেরা এক-দুই দিনের বদলে পাঁচ-সাত দিন যেন পশ্চিমবঙ্গে থাকেন। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে বাংলাদেশী পর্যটকদের অবদান যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝা যায়। বাংলাদেশী পর্যটকেরা আবার কোলকাতা যান বাজার করতে। ভারতের অন্য স্থান থেকে কত মানুষ কোলকাতায় বাজার করতে আসে, সে প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলেও এটা এখানে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের বাজার কলকাতার অর্থনীতির জন্যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে 'কনজিউমারিজম' যতটা প্রবল, ততটা ভারতের মানুষের মাঝে নয়।

এছাড়াও ভারত থেকে বাংলাদেশে যেসকল পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় পিঁয়াজ, আদা, রসুন-সহ কৃষি দ্রব্যগুলি যেখানেই উতপাদিত হোক না কেন, তা সড়কপথে পশ্চিমবঙ্গ হয়েই আসছে বাংলাদেশে। কৃষি দ্রব্যের বাণিজ্য পুরো এলাকার মানুষের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ, কেননা পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থায় কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখাটা যেকোন অর্থনীতির জন্যে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সীমান্ত বাণিজ্যের মাঝে গরুর বাণিজ্যও ছিল। ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের কঠোর নীতির ফলে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা এই বাণিজ্য থেকে বঞ্চিত হয়। এখন বাংলাদেশ গরুর গোশতে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন পণ্যও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বাজার পাচ্ছে। বাধা শুধু ভারতের অতি-জাতীয়তাবাদী বাণিজ্য নীতি। যে জিনিসগুলি এখন বাংলাদেশে তৈরি হয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই ভারতের অন্য স্থানে তৈরি জিনিসের চাইতে খরচ দামে পাওয়া যাবার কথা। ভারত থেকে বাংলাদেশে যে কয়লা আসতো, সেটাও ভারতের অতি-রক্ষণশীল নীতির কারণে মার খেয়েছে। এখন বাংলাদেশ কয়লা আনছে সমুদ্রপথে।

দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাসগত দিক থেকে ছাড় দেয়ার মানসিকতা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্যে অনেক পুরোনো একটা বাস্তবতা, তা আবারও তাদের মনে করিয়ে দেয়া। ব্রিটিশ প্ররোচনাতে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার আবির্ভাব হয় ভারতীয় উপমহাদেশে; যার আবার বেশিরভাগটাই ছিল গ্রেটার বেঙ্গল-এ। এর আগের প্রায় ছয় শতাব্দীর মুসলিম শাসনের সময় এধরনের কোন দাঙ্গা হয়নি। সেই ইতিহাস নতুন করে সামনে আনার যে সময় হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বর্তমান চেষ্টার মাঝে ফুটে ওঠে। ব্রিটিশ শাসনের রূড় বাস্তবতাকে মেনে নিতেই একসময় এখানে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে। আর এখনকার বাস্তবতাকে মেনে নিতেই এখন হালাল খাবারের কথা বলা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা যে বাধা দেবে, তা মোটামুটিভাবে বলা যায়। তারা ঈদ-উল আজহা-র সময় ভারতের মুসলিমদের উপরে যে নির্যাতন চালিয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গেরই ক্ষতি হবার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। আসলে র‍্যাডক্লিফের বাউন্ডারির দুই পাশের মানুষের যাতায়াত হিন্দুত্ববাদীদের কাছে ভালো ঠেকছে না।
 
বাংলাদেশের পত্রিকাতে কোলকাতার জুতার দোকানের বিজ্ঞাপন। অর্থনৈতিক কারণেই কোলকাতার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের পর্যটকদের চাইছেন। ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত মিলের কারণে এই বাণিজ্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু বাধা শুধু ভারতের হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদী নীতি। ভারতীয় ইমিগ্রেশন বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্যে কড়াকড়ির ব্যবস্থা করলে কোলকাতার ব্যবসায়ীরাই সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 


তৃতীয়তঃ ভাষাগত মিল। ভাষাগত যে মিল বাউন্ডারির দুই পাশের মানুষের মাঝে রয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ কিভাবে দেখছে, আর দিল্লীই বা কিভাবে দেখছে? বাংলাদেশ থেকে একটা মানুষ ভারতের কোন শহরে গেলে কেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষটাই তাকে প্রথম খুঁজে পায়? কোলকাতার একজন ব্যবসায়ীকে বাংলাদেশী ক্রেতা আকর্ষণে কেন নিজ ভাষার বাইরে যেতে হয়না? ১৯৪৭ সাল থেকেই দিল্লীর জন্যে এটা সমস্যা। ১৯৭১ সালে এদেশ থেকে যখন লাখো বাংলাভাষী শরণার্থী ভারতে যায়, তখন পশ্চিমবঙ্গই সবচাইতে বেশি লোককে থাকতে দিয়েছিল। আর কিভাবে যেন বাংলাদেশ থেকেও বেশিরভাগ শরণার্থী পূর্বে না গিয়ে পশ্চিমে গিয়েছিল; অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ অভিমুখে গিয়েছিল। এসবই কি কাকতালীয় ছিল? কোলকাতা জুতার দোকানের বিজ্ঞাপণ বাংলাদেশের পত্রিকাতে ছাপা হয় বাংলাতে। অবশ্যই বাংলাতে হবে; তাই নয় কি? কিন্তু যখন সেই একই পত্রিকার একই সংখ্যায় আরও বহু ইংরেজী ভাষার বিজ্ঞপণ দেখা যায়, তখন অবশ্য ব্যাপারটা আলাদা। ভাষার পক্ষে কতটা সহজে আন্তর্জাতিক বাউন্ডারি পার হওয়া সম্ভব, তার চমৎকার উদাহরণ এটা। কলকাতার ব্যবসায়ীদের পক্ষে ভারতের অন্য এলাকার মানুষকে একইভাবে টেনে আনা সম্ভব কিনা, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ সাহিত্যিক নাম করেছেন বাংলাদেশে তাদের বই বিক্রি করে। তারা খুব ভালো করেই জানেন তাদের মূল পাঠকের ভিত্তি এখন বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভারতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হিন্দী শিখতে হচ্ছে; শুধু ইংরেজী দিয়ে চলছে না। তাই সেখানে বাংলা ভাষায় লেখার সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে অল্প কিছু মানুষকেই চেষ্টা করতে হবে। বই-এর সাথে বাংলা ছায়াছবি এবং বাংলা গানের কথাও এসে যায়। ভারতে হিন্দী সিনেমার গানের দাপটে বাংলা গান যেখানে কোণঠাসা, সেখানে বাংলাদেশে আইয়ুব বাচ্চু ব্যান্ড সঙ্গীতের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়েই মারা গেলেন। ভারতে ব্যান্ড সংগীত নেই বললেই চলে। ব্যান্ডের জন্যে বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হবে তাদের।  
 
কোলকাতা বই মেলায় পালিত হচ্ছে বাংলাদেশ দিবস। কোলকাতার বাংলা সাহিত্যিকদের সবচাইতে বড় সাফল্য বাংলাদেশে; যেখানে তাদের বেশিরভাগ পাঠক। কমন সংস্কৃতি এবং ভাষা খুব সহজেই আন্তর্জাতিক বাউন্ডারি পার হতে পারে। এবং একইসাথে তা জাতি-রাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদকেও চ্যালেঞ্জ করে বসে।


চতুর্থতঃ কমন সংস্কৃতি। পাদুকার মতো পরিধেয় বস্ত্রের সাথে সংস্কৃতির একটা সম্পর্ক রয়েছে। যদিও বাইরের সংস্কৃতি দ্বারা একে পরিবর্তিত করা হচ্ছে নিয়মিতই, তথাপি কাছাকাছি সংস্কৃতির না হলে পরিধেয় বস্ত্রের চাহিদাকে বুঝতে পারাটা কষ্টকর। কোলকাতার মানুষ যতটা সহজে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা বুঝবে, মুম্বাইয়ের মানুষ কিন্তু সেটা বুঝবে না। বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎসব সিজনেই কোলকাতার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ট্যুরিস্টদের জন্যে অপেক্ষা করে। কোলকাতা থেকেও পর্যটক আসছে বাংলাদেশে। যদিও কোলকাতা থেকে ভারতের অন্যান্য শহরে যেতে যা খরচ হয়, তা দিয়ে বাংলাদেশে ঘুরে আসা যায়, তথাপি কোলকাতা থেকে বাংলাদেশে পর্যটক আসার মূল কারণ হলো ভাষা এবং সংস্কৃতিগত মিল। পশ্চিমবঙ্গের অনেকেরই পারিবারিক সূত্র ছিল বাংলাদেশে। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১-এ রক্তক্ষয়ী দেশ বিভাগের কারণে তাদেরকে পৈত্রিক ভিটামাটি ত্যাগ করতে হয়েছিল।

এছাড়াও রয়েছে ইলিশের বাণিজ্য। ইলিশের ব্যাপারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে ইলিশের আহরণ প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। আর ইলিশ কোলকাতার বাঙ্গালীদের জন্যে অতি লোভনীয় একটা ডিশ; ঠিক যেমনটা বাংলাদেশেও। ভারতের অন্য কোন রাজ্য কি ইলিশের স্বাদ খোঁজে?

পঞ্চমতঃ যোগাযোগের উন্নয়ন। বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যম এখন সড়ক, রেল, বিমান এবং নৌপথ। পথিমধ্যে বাধা শুধু ভারতীয় ইমিগ্রেশন। কোন কারণে কোন বিশেষ ট্যুরিস্ট-সিজনে দিল্লী সরকার যদি বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য ইমিগ্রেশন কড়াকড়ি করার নির্দেশ দেয়, তাহলে কোলকাতার ব্যবসায়ীরা সেটা কিভাবে দেখবেন?

ষষ্ঠতঃ রাজনৈতিক প্রশ্ন। ১৯৪৭ সালে বাংলার বিভাজনের পরেও আন্তর্জাতিক বাউন্ডারি যে মানুষকে পুরোপুরি আলাদা করতে পারেনি, তা এখন আবারও বোঝা যাচ্ছে। সাইরিল র‍্যাডক্লিফ আর লর্ড মাউন্টব্যাটেনের আঁকা সেই কৃত্রিম বাউন্ডারিকে মেনে নিলে কোলকাতার অর্থনীতির যে ক্ষতি হবে, তা কি দিল্লী পোষাতে পারবে, নাকি লন্ডন পোষাবে? আপাততঃ সীমান্তে ট্রিগার-হ্যাপি বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যুর মিছিলের মাঝেই এই সীমানা বেঁচে থাকবে। আর একইসাথে টিকে থাকবে ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া জাতি-রাষ্ট্র।

কোলকাতা কিন্তু এখনও ভারতের অংশ। অথচ সেখানকার জনগণের বাংলাদেশ-প্রেম লক্ষ্যণীয়। দিল্লীর নেতৃত্ব কোলকাতার ব্যাপারে কতদিন নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে, তা নির্ভর করবে কতদিন 'ভারতীয় জাতীয়তাবাদ' কোলকাতার মানুষের কাছে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলির চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে; আর কোলকাতার জনগণই বা কতদিন দিল্লীর নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিকে 'ভারতীয় জাতিয়তাবাদের' অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মেনে নেবে।

7 comments:

  1. প্রতিদিন আপনার ব্লগে উঁকি মারি।
    অসংখ্য ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকেও ধন্যবাদ।
      লেখার ব্যাপারে মতামত দিলে আরও খুশি হবো।

      Delete
  2. আপনাকে কিছু প্রশ্নঃ
    ১) যে বিষয়ের আলোকে আপনি এ লিখাটি লিখেছেন সে বিষয় ঘটতে আনুমানিক কেমন সময় লাগতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
    ২) উক্ত বিষয়টি কিভাবে ঘটলে তা বাংলাদেশ এবং তার সংশ্লিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলের জন্য সবচে ভালো হবে?
    ৩) উক্ত বিষয়ের জন্য আপনি মনে করেন কি বাংলাদেশীদের উচিত একটা নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড দাড়া করানো যেটা বাঙ্গালী/বাংলাদেশী আইডেন্টিটিকে তুলে ধরবে বিশ্বের সামনে?
    ৪) আমরা কি সেই স্যান্ডার্ড দাড়া করাতে কতটুকু প্রস্তুত?
    ৫) আর দাড়া করাতে সক্ষম হলে তা সিমান্তের ঐ পাড় হতে কিভাবে দেখা হতে পারে বলে মনে করেন?
    আপনার মতামতের অপেক্ষাতে রইলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।

      ১। বর্তমানেই এটা ঘটছে; এবং এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যেহেতু কৃত্রিম বাউন্ডারির উপরে এই অঞ্চলের জাতি-রাষ্ট্রগুলি প্রতিষ্ঠিত, কাজেই যতদিন কৃত্রিম বাউন্ডারি থাকবে, ততদিন এটা চলবে।

      ২। বিষয়টা ভালো-খারাপের ব্যাপার নয়; বরং ঘটা-না-ঘটার ব্যাপার। ঘটলে কি করতে হবে - সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে ভালো-খারাপ বলে কিছু নেই।

      ৩। জাতিগত কোন পরিচয়ে এই অঞ্চলে বড় কিছু হবে না। বরং জাতিগত পরিচয়ে এই অঞ্চল আরও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র এলাকায় ভাগ হয়ে পড়বে; বিঘ্ন হবে মানুষের শান্তি। বিভাজনের রাজনীতি মানুষকে কষ্ট দিয়েছে অনেক।

      ৪। যেহেতু জাতিগত প্রশ্নটা বেশিদূর যাবে না, তাই এব্যাপারে কোন স্ট্যান্ডার্ড থাকার কথা হবে না।

      ৫। সীমান্তের ওপাড় থেকে জাতিগত স্ট্যান্ডার্ড নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিয়মকানুনের মানা-না-মানাকে দেখা হবে। কারণ ঐগুলিই জাতি-রাষ্ট্রের ভিত; জাতিগত সংজ্ঞা নয়।

      আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

      Delete
    2. ধন্যবাদ

      Delete
  3. আগের ক্ষুরধার বিশ্লেষণধর্মী লেখা পাচ্ছি না।অথচ বর্তমানে বিশ্ব এবং আঞ্চলিক রাজনীতি এবং সমরনীতিতে পরিবর্তন আসছে ।এইসব বিষয়ে আপনার লেখা চাই।
    যদি পারেন একটা ফেইসবুক পেইজ রাখবেন যাতে করে মাসে একটা হলেও টপিকে আপনার লেখা পাওয়া যায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. ক্ষুরের কাজ কি?

      উদ্দেশ্য ছাড়া ক্ষুর কাজ করে কি? ক্ষুর যার হাতে থাকবে, তার উদ্দেশ্যই বাস্তবায়ন করে; নিজের নয়।

      যাই হোক, এই ব্লগে খুব কম লেখাই পাবলিশ করি। বেশিরভাগই পাবলিশ হয় বিভিন্ন পত্রিকাতে। এবছরের প্রথম তিন মাসে গোটা ত্রিশেক লেখা পাবলিশ হয়েছে। সেগুলি আন্তর্জাতিক-ভূরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে।

      আর ২০১৭-১৮ সালের পত্রিকায় পাবলিশ করা লেখাগুলি নিয়ে একটা বই বেরিয়েছে ২০১৯-এর বই মেলায়। নিচের লিঙ্ক-এ দেখে নিতে পারেন।
      https://koushol.blogspot.com/2019/02/markin-duniyay-poribortoner-haoa.html

      Delete